লিখেছেন: ধ্রুপদ সরকার
কাঁচস্বচ্ছ কোক ভ্যারোটালে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মির আঁখরে যখন জ্বলে ওঠে ইস্টম্যান কোডাকের রূপালি লবণ আস্তরণ, তখন সোভিয়েত কিনোরের অ্যাকাডেমি অ্যাপারচার সম বিস্তারিত চোখ ৩.১ ট্রান্সমিশনে আলোকিত হয়ে অবলোকন করে এক বিরলতম ও বিশুদ্ধতম স্বপ্নিল আখ্যান।
২৪ ফ্রেমের দুরন্ত গতিবেগে ছুটন্ত ৪ পার্ফ ৩৫ মিলিমিটারের সেলুলয়েড ক্যানভাসে রেখাপাত করে ফোটন কণা, অঙ্কিত হয় অবচেতনের অব্যক্ত গহীনে চেতনাপ্রাপ্ত স্টকার-এর স্বচ্ছস্বপ্নদৃশ্য।
ম্যাজিক আওয়ারের মেদুরতা মাখা পড়ন্ত সূর্যপাটের মায়াবী আভার প্রতিফলনকে বাউন্স লাইটিং এবং ব্যাকগ্রাউন্ড লাইটিংয়ের ঠিক বিপরীতে প্রায় তৃতীয় অবস্থানে দাঁড়িয়ে ব্ল্যাক সারফেসে শোষিত ও প্রতিফলিত করার ফলস্বরূপ যে অত্যদ্ভুত বিষণ্ন আলোকময়তার সৃষ্টি হয়, সেই বিষাদ সন্ধ্যালোকে উদ্ভাসিত হয় ডিস্টোপিয়ান ল্যান্ডস্কেপে কাব্যছন্দে আঁকা এক লুসিড ড্রিম, যা কি না রূপালি পর্দায় প্রতিচ্ছবিত হয় ১.৩৩:১ অ্যাসপেক্ট রেশিওতে।
…
আবহে
তখন জোলো
বাতাসের মর্মরধ্বনি
রীতিমতো ঝড় তুলেছে
…
স্বচ্ছস্বপ্নদৃশ্যারম্ভের শুরুতেই ক্যামেরা লংশটে লালচে ফেনিল নদীবক্ষে সৃষ্ট বাতাসের ঘূর্ণিপাকের অনুসারী হয়। ধীরগতিতে ডলির চলন সমান্তরালি ট্র্যাকিং করে সেই ঘূর্ণিপাক, প্রায় অদৃষ্টপূর্ব এক আই ট্রেসের মাধ্যমে দর্শককে জাড়িত করে। আবহে তখন জোলো বাতাসের মর্মরধ্বনি রীতিমতো ঝড় তুলেছে, এরপরেই দৃশ্যারম্ভের ঠিক ১৫ সেকেন্ডের মাথায় ক্যামেরা সামান্য টিল্ট আপ করে। ডলি আর টিল্টের লেয়ারিং যুগলবন্দি নির্বর্তিত হয় সমগতিময়তায়, ফলস্বরূপ যেন প্রকাশপ্রাপ্ত হয় সুপ্রাচীন পূত-পবিত্র জ্যামিতিক এক সংজ্ঞা; সাইন থিওরেমের অনুসারী এক তীর্যক বা ডায়াগনাল গ্রাফলাইন।

ঠিক ৩১ সেকেন্ডের মাথায় কাট হয়ে, হাই অ্যাঙ্গেল থেকে নতুন শট সূচিত হয়। নন-লিনিয়ার স্টোরি টেলিংয়ের ধাঁচে একই দৃশ্যে যেন দৃশ্যান্তর ঘটে। মিড ক্লোজআপে ফ্রেমবন্দি হয় অবচেতনের স্বচ্ছস্বপ্নাবিষ্ট স্টকার। তৃণশয্যায় নিম্নাভিমুখী শয়নে শায়িত অবচেতনে নিদ্রোত্থিত স্টকার, যে তৃণশয্যার সবুজাভ দূর্বাদল অস্পৃশ্য হয়েছিল তারকোভস্কির অমোঘ আদেশে, যাতে কি না ঘাসের শ্যামলিমা অক্ষুণ্ন থেকে তা অপ্রাকৃত অমরত্বের প্রতীক স্বরূপ হয়ে ওঠে। এই কাব্যিক চলচ্চিত্রের প্রোটাগনিস্ট স্টকারের চুলের ছাঁট যেন ভূতপূর্বকালকে দর্শায়, গুলাগ বন্দিদের স্মরণ করায়। আবহ তখন পরিবর্তিত হয়ে জলধ্বনিকে প্রতিধ্বনিত করছে ফিল্ড রেকর্ডিংয়ে, তখনই তারকোভস্কির আজ্ঞাপনানুসারে টাইম প্রেশার মন্তাজের শুরুয়াত হয়।
…
ঝোড়ো
হাওয়ার ঝাপট,
জলবিন্দুর পতনধ্বনির
ফলি ও ফিল্ড রেকর্ডিংয়ের
সাথে চাপাস্বরে শাস্ত্রপাঠ এক
অনির্বচনীয় মায়াজাল
বিস্তার করে দর্শক
মননে
…
ক্যামেরা প্রায় ২৬ সেকেন্ড ধরে যেন দৃষ্টিগোচরতার উর্ধ্বে উঠে ঢিমেতালে জুম ইন করে, ‘সুদীর্ঘ’ সেই ২৬ সেকেন্ড পর অর্থাৎ দৃশ্যারম্ভের ঠিক ৫৮ সেকেন্ডের মাথায় স্টকারের স্ত্রীর কণ্ঠস্বর প্রক্ষিপ্ত হয় আবহে, হুইসপারিং রিসাইটেশন প্রতিভাসিত করে ভয়াল ভবিষ্যতের এক মিথ কথন, যখন সপ্তশৃঙ্গ ও সপ্তাক্ষ্য এক মিথিক্যাল মেষশাবক ষষ্ঠতম সিল উন্মুক্ত করে, যখন বিবিলিক্যাল বর্ণনায় স্বর্গ ও মর্ত্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। মগ্নচৈতন্যের এক অদৃশ্য তন্তুতে গাঁথা হয় সুপ্রাচীন নব-টেস্টামেন্ট গাথা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক কল্পবিজ্ঞান ও অস্তিত্ববাদী দর্শন। ঝোড়ো হাওয়ার ঝাপট, জলবিন্দুর পতনধ্বনির ফলি ও ফিল্ড রেকর্ডিংয়ের সাথে চাপাস্বরে শাস্ত্রপাঠ এক অনির্বচনীয় মায়াজাল বিস্তার করে দর্শক মননে।
দৃশ্যটি দেখতে এই বাক্যে ক্লিক করুন
[মসফিল্মের বিধিনিষেধের কারণে প্রিভিউ সংযুক্ত করা যায়নি]
পুনর্বার দৃশ্যবদল হয় কাট করে, একই সিনে আলাদা শটে যেন দৃশ্যান্তর ঘটে ফ্র্যাগমেন্টেড কোলাজের মতো। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী দৃশ্যপটদ্বয়কে একসূত্রে বেঁধে দেয় নিরবিচ্ছিন্নভাবে বহমান আবহ, অনবচ্ছিন্নভাবে পঠিত স্তোত্রগাথা। পূর্বদৃষ্ট শটে ব্যবহৃত এক্টাক্রোম ভাইব্র্যান্সি আচম্বিতে রূপান্তরিত হয় সেপিয়া প্রভাযুক্ত ব্রাউন মনোক্রোমে, রূপালি পর্দার পটে জন্ম নেয় ব্যাখ্যাতীত এক রঙবেরঙের খেলা। বহতা বিবিলিক্যাল গাথাপাঠে মৃদুস্বরে সংযুক্তিকরণ ঘটে আজেরবাইজানি মুঘামছন্দে বাঁধা দোতারের মিঠা গমক ও ভারতীয় বীণের মন্দ্রঝংকার সমৃদ্ধ এক মিউজিক্যাল ম্যাজিকের।
এহেন ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিকের সুযোগ্য সঙ্গতকারী হিসেবে সংযুক্ত হয় ইলেকট্রনিক ANS সিন্থেসাইজার। ANS- এর অর্ধস্বচ্ছ শিশমহলের রজন প্রলিপ্ত কাঁচ নির্মিত হৃদয়ে আঁচড়দাগে প্রতিসৃত আলোককিরণে বেজে ওঠে গ্রহান্তরের গান। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সঙ্গীতের এই যুগলবন্দি থেকে নিঃসৃত হয় এক অশ্রুতপূর্ব অ্যালকেমি।
…
প্রোটাগনিস্টের
পরিধানের
জীর্ণতা
যেন
সমাজতান্ত্রিক
অর্থনীতির দীর্ণতা
ভরা ঢক্কানিনাদকে
প্রশ্নবিদ্ধ করে রূপকার্থে
…
হরিদ্রাভ সেপিয়া টোনে সুপার ক্লোজআপ নেয় ক্যামেরা, পর্দাজুড়ে তখন হাই অ্যাঙ্গেল থেকে ধরা স্টকারের পরনের শতচ্ছিন্ন ও সলিলসিক্ত লেদার জ্যাকেট। প্রোটাগনিস্টের পরিধানের জীর্ণতা যেন সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির দীর্ণতা ভরা ঢক্কানিনাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রূপকার্থে।
পর্দায় প্রক্ষেপিত পূর্বতন দৃশ্যপটে ঠিক যে ছন্দবদ্ধতার সাথে জুম ইন করেছিল ক্যামেরা, ঠিক একইভাবে ধ্রুপদী ধারার মন্থরগতি চলন এবং শট ডিভিশনের ব্যাকরণ অক্ষুণ্ন রেখে জুম আউট করতে থাকে। লেয়ারিং টেকনিকে ট্র্যাকিং ও জুম আউট একইসাথে হয় বিমিশ্রিত। খোয়াববিস্মৃত স্টকারের প্রায় বক্ষলগ্না প্রেয়সী হয়ে এখানে ক্যামেরা যেন স্টকারের স্ত্রীর পয়েন্ট অব ভিউ থেকে স্টকারের প্রতি দৃকপাত করে, যেন চোখ তুলে তাকায় স্টকারের মুখপানে। ধীরলয়ে সুপার ক্লোজআপ রূপান্তরিত হয় ক্লোজআপে।

ব্রাউন মনোক্রোমের মালিন্য মাখা পীতবর্ণ রঞ্জিত স্টকারের মুখ ভেসে ওঠে প্রক্ষেপণ পর্দা জুড়ে, প্রায় ১২ সেকেন্ড ধরে চলে এক মহত্তম মিজঁ সিন, পরিলক্ষিত হয় ক্যামেরার এক অত্যুত্তম মরাল গতির চলন। যে চলন এক মুহূর্তের জন্য থমকে যায় স্টকারের তন্দ্রাচ্ছন্ন মুখমণ্ডলে। তারপরেই স্থিতপ্রজ্ঞ হয়ে জল ছুঁয়ে বাতাসে ভেসে এগিয়ে চলে স্টকারকে অতিক্রম করে।
এই সময়ে ক্যামেরা যেন নিজেই সিনেমার অন্যতম এক চরিত্রে পরিণতি লাভ করে। বহুদর্শী ও সত্যদর্শী হয়ে কালানুক্রমণ করে ধীরে ধীরে। পরতে পরতে উন্মোচন করতে থাকে ঐতিহাসিক সব সন্ধিক্ষণ। জলপৃষ্ঠতলের ওপরের বায়ুস্তরে নির্ভারভাবে ভাসমান হয় ক্যামেরা, হাই অ্যাঙ্গেল থেকে ক্লোজআপ শটে অত্যন্ত সুস্থিরতার সাথে অবজেক্টিভ হয়ে ওঠে। স্টকারের মুখমণ্ডলে অত্যল্পকালীন সে স্থবিরতা অর্জনের ঠিক ১০ সেকেন্ড পর ক্যামেরা ধীরলয়ে ৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে আবারও জুম ইন করে চলতে থাকে, সান্দ্র সাবলীলতার সাথে ট্র্যাকিং করে।
প্রাঞ্জলতর হয়ে উঠে, জলস্তর ভেদকারী অনুসন্ধিৎসু নজরে বন্দি করে বহুকালব্যাপী পরিত্যক্ত ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ। তারকোভস্কির তর্জনী নির্দেশ যেন-বা গুলাগে মৃত্যুবাণ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হ্যালোপেরিডল বা সালফাজিল অথবা সোডিয়াম অ্যামোবারবিটাল হয়ে নিষিদ্ধ এক গোপনতম গর্ভগৃহের প্রতি।
ক্যামেরা ততক্ষণে নৈর্ব্যক্তিক এক নির্মোহতা অর্জন করেছে, ইতিহাস ছুঁয়ে এগিয়ে গেছে, জল নিমগ্ন দর্পনে তখন ছায়াপাত করছে স্বয়ং নৈসর্গিক প্রকৃতির উল্টো প্রতিকৃতি, যেখানে সন্তরণরত জলজ জীবন যেন জীবাত্মার প্রতিরূপ হিসেবে প্রতিবিম্বিত হয়।
ডলি মেকানিজমে স্থাপিত ক্যামেরা জল ছোঁয়া ট্র্যাকিং মুভমেন্টে রাশিয়ার অর্থোডক্স অতীতকে দেখায়, যখন ধর্মযাজকের ছবি ভেসে ওঠে জলমগ্নাবস্থায়।
সুপার ক্লোজআপে জলতলদেশে জলনিমজ্জিত মার্কিন মেড M1928A1 সিরিজের থম্পসন সাবমেশিনগান রূপকার্থে ইতিহাসের পাঠশিক্ষা দেয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দর্শায়, যখন ক্যাপিটালিস্ট U.S কম্যুনিস্ট U.S.S.R-কে বিশ্বযুদ্ধকালীন বন্ধুত্বের খাতিরে উপহার স্বরূপ এই কালান্তক আগ্নেয়াস্ত্রটি দিয়েছিল।
আবহে তখন ইলেকট্রনিক মিউজিক এবং ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিকের মিশেল ক্রমশঃ জোরাল হয়েছে।
ভাসমান ক্যামেরা আরও অগ্রগামী হয়, স্বপ্নদৃশ্যারম্ভের ঠিক ৪ মিনিট ৬ সেকেন্ডের মাথায় ঈষৎ টিল্ট আপ করে জলপৃষ্ঠতল থেকে মুখ তুলে চায়…।ক্যামেরা যেন এক বৃত্তাকার যাত্রাসমাপ্তির ঘোষণা করে, জাপানিজ জীবনবৃত্ত ‘এনসো’র মতো, তারকোভস্কির নিজস্ব চেতনসত্তার প্রতীতি যেন প্রকাশপ্রাপ্ত হয় এখানে, কারণ তিনি জেন বৌদ্ধদর্শনে আগ্রহী ছিলেন বরাবরই।

সেন্ট্রাল ফ্রেমিংয়ে পর্দাজুড়ে ভেসে আসে সলিলশয্যায় শায়িত স্বপ্নাচ্ছন্ন স্টকারের ডান হাত। আবারও অত্যল্পকালীন এক স্থবিরাবস্থা অর্জন করে ক্যামেরা এবং তারপরেই ঠিক ৪ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের মাথায় জুম আউটের আরম্ভণ হয় ফলত পরিপ্রেক্ষিত পরিবর্ধিত হয়। পরবর্তী ১০ সেকেন্ড ধরে সুপার ক্লোজআপ পরিবর্তিত হয় মিড ক্লোজআপে…।
স্বপ্ন এখানে সম্পূর্ণরূপেই ফ্রয়েডিয়ান স্বপ্নতত্ত্বানুসারী হয়, সে কারণেই স্টকারের মুখাবয়ব প্রদর্শিত হয় না স্ক্রিনে। মুখহীন অজ্ঞাতপরিচয় এই স্বপ্ন ব্যক্ত করে স্টকারের অবচেতন একইসাথে অপার্থিব বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার প্রতি দিকনির্দেশ করে।
ঠিক ৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের মাথায় ব্রাউন মনোক্রোম রঞ্জিত দৃশ্যের পরিসমাপ্তি ঘটে, কাট হয়, সিলভার স্ক্রিন জুড়ে রঙিন বান ডাকে এক্টাক্রোম ভাইব্র্যান্সির তরঙ্গ লহরী। আবহে তখনও দোতার এবং বীণের মায়াবী মন্দ্রধ্বনি বাজছে একটানা প্রবাহে।
পূর্ববর্তী শটের পরিসমাপ্তিকালে ক্যামেরা ঠিক যে ছন্দোবদ্ধতায় জুম আউট করেছিল; স্বপ্নদৃশ্যের শেষতম অধ্যায়ে এসে ক্যামেরা পূর্বোক্ত ছন্দানুক্রম বজায় রেখে জুম ইন করে। হিপ লেভেলে মাউন্ট করে লংশট স্তরিত করে, সেন্ট্রাল ফ্রেমিংয়ে আবির্ভাব ঘটে বাস্তব ও জাদুবাস্তবের মধ্যবর্তী কোনো অতিপ্রাকৃত স্থানে বিরাজমান এক সারমেয়সত্তা, প্রাচীন মিশরীয় স্ফিংসের ঢঙে বসে থাকা এক অতিপ্রাকৃত সারমেয়সত্তা। ক্যামেরার জুম ইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে বিশ্বাসের প্রতীকস্বরূপ সেই অতিবাস্তবিক সারমেয় উত্থিত হয়। সরাসরি পর্দাভেদ করে দর্শককুলের দিকে তাকিয়ে ভেঙ্গে দেয় কল্পলোকের ফোর্থ ওয়াল।
৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে মাত্র চারটে শটে বিরচিত হয় ‘স্টকার’ শীর্ষক এই ফিল্ম পোয়েট্রি।

পুনশ্চ:
স্টকার রাশিয়ায় তারকোভস্কির করা শেষ চলচ্চিত্র। এই ছবির কাজ শেষ হওয়ার মাত্র আট বছরের মধ্যেই আকস্মিকভাবে ৫৪ বছর বয়সে অকালপ্রয়াণ ঘটে তারকোভস্কির। অনেকে বলেন, এই স্বপ্নদৃশ্য গ্রহণের সময়ে নদীর জলে মিশে থাকা রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে দুরারোগ্য কর্কট রোগাক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। নিন্দুকেরা অবশ্য বলে রাশিয়ান কেজিবির রেডিও-অ্যাক্টিভ পয়জনিংয়ের ফলে মৃত্যু তাকে গ্রাস করে।