রেহানা: আমরা সব নিভৃত নিঃসঙ্গ বিজয় মিছিলের সঙ্গী

642
রেহানা মরিয়ম নূর

লিখেছেন: ফাতিমা আমিন

রেহানা মরিয়ম নূর
Rehana Maryam Noor
ফিল্মমেকার, স্ক্রিনরাইটার, এডিটর: আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ
প্রডিউসার: জেরেমি ‍চুয়া
সিনেমাটোগ্রাফার: তুহিন তমিজুল
মিউজিক: শৈব তালুকদার
কাস্ট [ক্যারেকটার]: আজমেরী হক বাঁধন [রেহানা মরিয়ম নূর]; আফিয়া জাহিন জাইমা [ইমু]; কাজী সামি হাসান [আরেফিন]; আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ [অ্যানি]
রানিংটাইম: ১০৭ মিনিট
ভাষা: বাংলা
দেশ: বাংলাদেশ
রিলিজ: ৭ জুলাই ২০২১ [কান]; ১২ নভেম্বর ২০২১ [বাংলাদেশ]


একটা আপসহীন জীবনের শক্তি অনেক, যদি সেই শক্তি ধরে রাখা যায়। তাকে গড়ে তুলবার আশ্চর্য ঝোঁক লাগে। ঝাঁপ দিলেই হয় না। কারণ কোনো রকমের সহযোগিতা ছাড়া তাকে পূর্ণাঙ্গ হতে হয়। তবে এই অমৃতের দেখা মেলা ভার। তার জন্য সাধনা চাই, সাধনা। আর চাই ঐকান্তিক আন্তরিকতা। আমি আমার বিশিষ্টতা পেরিয়ে সম্যকে সামনে চলার পথ খুঁজে নিয়েছিলাম বলেই আজ রেহানাকে নিয়ে লিখতে সাহস করছি।

রেহানা, রেহানা মরিয়াম নূর। এই মিথ্যে মাধুর্যের জীবনে যে কিনা অকপট, তামাম দুনিয়ার সামনে নিজের বিশ্বাসকে মৃত্যুহীন প্রমাণ করতে ওলট পালট করতে প্রস্তুত। ভীষণ একা। নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে আরও তিনটে জীবন আর তার পারিপার্শ্বিকতা। আঙ্গিকের নির্দেশ মতো রেহানা এই ছবির প্রধান চরিত্র। ক্লোজআপে নির্মাতা সাদ বারবার আমাদের সামনে, খুব কাছ থেকে তাকে দেখবার সুযোগ করে দিয়েছে। বুঝতে পারি, রেহানাকে ফিল করবার এক দুর্দান্ত কৌশল এইটি।

সাদ, মিডিয়াম আর ক্লোজআপের আবর্তেই সিনেমা শেষ করেছেন বলতে পারি। কেননা আমি ডেপথ অব ফিল্ড খুঁজে চলি, শেষ পর্যন্ত তার দেখা পাই না। গল্পকেও দ্বান্দ্বিক করে তোলেন নির্মাতা; কিন্তু তারপরও মীমাংসা হয় না। আর তার মধ্যেই আমার বিস্মিত অন্বেষণ।

জ্যঁ-লুক গোদার সবসময় লংশট এবং ইলাবরেট ক্যামেরা এঙ্গেল এড়িয়ে চলতেন। ১৯৬২ সালে লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভালে চলচ্চিত্র সমালোচক টম মিলেন, নির্মাতা জ্যঁ-লুক গোদারের ইন্টারভিউ করেছিলেন, যেখানে গোদার বলেন, তিনি তার চরিত্রকে খুব কাছ থেকে দেখান যেন দর্শক চরিত্রের ইমোশনাল পয়েন্ট অব ভিউকে বুঝে তার সাথে আত্মস্থ করতে পারে।

সাদ সম্ভবত এই টেকনিকই কাজে লাগিয়েছেন। রেহানা, এই দেশকালের বিষয় হয়ে উঠবার পেছনে এক রাজনীতি আছে। সেই রাজনীতি যা কিনা এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজ বুঝে কিংবা না বুঝে গ্রন্থনা করেছে সমাজের ভেতর। এখন গল্পে, সিনেমা আর টকশোতে তার ফুলঝুরি। কিছুদিন আগেও তা সম্ভব ছিল না। এখন ডিভোর্স ইজ আ চয়েস। মেইল গেইজ ইজ আ কনভারসেশন টু অল। কেউ আর ছি-ছি… করে না এসব শুনলে।


সিনেমা
দেখতে দেখতে
নিজেকে মিলিয়ে ফেলি
ওয়াল্টার বেঞ্জামিনের থিওরি
‘আ মেকানিক্যাল রিপ্রডাকশন’-এর
সাথে, যেখানে রেহানা জারিত
হয় আমার নিজের
ভেতরে

এই গল্প আমাদের চিরচেনা গল্প। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এত অসখ্যবার এই নিয়ে আন্দোলন করতে হয়েছে যে, এর ভেতর-বাহির, বিস্মিত-বিপন্ন হবার গল্প কিংবা এর শুভঙ্করের ফাঁকিগুলোও অজানা নয়। এখন শিক্ষকতা করতে গিয়েও প্রতিদিনের সম্বন্ধীয় গল্প হয়ে উঠতে হয় আমাকেও। সিনেমা দেখতে দেখতে নিজেকে মিলিয়ে ফেলি ওয়াল্টার বেঞ্জামিনের থিওরি ‘আ মেকানিক্যাল রিপ্রডাকশন’-এর সাথে, যেখানে রেহানা জারিত হয় আমার নিজের ভেতরে। আমিও রেহানা হয়ে উঠি। আমার আত্মালাপে রেহানা এসে যায় বারবার, এই, এ সিনেমার সার্থকতা।

রেহানাকে নিয়ে আমার কতগুলো প্রশ্ন আছে। রেহানা এত বিমর্ষ থাকে কেন? মায়ের সাথে, ভাইয়ের সাথে, মেয়ের সাথে রেহানা কেন এত রুড? রেহানা হিজাবি কেন? আরেফিনের স্ত্রীকে সে এনির বিষয় এভাবে জানায় কেন যখন সে জানে সে প্রেগ্নান্সির লাস্ট স্টেজে? উত্তরগুলো খুঁজব কতগুলো শটের মধ্য দিয়ে।


জীবনের মলিনতা নতুন
নতুন উপলব্ধি তৈরির
পাশাপাশি পর্দায়
বিকল্প দৃষ্টির
প্রাণ
প্রতিষ্ঠা করে

হাসপাতালের বাইরে রেহানার জীবন কেন অনুপস্থিত? নাকি হাসপাতাল এই সমাজকে রিপ্রেসেন্ট করে? প্রিন্সিপাল, রনি, আরেফিন,আয়শা, এনি, কিংবা এনির রুমমেট– এরা কি এক-একটা সাব-টেক্সট? সিনেমার তো একটা পলিটিকাল বয়ান থাকে, ফলে রেহানাকে হিজাবি দেখানোর পলিটিকাল বয়ান কী হতে পারে?

সাদের একটা ইন্টারভিউতে দেখলাম তিনি বলেছেন, তার মা-বোন সকলকে তিনি এই পোশাকে দেখে বড় হয়েছেন বিধায় রেহানাকে হিজাবে আবৃত করেছেন। তাহলে কি বুঝে নেব এটাই সাদের রাজনৈতিক অবস্থান?

রেহানা মরিয়ম নূর

রেহানার আপেক্ষিকতা ভীষণ সক্রিয়। বাস্তবতার নিরিখে রেহানা ব্যক্তির তুলনায় সমষ্টিকে তুলে আনে, এই উপলব্ধিই যথার্থ। আমার চারপাশে আমি অসংখ্য রেহানাকে দেখতে পাই, যারা সব সামলে নিজের পথ তৈরি করে, অন্যকেও পথ দেখায়। রেহানার অনেক দায়িত্ব– সংসার সামলানো, বাবার ওষুধ, মেয়ের স্কুলের ফি, ভাইয়ের হাত খরচ, বাসার বাজার… আরও কত কি। রেহানা একা। জানেন তো, দিন শেষে আমরা ঘরে ফিরি আমাদের প্রিয়জনদের কাছে, আমরা চাই আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করুক আমি কেমন আছি, মাথায় হাত বুলিয়ে দিক কিংবা একটা বিশ্বস্ত হাত আমাকে আগলে রাখুক, এই তো।

দিন শেষে রেহানাকে সাইকো মনে হয় না। রেহানার ইমু আছে, আছে মা-বাবা-ভাই। রেহানা একা একা ইমুকে বড় করছে, স্বামীর সাথে তার যোগাযোগহীনতা স্পষ্ট। হয়তো সেখানেও অবিশ্বস্ততা ছিল। ছিল না-পাওয়ার হিসেব নিকেশ। এই চরম বৈরী পরিবেশে ধীরে ধীরে নিজেই নিজের জীবনের হার না মানা নায়ক হয়ে ওঠে রেহানা। এমন পরিপ্রেক্ষিতে রেহানার মূল্যবোধ রেহানাকে আত্মপ্রতয়ী করে তোলে।

হয়তো সে বিমর্ষ; কিন্তু এই অর্থহীন সমাজকে রেহানা একচুল ছাড় দেয় না। আর সে কারণেই মায়ের সাথে, ভাইয়ের সাথে রেহানা ভীষণ কর্কশ। জীবনের মলিনতা নতুন নতুন উপলব্ধি তৈরির পাশাপাশি পর্দায় বিকল্প দৃষ্টির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে। অন্তত ইমুর সাথে তার সখ্যতা চিরন্তন অধিকার স্বীকৃত। মা মেয়েকে বড় করে তুলছে পরিণতভাবে। রেহানার কথায় আর যুক্তিতে তা স্পষ্ট। দুজনের দুজনের প্রতি আহ্লাদের তীব্রতা আছে, তবু নিজেকে গোপন রেখেই তা ভীষণ মধুর, সম্পর্কের মধ্যে যে কয়টা ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা সাদ করেছেন তা কর্কশ হলেও এটাই সত্যি।

নিজেকে দিয়ে অনুমান করে বললাম; আগেই বলেছি আমি রেহানা দ্বারা বায়াস নই, বরং রেহানা আমার দ্বারা। আমি কখনো কখনো রেহানার ‘স্বহৃদয় হৃদয় সংবাদী’, অন্তঃত আমার ক্ষুদ্র মন তাই বলে। ‘তুমি তোমার জোকসের বইগুলা শেষ কর, আমি এর মধ্যে চলে আসব মা, ভয়ের কিচ্ছু নাই, মাম্মা আছি না?’ আমার তীক্ষ্ণ বাস্তব দৃষ্টি এটা বুঝতে সক্ষম হলো, কী ভীষণ যন্ত্রণা আর হাহাকার নিয়ে রেহানা তার জীবনসত্যকে প্রকাশিত করছে দর্শকের সামনে। আমি নিশ্চিত যারা মা নন, তারা রিলেট করতে পারবেন না।

রেহানাকে এইবার কাঁদতে দেখি, তীব্র চিৎকার, জীবনের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে সাহসের সাথে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে লড়াইয়ের পলিটিকাল গ্রাউন্ডটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে রেহানার কান্নায়। রেহানা এস্কেপিস্ট নন, মেনেও নেয়ার মানুষ নন, শি উইল ফাইট ব্যাক। রেহানার মধ্য দিয়ে সাদ সামাজিক দায়বদ্ধতা স্বীকার করেছেন। রেহানা না করলে আর কে করবে? রেহানা তো সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, দাঁড়াবেন।


দরজার সেই তীব্র
শব্দ আমার
মোহভঙ্গের
কারণ হয়ে দাঁড়ায়

ইমুর কথা বলতে হয়। ইমু এই সিনেমায় এক ধরনের উপলব্ধির দরজা খুলে দেয়। শেষ ৭ মিনিট এই সিনেমার প্রাণ। রেহানা ইমুকে যেভাবে সজোরে প্রত্যাখ্যান করে, সেখানে আমার চোখ আটকে থাকে। অনিবার্যভাবে আপনিও ধাক্কা খাবেন, একই সাথে আন্দোলিত হবেন। ‘আম্মু চলো না আমরা যাই’– এই একটা ডায়লগ নানাভাবে নানা ভঙ্গিতে প্রক্ষেপণ আমাকে বিচলিত করতে থাকে। আমি ভাবতে থাকি রেহানা হয়তো শেষ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্ত বদল করবে। কিন্তু না, তা হয় না। আমার ভেতরে যে ইতিবাচক হৃদস্পন্দন স্পর্শ করেছিল, তাকে সজোরে অস্বীকার করে ইমুর ‘আম্মু’ ডাকা সেই চিৎকার। দর্শক হিসেবে আমি তাড়িত হই। এই নেতিবাচক শহরে আমি অচলায়তন খুঁজতে থাকি। আমার দরজার সেই তীব্র শব্দ আমার মোহভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

রেহানা মরিয়ম নূর

আমার চোখে লেগে থাকা কিছু শটের ব্যাখ্যা দেয়ার স্পর্ধা দেখাতে চাই। ওয়াইড শটে রেহানা আর আয়শার কথোপকথন, আর তারপর পরই রেহানার ক্লোজআপ, মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে চলেছে, ৬ বার পানির ঝাপটা শেষে একবার ক্যামেরার দিয়ে লুক, এক ধরনের ঘৃণা ভরা অবদমন, আবার পানির ঝাপটা দিয়েই চলেছে… ৩২ বার ঝাপটা শেষে পজ, যেন সকল ক্লান্তি ধুয়ে মুছে যাক, হাত দিয়ে চোখ ঢেকে নিবৃত করতে চাইছে সবকিছু, আবার শুরু, ৩৯ বারে এসে যেন সমাজের দিকে থুতু ছিটিয়ে দিয়ে নিজের ঘৃণা উগরে দিল। সেই সমাজ– যেখানে নারী অনিরাপদ, নারীর বলতে মানা, নারীকে সহ্য করে টিকে থাকতে হয় আরেফিনদের সাথে।

দর্শক হিসেবে আমারও সবকিছু অর্থহীন লাগে। ক্যামেরার অবস্থান অসামান্যভাবে বিবৃতি দেয়, আর এই প্রক্রিয়ায় বিচারবোধ নিষ্পত্তি দেয় না। ন্যার‍্যাটিভের এই বিন্যাসভঙ্গি সুবোধ্য। সাদ ব্যাকরণের যেই বিন্যাসেই কথা বলুক না কেন, দর্শক হিসেবে আমাকে ভাবায়, কিংবা ভাবতে বাধ্য করে। নিজের সাথে নিজের স্ববিরোধ অন্তর্ঘাত প্রতিষ্ঠা করে। এই অচলায়তনের গভীরতা আমি মাপতে পারি না, কেবল অনুমান করতে পারি মাত্র।

একটি কথা বলা জরুরি, এই ছবিকে যারা নারীবাদী ছবি বলে অভিহিত করছেন, তাদের সাথে আমার বিরোধ আছে। সে আরেক বাহাস, আপাতত সিনেমা নিয়েই কথা চলুক।

রেহানা আর আরেফিনের বাকবিতণ্ডা চলছে মিড শটে। হ্যান্ড হেল্ড ক্যামেরা তাই শটটি স্থির নয়। আরেফিন রেহানার দিকে অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে খানিকটা সংশয় নিয়ে, রেহানাকে পেছন থেকে দেখতে পাই। ওর চেহারা দৃশ্যমান নয়। জানায় যে সে সব জানে, সব দেখেছে সে। আরেফিনের ফোনে কল আসে, বেজেই চলছে বেজেই চলছে, মনে পড়ছে আপনার? দাটস দি বিউটি অফ আ শট।

ফোনের কলটা ভয়ঙ্কর বিরক্তি তৈরি করে। রেহানার সব জেনে যাওয়া আর আরেফিনের ফোনের ওল্ড টেলিফোন রিং টোন যথাসম্ভব আলোড়ন তৈরি করবে দর্শকের মনে, সাথে সাথে বিরক্তিও।

রেহানা মরিয়ম নূর

শটটির আয়তনের স্ফীতি বেশ। ‘কিচ্ছু করেন নাই আপনি এনির সাথে?’ ডায়লগের মধ্য দিয়ে এক্সট্রিম ক্লাইম্যাক্সে যে পৌঁছানো যায়, রেহানার চিৎকার তার প্রমাণ। এর প্রতিউত্তরে আরেফিনের তর্জনি উঁচিয়ে শাসানো যেন পুরো ঘটনাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। এক শটে সব বলে দেয়া গেল।

শুধু তাই নয়, ক্লাইম্যাক্স ক্রিয়েট করার জন্য ধীরে ধীরে নয়েজ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছিল এই পুরো দেড় মিনিটের সিন জুড়ে। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইরানিয়ান ফিল্ম ডিরেক্টর আসগার ফারহাদির সিনেমা সেপারেশন-এর কথা মনে পড়ে গেল। সাদ, আজগার ফারহাদির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে থাকতে পারেন। কারণ গল্প বলার ভঙ্গিটা কাছাকাছি।

বিষপানের পর শিবের কণ্ঠ নীল হয়েছিল বলে বেদনার রং নীল কিনা আমার জানা নেই, তবে রেহানার বাস্তবতাকে স্পর্শ করতে হলে নীল রঙে ফেনায়িত করে সীমাকে অতিক্রম করেছেন সাদ– এ খুব স্পষ্ট। ঐ নীল রঙটাই সাদের পুঁজি। সাদ হয়তো নীল রঙের ডিসটোপিয়া যাপন করেন আর তাই কোথাও শব্দ নাই কিন্তু শব্দ আছে, হাসপাতালের দুনিয়া জুড়ে।

গোদারকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘Do you want to change the audience?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘I want to change the world’। সাদ হয়তো গোদার দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। এই পুঁজির পাহারায় তিনি মানুষের মনকে উসকে দিতে পরেছেন বলে আমার বিশ্বাস।

Print Friendly, PDF & Email