সাক্ষাৎকার: স্কট রক্সবরো
ভূমিকা ও অনুবাদ: রুদ্র আরিফ
জাস্তিন ত্রিয়া। সদ্য সমাপ্ত কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের [১৬ মে–২৭ মে ২০২৩] সর্বোচ্চ পদক পাম দ’র-জয়ী সিনেমা ‘অ্যানাটমি অব অ্যা ফল’-এর নির্মাতা। এটি তার চতুর্থ ফিচার ফিল্ম; এখনো বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পায়নি। অন্য তিন ফিচার ফিল্ম ‘এইজ অব প্যানিক’ [২০১৩], ‘ইন বেড উইথ ভিক্টোরিয়া’ [২০১৬] ও ‘সিবিল’ [২০১৯]। এই চকিত সাক্ষাৎকারটি কান ফেস্টিভ্যাল চলাকালে নেওয়া; তখনো পাম দ’র পুরস্কার ঘোষিত হয়নি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমেরিকান বিনোদন ম্যাগাজিন ‘দ্য হলিউড রিপোর্টার’-এর ইউরোপিয়ান ব্যুরো চিফ স্কট রক্সবরো। ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে ২৩ মে ২০২৩ প্রকাশিত

স্কট রক্সবরো :: এই (অ্যানাটমি অব অ্যা ফল) সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন (জার্মান অভিনেত্রী) সান্দ্রা হুলার। আপনি কি তাকে মাথায় রেখেই (সান্দ্রা) চরিত্রটি তৈরি করেছিলেন?
জাস্তিন ত্রিয়া :: হ্যাঁ। সান্দ্রার সঙ্গে আমার পরিচয় ১০ বছর আগে। এক ফেস্টিভ্যালে তিনি আমার হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন। তা ছাড়া, বাকি প্রায় সবার মতো আমিও (তার অভিনীত) টরি এর্ডমান [মারেন আডে; ২০১৬] সিনেমাটি দেখেছি। ওই সিনেমা এবং তাতে অভিনেত্রী হিসেবে তার কাজ আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করেছিল। ওই সিনেমার ফিল্মমেকার [মারেন আডে] আমার খুব প্রিয়। সিনেমাটি আমাকে দারুণ প্রেরণা জুগিয়েছে। এ কারণে সান্দ্রার কথা আগে থেকেই মাথায় ছিল। এ কারণেই (আমার পূর্ববর্তী সিনেমা) সিবিল-এ তাকে নিয়েছিলাম। সেখানে একটি ছোট চরিত্রে তিনি অভিনয় করলেও, (একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে) মুহূর্তেই তার সঙ্গে আমার সেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যার ফলে তাকে তার মতো অভিনয় করতে দেওয়ার জায়গা করে দিয়েছি।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে তার ভেতর একটি একেবারেই শৈল্পিক মনোভাব রয়েছে, এবং তার সিনেযাত্রা ফ্রান্সে সচরাচর আমরা যেমনটা দেখে, তা থেকে একদম আলাদা। তিনি শুরু করেছিলেন মঞ্চনাটক দিয়ে; যা করেন, সেই কাজের প্রতি তার পুরোদস্তুর গভীর অঙ্গীকার রয়েছে, এমনকি তা শারীরিকভাবেও। সিবিল বানানোর সময়ই তার জন্য একটি চরিত্র তৈরি করার এই আইডিয়া মাথায় আসে আমার।
…
বিদেশি
অভিনেত্রীর
সঙ্গে কাজ করতে
চাই বলেই ভাষার প্রশ্নে
বাধা পেরোনোর চেষ্টাই
শুধু আমরা করব না,
বরং ভাষাটিই হয়ে
ওঠবে এই
বিদেশি চরিত্রের মজ্জা
…
(অ্যানাটমি অব অ্যা ফল-এর) প্রাথমিক আইডিয়াটি মূলত ইংরেজিতেই লিখেছিলাম। পরে শেষ পর্যন্ত (ফ্রান্সে বসবাসরত একজন জার্মান লেখিকার) এই কাহিনির সঙ্গে সেটিকে সামঞ্জস্য করেছি। কেননা, আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম, একজন বিদেশি অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে চাই বলেই ভাষার প্রশ্নে বাধা পেরোনোর চেষ্টাই শুধু আমরা করব না, বরং ভাষাটিই হয়ে ওঠবে এই বিদেশি চরিত্রের মজ্জা– বিদেশ ভূমিতে থাকতে থাকতে যে ক্লান্ত এবং যে নিজ মাতৃভাষায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অক্ষম। ভাষাই পরিণত হয়েছে এই কাহিনির একটি প্রধান দিক।
স্কট :: এই সিনেমার স্ট্রাকচার একেবারেই ট্রু-ক্রাইম জনরার। আপনি কি ওই ধারার অনুরাগী?
জাস্তিন :: এ ধরনের ট্রু-ক্রাইম স্টোরি আমি প্রায় প্রতিদিনই পড়ি এবং প্রায় প্রতিদিন এইসব ট্রায়াল মুভি ও সিনেমা দেখি। ফলে এগুলো অবশ্যই আমার ক্ষেত্রে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। আমি সব সময় ভাবতাম, প্লটের কেন্দ্রস্থলে, কাহিনির কেন্দ্রস্থলে একটি ট্রায়াল বা বিচারকার্যকে রেখে নিশ্চয় একদিন না একদিন একটি সিনেমা বানাব। কিন্তু এ ধরনের শো বা সিনেমার দর্শক হিসেবে, কিংবা এ ধরনের কিছু যখন পড়ি বা দেখি, তখন এই কাহিনিগুলোকে হরদমই অতিমাত্রায় সহজ, অতিমাত্রায় সুনিশ্চিত বলে মনে হয়।
আমার সিনেমাটির কোনো স্পয়লার দিতে চাই না; তবে এখানে সমাধানটি সুনিশ্চিত নয়। এই সিনেমা বানানোর ক্ষেত্রে আমার উদ্দেশ্য হলো, যথেষ্ট জটিল কিছু করে তোলা, এমনকি সিনেমাটির শেষেও যেন তা অস্পষ্ট থাকে। আমি আর আমার সহ-লেখক (আর্থার হারারি)– দুজনে মিলে আসলে সেদিক নিয়েই কাজ করেছি; আমরা মামলা ও বিচারকার্যটিকে ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন তৈরি করে নিয়েছি।
আপনারা একে একটি রহস্য গল্প হিসেবেও ভাবতে পারেন; তবে আমার ধারণা, এটি মূলত এক দম্পতির সম্পর্ক ঘিরে বানানো সিনেমা। একজন সন্তান থাকলেও তাদের দুজনের ভাষা অভিন্ন নয়– এমন এক দম্পতির সম্পর্ককে ব্যবচ্ছেদ করার এই মার্ডার ট্রায়ালের প্রসঙ্গটি আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল। একে আমি এই কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু বলে মনে করি; অন্যদিকে, বিচারকার্যটি স্রেফ একটি পার্শ্ব কাহিনি।

স্কট :: বাস্তবতা বনাম কল্পকাহিনির প্রশ্নটি এবং কীভাবে আমরা বাস্তব পৃথিবীর সত্য ঘটনাকে ন্যারেটিভ স্টোরিতে বাঁক নেওয়াই– সম্ভবত এ দুটোই এই সিনেমার মূল থিম। দুজন লেখক আধা-আত্মজৈবনিক বিষয়ের ওপর কাজ করে; তারা তাদের বাস্তব জীবনকে নিজেদের উপন্যাসগুলোর রসদ হিসেবে কাজে লাগায়। তা ছাড়া, এ ক্ষেত্রে আপনার কাছে রয়েছে আইনি ব্যবস্থা, যেটির মধ্যে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা একেবারেই অস্পষ্ট বিষয়গুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে যা ঘটেছে তার ভিন্ন ও কাল্পনিক সংস্করণগুলো তৈরি করে ফেলে।
জাস্তিন :: ঠিক ধরেছেন। আদালতকে আমি সত্যিকার অর্থেই এমন একটি জায়গা হিসেবে দেখি, যেখানে আমাদের জীবনগুলো কল্পনাতুল্য; যেখানে একটি কাহিনি, একটি ন্যারেটিভ জুড়ে দেওয়া হয় আমাদের জীবনের ভেতর। সেখানে থাকা প্রত্যেকেই একটি গল্প বলছে, প্রত্যেকেই একটি ন্যারেটিভ সৃষ্টি করছে, এবং সবকিছুই সত্য থেকে বহু দূরের জিনিস। এমনকি সান্দ্রা ও তার পক্ষের আইনজীবী নিজেদেরকে সত্য থেকে দূরে রাখে; তাকে বাঁচানোর জন্য তারা সত্যের বিকৃতি করে, ঠিক যেমনটা করে রাষ্ট্রপক্ষ– সান্দ্রাকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য। তার জীবন ধারণের ধরন সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষ ভীষণ রকমের সমালোচনাপ্রবণ হয়ে পড়ে।
এই সিনেমার গবেষণা করতে গিয়ে আমি খুবই ইন্টারেস্টিং একটি বিষয়ের খোঁজ পেয়েছি: এমনকি আজকের দিনেও, এই ২০২৩ সালেও, অন্তত ফ্রান্সে কিংবা অন্যান্য পশ্চিমা দেশে নারীদের যেখানে পুরুষদের সমমর্যাদা থাকার কথা, সেখানে জীবনের পথ বাছাইয়ে, ক্যারিয়ার বাছাইয়ে, কিংবা অবাধ যৌনতার প্রশ্নের তাদের নেতিবাচকভাবে বিচার করা হয়। এই মামলার ক্ষেত্রে সান্দ্রার বাইসেক্সুয়ালিটিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।
…
যেখানে আপনার নিজেরই
জীবনকে আপনার কাছ
থেকে কেড়ে নেওয়া
হয়, আর প্রত্যেকেই
একটি কল্পনাপ্রসূত
সত্য সৃষ্টি
করে
…
আমি দেখাতে চেয়েছি, এইসব বিচারকার্য আসলে মানুষের জন্য কী ধরনের দুঃস্বপ্নের মতো, যেখানে আপনার নিজেরই জীবনকে আপনার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়, আর প্রত্যেকেই একটি কল্পনাপ্রসূত সত্য সৃষ্টি করে, এবং সত্যের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা আদৌ চালায় না। ব্যক্তিগতভাবে আমি সত্যের প্রতি আচ্ছন্ন, এবং এইসব গল্পের ভেতর দিয়ে সত্য অন্বেষণের চেষ্টা চালাচ্ছি, যা আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়।
এই কাহিনির অন্যতম মূল প্লট উপাদানটি ওই দম্পতির একটি ঝগড়ার অডিও রেকর্ডিং। রেকর্ডিংটি এই বিচারকার্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়। এখানে একটি রেকর্ডিংকে নিখাদ প্রমাণের, পরিষ্কার ঘটনার একটি কাঠামো হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু এমনকি এই সাউন্ড রেকর্ডিংকে রাষ্ট্রপক্ষও একেবারেই অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্যবহার করে। এটি পরিণত হয় কল্পনাপ্রসূতের, এবং তারপর সান্দ্রাকে আক্রমণের স্রেফ উপাদানে। প্রকৃত পক্ষে যা ঘটেছে– সেই সত্য থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে, সান্দ্রাকে ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন ফিকশন তৈরিতে মগ্ন প্রত্যেকেই।
স্কট :: ওই রেকর্ডিং কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল? আপনি কি সেটে গিয়ে স্রেফ দৃশ্যটির রেকর্ড করেছেন?
জাস্তিন :: আসলে, কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জ ছিল; কেননা, ওই ঝগড়ার শুট করতে দুই দিন লেগে গিয়েছিল। আর, শুরু থেকেই, আমি আমার সহ-লেখকের সঙ্গে স্ক্রিপ্ট লেখার সময়, এই ঝগড়া নিয়ে একমতে পৌঁছতে পারিনি। এটার আদৌ কোনো দরকার আছে কি না– এই নিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যকার সত্যিকারের এক ঝগড়া থেকেই এই ঝগড়ার দৃশ্যটির লিখেছিলাম।
শুটিংয়ের সময়, পুরো দৃশ্যটি একদিনে করতে চেয়েছিলেন সান্দ্রা; তিনি থামতে বা বিরতি নিতে চাননি। কিন্তু তা ছিল চূড়ান্ত রকমের নিষ্ঠুর ব্যাপার। তা পেতে আমাদের আসলেই কঠিন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। ফলে প্রথমদিন শুট করেছিলাম আমরা। তারপর দ্বিতীয় দিন সেই ফুটেজ দেখে আমি উপলব্ধি করলাম, যা যা প্রয়োজন– ভিজ্যুয়ালি সবকিছু যদিও পেয়ে গেছি, তবু এই দুজন অভিনয় থামাতে পারেননি, পুরো দৃশ্যটিতে তা বয়ে বেড়িয়েছেন। এ কারণে আমরা রেকর্ডিং রেখেছিলাম এবং এই পুরো ঝগড়াটি পেয়েছি, তা সম্ভবত ১২ থেকে ১৪ মিনিটের, যা খুবই সহিংসতায় শেষ হয়েছে, আর সবটাই রেকর্ড করা হয়েছে।
…
ইমেজের
মাধ্যমে আপনি
প্রবঞ্চনা করতে পারলেও
সাউন্ডের ক্ষেত্রে তা
পারবেন
না
…
ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল; কেননা, সাউন্ড আমাকে সব সময়ই দারুণ মুগ্ধ করে। ইমেজের চেয়ে রেকর্ডিং সাউন্ডের প্রতি আমাদের আচ্ছন্নতা বেশি। কেননা, ইমেজের মাধ্যমে আপনি প্রবঞ্চনা করতে পারলেও সাউন্ডের ক্ষেত্রে তা পারবেন না। সত্য এখানে নিহিত। ক্রাইম স্টোরি ও ট্রায়ালগুলোতে আপনি এর দেখা পাবেন। সেখানে দর্শকরা সাউন্ডের প্রতি বিমুগ্ধ; এর ভেতরে সত্যতার এই মাত্রা তারা অনুভব করেন।
তবে আরেকটি দিকও রয়েছে– এ ধরনের আবেগাত্মক শক্তি, এই মেলানকলি আপনি সাউন্ডের মধ্যে অনুভব করতে পারলেও ইমেজের মাধ্যমে কখনোই সৃষ্টি করতে পারবেন না। এই সিনেমা ঘিরে নেওয়া প্রাথমিক সিদ্ধান্তগুলোর একটি, এমনকি স্ক্রিপ্ট লেখা শুরু করার আগেই যা নিয়েছিলাম, তা হলো, আমরা কিছু ইমেজ বাদ দিয়ে দেব, এবং তার বদলে শুধু সাউন্ড আঁকড়ে থাকব, যেন ছবি না দেখিয়েই কাহিনিটির সত্যতা অনুসন্ধানের ম্যাটেরিয়াল পেয়ে যাই।

স্কট রক্সবরো :: আমার ধারণা, (আমাদের আলাপের) সময় শেষ; তবে ঝটপট কয়েকটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করতে চাই: সিনেমাটিতে থাকা কুকুরটি, বর্ডার কলি স্নুপটি এই কাহিনিতে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সেরা কুক্কুরীয় পারফরমার হিসেবে ‘পাম ডগ অনার’ যদি দেওয়া হতো, সে-ই সম্ভবত থাকত সবার আগে। কুকুরটিকে নিয়ে কাজ করা কি চ্যালেঞ্জ ছিল? এই কাহিনির সঙ্গে কুকুরটিকে কীভাবে খাপ খাইয়ে তুলেছিলেন আপনি?
জাস্তিন ত্রিয়া :: দেখুন, এই সিনেমায় স্বামী চরিত্রটির চেয়ে স্নুপটির অবস্থান দ্বিগুণ হবে, এ ব্যাপারে আমি আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলাম। সে শুধুই আরেকটি চরিত্র কিংবা আশপাশের কোনো প্রাণী নয়। বহু দিক থেকেই সে এই মৃত মানুষটির, এই অনুপস্থিত মানুষটির প্রতিনিধি। চূড়ান্ত সিনেমাটি থেকে এডিটিংয়ের সময় কেটে ফেলে দিয়েছি, এমন একটি দৃশ্যের কথা বলতে চাই, যেখানে কুকুরটি বমি করে, এবং সে একেবারেই স্পষ্ট যে, সে এখানে আসলে স্যামুয়েলের [চরিত্র] স্থলাভিষিক্ত হিসেবেই উপস্থিত।
প্রাণী নিয়ে আগেও কাজ করেছি আমি। আমার আগের সিনেমাগুলোতে একটি বানর ও একটি কুকুর রয়েছে। আর আমি জানি, প্রাণী নিয়ে কাজ করা হরদমই খুব একটা সহজ নয়। তবে এ বেলা আমাদের ভাগ্য ভালো, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য প্রাণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন– এমন একজনকে পেয়েছিলাম। এই স্নুপের যিনি মনিব, সেই ভদ্রমহিলা সত্যিকার অর্থেই ওকে একটি চরিত্রে, অন্য অভিনেতাদের করা যেকোনো চরিত্রের মতোই পরিণত করতে আমাদের সাহায্য করেছেন।
বেশ কিছু দৃশ্যে নিজেদেরকে আমরা কুকুরটির পর্যায়ে নিয়ে গেছি; তার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছি সবকিছু। সে আসলে অন্য চরিত্রগুলোর মতোই একটি চরিত্র; এবং সে আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।