লিখেছেন । আসিফ রহমান সৈকত

ইদা
IDA
ফিল্মমেকার । পাভেয়ো পাফলিকোফস্কি
স্ক্রিনরাইটার । রেবেকা লেনকিয়েভিচ; পাভেয়ো পাফলিকোফস্কি
প্রডিউসার । এরিক আব্রাহাম; পিওতর জিয়েসিয়ো; এভা পুসজিন্সকা
কাস্ট [ক্যারেক্টার] । আগাতা কুলেসজা [ভান্দা গ্রুজ]; আগাতা তজেবুসোফস্কা [আন্না/ইদা]
রানিংটাইম । ৪২ মিনিট
ভাষা । পোলিশ; ফ্রেঞ্চ; লাতিন
দেশ । পোল্যান্ড; ডেনমার্ক; ফ্রান্স; যুক্তরাজ্য
রিলিজ । ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩
শুধু ধর্মের কারণে একদলকে সদাই ভয়ে থাকতে হয়েছে, প্রতিবেশি অন্য ধর্মের লোকজনের কাছে আশ্রয় চাইতে হয়েছে বা তাদের করুণাতে টিকে থাকতে হয়েছে। তারা একই দেশের নাগরিক হবার পরেও, তাও আবার বিদেশি দখলদার শাসকদের কারণে।
শাসকদের হুমকির মুখে যারা আরও অসহায় হয়ে পড়ে আরেক ধর্মের মানুষের কাছে, আরেক ধর্মের মানুষ তখন তাদেরকে করুণা করার সুযোগ পায়; আর সেই সুযোগে এমন কিছু করে, যাকে সে একবার বলে ঠিক, আরেকবার বলে বেঠিক। সে নিজেই হারিয়ে ফেলে দিক, ঠিক-বেঠিকের পার্থক্যের সংজ্ঞা।
সংজ্ঞা হারিয়ে সে তার মতো ন্যায়-অন্যায়ের ফয়সালা করে। কারণ তাকে যারা পথ দেখানোর কথা, তারাই বিদ্বেষ ছড়িয়ে, ধর্মের নামে, এমন কথা বলে, যা সত্য বলে মনে হয় না; আবার না মানলেও বিপদ।
নিজেকেও বাঁচাতে হবে, আবার শাসকের রাঙা চোখ থেকেও রক্ষা পেতে হবে। পুরো ছবিতে ৪:৩-এ করা এবং সাদাকালোতে গল্প বলা হয়েছে [মনোক্রম], সেটা চলচ্চিত্রের গল্পের প্রয়োজনেই। এতে ফটোগ্রাফিক একটা ভাব এসেছে, যেখানে অনেক ছবি গেঁথে যাবে দর্শকের মনে; মনে হবে এটা আমার গল্প , আলো-ছায়ার খেলা।

এই চারকোণা ফ্রেমে একটা চাপা ভাব এসেছে; চরিত্রগুলো আরও কাছে এসেছে। মাঝে মধ্যে প্রায়ই ফ্রেমে দেখা গেছে পুরোটা জুড়ে কোনো বিস্তৃত মাঠ বা ঘরের পুরো দেয়াল বা বন, তার মধ্যে একদম ফ্রেমের নিচে চার ভাগের এক ভাগে চরিত্রগুলো কথা বলছে বা চলছে বা তাদের অভিব্যক্তি দেখাচ্ছে। এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে ফ্রেমে, যা ছবিতে পরিচালক আনতে চেয়েছেন। সত্যি হলো, ছবি দেখার সময় এই ফ্রেমগুলো, সেটাকে আরও গভীর করেছে।
এবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ইরানি চলচ্চিত্র আমির-এও এই রকম ফ্রেমিং দেখেছি। গভীর শূন্যতার জন্য কাজে আসে এই ফ্রেমিং। যদিও আমির চলচ্চিত্রে ১৬:৯-এই ছিল ফ্রেম। সেটা দেখার সময়েও এই শূন্য, ফাঁকা, নিজেকে হারিয়ে ফেলার একটা অনুভূতি হয়েছিল।

২
ইদা বড় হয় গির্জায়, নান হিসাবে, ছোটকাল থেকেই। সে নিজেই নিজের সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। একদিন তার খালার কাছ থেকে সে আসার খবর পায়। এসে প্রথমেই জানতে পারে, তার বাবা-মা আসলে ইহুদি, আর সে বড় হয়েছে গির্জায় নান হিসাবে।
ষাটের দশকের পোল্যান্ড, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অসহনীয় অবস্থার পর তাদের নতুন পথ চলা; কিন্তু পরবর্তীকালে সমাজতান্ত্রিক পোল্যন্ড তখনো ঠিক সেইভাবে তাদের অবস্থা থেকে উঠে আসতে পারেনি। খ্রিস্টান আর ইহুদিদের মধ্যে সেই মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়নের মধ্যেই দেশ চলছে তখনো।
ইহুদিরা হয়তো আবার চাকরি পাচ্ছে, নাগরিক হিসাবে ঠিকঠাক আগাচ্ছে। কিন্তু যে গভীর বেদনা বা কষ্ট, স্বজন হারানোর যে ফলাফল, তার ভাব থেকে বের হতে পারেনি; সেটা রয়ে গেছে গভীরে, মনোজগতে– যেখানে কেউ সহজে যেতে চায় না; কিন্তু না গিয়ে পারে না।
খালার সঙ্গা ইদা তাদের আগের গ্রামে খোঁজ নিতে যায়– কি হয়েছিল তার বাবামা আর ভাইয়ের। বাড়ি বেদখল হয়ে গেছে এক খ্রিস্টান পরিবারের কাছে, যাদের কাছে লুকিয়ে ছিল তারা। সেই সময় জার্মান বাহিনীর হুমকি ছিল: যারাই ইহুদিদের সমর্থন করবে, তারা হবে বিশ্বাসঘাতক; তারাও মারা যাবে।
ইহুদিদের এই রকম একটা অবস্থায় পোল্যান্ডের খ্রিস্টান নাগরিকরাই এগিয়ে এসেছিল; কিন্তু অসহায়ত্বের ফায়দাটাও আশ্রয়দানকারীদের অনেকে নিয়েছিল। অনেকেই পরে তাদের মেরে ফেলেছিল এই ভয়ে, জার্মানরা জানলে তাদেরও মৃত্যু। বা সম্পত্তির লোভে।
…
যে
অন্যায়
তারা করে
ফেলে, তা বংশপরম্পরায়
বয়ে বেড়াতে
হয় তাদের
…
অনেক সময় শাস্তির ভয় না থাকা, বা বড় কোনো শয়তানির আশেপাশে থাকলে, অন্যদেরও শয়তানির ইচ্ছা জাগে, পৈশাচিক আনন্দ হয় তাদের; তখন হয়তো তারা বুঝতে পারে না সেটা। কিন্তু যে অন্যায় তারা করে ফেলে, তা বংশপরম্পরায় বয়ে বেড়াতে হয় তাদের। সেটাও দেখানো হয়েছে ইদা ছবিতে।
ইদার খালা যখন বাড়িটি ফেরত চাইল, খ্রিস্টান পোলিশ পরিবারটি দিতে চাইল না; তারা দিলো না এই বলে যে, ইদার বাবা-মা আর ভাইয়ের লাশগুলো কোথায় কবর দেয়া হয়েছে– সেটা তারা বলবে; তার বদলে বাড়িটির ওপর দাবি ছেড়ে দিতে হবে।

মানুষের কাছে প্রশ্নের উত্তর গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে জানার, নিজের অস্তিত্বের গল্প তার কাছে যেকোনো কিছুর চেয়ে জরুরি। ক্যমেরাতে যখন টপ ভিউ থেকে লোকটাকে দেখানো হয় কবরের মধ্যে কবর খোড়ার পর ক্লান্ত মাথা নিচু করে বসে থাকতে, তখন বোঝা যায় সে নিজেও একটা বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে, যেখান থেকে আমৃত্যু তারও মুক্তি নাই। কংকালগুলো যা, যতটুকু পাওয়া গেছে, সেটা নিয়ে ইদা আর তার খালা তাদের পারিবারিক গোরস্থানে কবর দেয়।
ইদাকে কেন মারা হয়নি তখন, এর জবাবে সে বলেছিল, ইদা অনেক ছোট ছিল, তাই সে কোন ধর্মের– সেটা লুকানো গিয়েছে; তাই তাকে সে গির্জায় দিয়ে আসে, যে কারণে সে বেঁচে যায়।

১০-১৫ বছর পর এইসব সত্য আবার নতুন করে সামনে আসার পরেও তার খালা নিজেকে সামলাতে পারেনি; আরও বেশি করে তাকে সেটা অস্থির করে ফেলেছিল। নিজের প্রিয় বোন, বোনের জামাই, বোনের ৬-৭ বছরের ছেলের নৃশংস হত্যার ঘটনা, যে যন্ত্রণা আসলে বংশপরম্পরায় চলতে থাকে, দেশভাগের মতো, ধর্ম যখন অন্যায়ের লাইসেন্স হয়ে যায়, সেই রকম গভীর যন্ত্রণা– যা তাকে জীবনে বেঁচে থাকতেই দিচ্ছে না, সারাক্ষণ তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সে জানে এখন এগুলোর বিচারও হবে না, কিছুই সে ফেরত পাবে না; এই অস্থিরতা, কষ্টকে এড়াতে জীবন দিয়েই সে এর থেকে মুক্তি নিলো।
কারণ, এইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যায়, কিন্তু পাওয়া যায় না। কারণ, কোনো যুক্তি দিয়েই এইসব কাজকে জায়েজ করা যায় না। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হলে যেমন অনেক অনেক বছর ধরে তার ফল শারীরিকভাবে থেকে যায়, বংশপরম্পরায়, তেমনি যুদ্ধের, ধর্মের নামে এইসব অন্যায়ের ক্ষোভ, কষ্ট হয়তো আরও বেশি সময়, আরও বেশি করে পোড়ায়; সেটা কখনোই শেষ হবার নয়। সেটা কয়েক প্রজন্ম বা তারও বেশি সময় ধরে প্রবাহিত হতে পারে। উত্তর না পাওয়া এই কষ্ট দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত হয়তো চলতেই থাকবে।
এই ক্ষোভ, এই হতাশা, এই অপমান কখনোই সহজে মেটে না– ইদার খালা নিজের জীবন দিয়ে সেটাই আবার বলে গেল। এর থেকে মুক্তি নাই কারও। অন্যায় যে করে তারও, আর যার উপর করা হয় তারও।
অন্যায় যে করে, তাকে সেটা তিলে তিলে শেষ করে দেয়; কারণ, যেখান থেকেই পালাক না কেন, নিজের কাছ থেকে পালাবার তার কোনো পথ নাই। নিজের দিকে সে তাকানোর নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলে। সে জানে, তার পরিবার, তার ভবিষ্যত বংশধরেরও কেউ না কেউ এইজন্য লজ্জিত হবে, তাকে ঘৃণা করবে, অজানা কোনো একজন তার বংশধরের কাছ থেকেই, তার দেশের, তার ধর্মের লোকের মধ্য থেকেই তাকে ভীষণভাবে ঘৃণা করা হবে এবং তার জন্য অপমানিত বোধ করবে।
৩
এখনকার সময়ে ভালো ছবিও আবার দেখার, বা পরপর দুবার দেখার ইচ্ছা সহজে হয় না, যদি না একাডেমিক কোনো কারণ থাকে বা কোথাও লেখার তাগিদ থাকে। অনেক অনেক ভালো চলচ্চিত্র, সঙ্গে এই সময়ে অন্য মাত্রায় চলে যাওয়া সেরা কিছু টিভি সিরিজ, যেগুলো দুই তিন মৌসুম ধরে ধরে রাখত পারে আমেজ, ভাবনা, আবেশ– জার্মান টিভি সিরিজ ডার্ক বা সবার চেনা-জানা গেম অব থ্রোনস-এর কথা তো যে চলচ্চিত্র নিয়মিত দেখে না, সেও জানে। তারপরেও এখনো যে এমন গল্প আছে, যেটা সার্বজনীন, যেটা যেকোনো ধর্ম, বর্ণ, মানবিক, জাতিগত জায়গা থেকে দুনিয়ার যেকোনো প্রান্ত থেকে আটকে রাখতে পারে, সেটা ইদা ছবিটি দেখলে আবারও বোঝা যায়।
ইহুদি বংশোদ্ভূত ইদার গল্প তো অনেক জায়গার ধর্মের জন্য আলাদা করে খোঁজা মানুষেরই গল্প, যারা শুধু ধর্মের কারণে, এমনকি সেই ধর্ম তারা যেটা শুধু জন্মসূত্রেই পেল– তার কারণে বঞ্চিত, অপমানিত, লাঞ্ছিত মানুষের গল্প।
৪
মুখের কথায়, অভিনয় শিল্পীদের দিয়ে আসলে গল্প বলা হলে সিনেমার প্রতি সত্যিকারে সুবিচার করা হয় না। যখন এক একটা ছবি, ফ্রেম, বোধটাকে চোখ দিয়ে ভেতরে নিয়ে যায়– যেটা দ্রুত বোধের কাছে নিয়ে যায় গল্পকে, তখন চরিত্রগুলোর প্রতিটা শব্দ, কথাও আরো প্রাণবন্ত আর অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।
মিডশটে একটা মানুষের মুখ থেকে শোনা– ‘কিছু নেই’, আর একটা ফ্রেম যেখানে ৪:৩ আর ফ্রেমের এক কোণায় একটা মেয়ে বলে উঠে যে, ‘কিছু নেই’, সেটার ভাব আলাদা। সেটা আরও বেশি তাড়াতাড়ি ধাক্কা দেয়; বোধ এর কাছে নিয়ে যায়। সেজন্যই চলচ্চিত্র আরও শক্তিশালী আর অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।
ইদা ছবিতে এই ফ্রেমিং, এই ফটোগ্রাফিক দৃশ্য, আলো ছায়ার খেলা, কম্পোজিশনগুলো , গল্পকে আরও বাঙময় আর অনুভূতিসম্পন্ন করেছে। ফোরগ্রাউন্ড, মিডলগ্রাউন্ড আর ব্যাকগ্রাউন্ড কম্পোজিশনের অনেকগুলো ভালো শট ছিল, যেখানে ডেপথ অব ফিল্ডকে আলোর মাধ্যমে আরও বহুদূর নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারবার।
…
দর্শক
আর পরিচালকের
মধ্যে সারাক্ষণ একটা
আদান-প্রদান হয়েছে এখানে
…
তাই এক একটা ফ্রেম অনেকক্ষণ দেখার সুযোগ ছিল, দর্শককে ফ্রেমে কিছু খুঁজতে শুরু থেকেই প্রলুব্ধ করেছে চলচ্চিত্রটা, যে কারণে দর্শক আর পরিচালকের মধ্যে সারাক্ষণ একটা আদান-প্রদান হয়েছে এখানে। এটা এই রকম নয় যে, আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে; এটা হলো, আমাকে দেখতে বলছে, আমি দেখছি, আরও দেখার ইচ্ছা জাগছে; আমাকে আরও বিস্তারিত, ডিটেইলে দেখতে বলছে, আমি আরও দেখতে চাইছি; আমি ফ্রেমেই শূন্যতা খুঁজছি, পাচ্ছি… সারাক্ষণ এই আদান-প্রদানে, ইদা চলচ্চিত্রের গল্প বলা এগিয়ে চলে, চলে যায় পরিচালকের বলা গল্পের অনেক কাছাকাছি।

খালার আত্মহত্যার খবরের পর ইদার কিছুদিন নানের জীবন ছেড়ে, তার খালার মতো জীবন উপভোগ করতে চায়। সে করেও তা। কিন্তু সে তার প্রেমিককে বলে, এর পর কী? ভালোবাসা, বাচ্চাকাচ্চা… এরপর কী? ঘুরতে যাওয়া… এর পর কী? এই তো! এই যা হয়, যেরকম সবার মতো, জীবন এভাবেই চলবে।
ইদা ভাবে। ভাবে, তাহলে শেষে তো সব আবার সেই একই! আসলে সে নিজের অজান্তেই প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়েই ভাবে; সেখান থেকে তার মুক্তি নেই। কার কাছে উত্তর চাইবে তার জানা নেই। অন্তত কাউকে পায় না সে। কারো কাছে সে আশা করে না, হয়তো। কারো কাছে সে মুক্তির মন্ত্র পাবে– সেটাও জানে না।
তাই পরের দিন সে আবার নান বেশে ফিরে যেতে থাকে তার গির্জায়। হয়তো স্রষ্টার কাছে তার সব প্রশ্ন, হয়তো এতে নতুন কিছু নেই বলে, হয়তো কোনো কিছুই তাকে শান্ত করতে পারে না বলে, হয়তো কোনো কিছুই তাকে কোনো উত্তর দিতে পারে না বলে।
এই গল্পেরও কোনো শেষ নেই।

দেশভাগ নিয়ে আমাদের যে কষ্টের গল্প, ধর্ম নিয়ে আমাদের যে অহেতুক বাড়াবাড়ির গল্প, ধর্মের নামে অন্যায়ের যে গল্প, শাসকের ঘাড়ে দোষ দিয়ে নিজেদের অন্যায়কে ঢাকার যে গল্প, শাসকের অন্যায়ের যে গল্প, শোষিতের যেসব যুক্তিহীন অন্যায়ের গল্প, সে গল্প কি এইভাবেই বলা যায় না?
এইভাবেও তো সেই গল্পটা বলা যেত। উপলব্ধির মাত্রার সঙ্গে এভাবে বলার আগ্রহটা জড়িত। আমাদের ছবির ফ্রেমই বলে, আমরা ততটা গভীরভাবে ভাবছি না, বলছি না গল্পগুলো।
আমাদের বোধ, কষ্ট, লজ্জা, জড়তা, অস্বস্তিগুলো আমাদের ফ্রেমে ধরা দিচ্ছে না; তাই আমাদের আনুভূতিও দুনিয়াকে আমরা জানাতে পারছি না।