লিখেছেন । মেহজাদ গালিব

র্যাবিট-প্রুফ ফেন্স
ফিল্মমেকার । ফিলিপ নয়েস
উৎস-গ্রন্থ । ফলো দ্য র্যাবিট-প্রুফ ফেন্স/ ডরিস পিলকিংটন
স্ক্রিনরাইটার । ক্রিস্টিন অলসেন
প্রডিউসার । ফিলিপ নয়েস; ক্রিস্টিন অলসেন; জন উইন্টার
সিনেমাটোগ্রাফার । ক্রিস্টোফার ডয়েল
কাস্ট [ক্যারেকটার] । এভারলিন স্যাম্পি [মলি ক্রেইগ]; ডেভিড গালপিলিল [মুডু দ্য ট্র্যাকার]; কেনেথ ব্রানা [নেভিল]
মিউজিক । পিটার গ্যাবরিয়েল
এডিটর । ভেরোনিকা জেনেট; জন স্কট
রানিংটাইম । ৯৩ মিনিট
ভাষা । ওয়ালমায়ারি; ইংরেজি
দেশ । অস্ট্রেলিয়া
রিলিজ । ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০২
বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে অস্ট্রেলিয়াতে আদিবাসী, মিশ্রবর্ণের শিশু-কিশোরদের পরিবার থেকে সরকার কর্তৃক বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হতো। তারপর তাদের বিশেষ ক্যাম্পে রেখে সরকারের তত্ত্বাবধানে পশ্চিমা কায়দায় পড়াশোনা শিখিয়ে, ক্রিশ্চান ধর্মে দীক্ষা দিয়ে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর ভৃত্য হিসেবে তৈরি করা হতো। ইতিহাসে এদেরকে বলা হয় স্টোলেন জেনারেশন।
এই স্টোলেন জেনারেশনকে নিয়ে একটি ছবি তৈরি হয়েছে। ছবিটির নাম র্যাবিট-প্রুফ ফেন্স। পরিচালক ফিলিপ নয়েস। সম্প্রতি আমেরিকাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার অন্দোলনটি নিয়ে বিভিন্ন খবর পড়তে পড়তে আমার এই ছবির কথা খুব মনে পড়ছে। আমার প্রতিক্রিয়াটা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই এই লেখা।
…
ছবিটিতে
শিশুরা সরাসরি
বর্ণবাদের শিকার
…
বর্ণবাদের ওপর কিছু ছবি দেখা হয়েছিল মাস্টার্স করার সময়। তারমধ্যে এই ছবি আমার ভেতরে খুব প্রভাব ফেলেছিল। কারণ, ছবিটিতে শিশুরা সরাসরি বর্ণবাদের শিকার। এই বিষয়টি আমি ঠিক সহজভাবে নিতে পারছিলাম না একজন মা হিসাবে।
কীভাবে বিষয়টি ছবিতে দেখানো হবে ,ছবিটা ভায়োলেন্ট হবে কি না– সেই নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার বর্ণবাদ নিয়ে ধারণা থাকলেও এই স্টোলেন জেনারেশন সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিল না। কাজেই কিছুটা শঙ্কা, ভয় মেশানো প্রবল আগ্রহ নিয়ে ছবিটা দেখা শুরু করলাম।

একটি আত্মজীবনীমূলক বই থেকে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। বইটির নাম ফলো দ্য র্যাবিট-প্রুফ ফেন্স। লেখিকা ডরিস পিলকিংটন। ডরিস অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী পরিবারের একজন সদস্য। তার মা মলি ক্রেইগ স্টোলেন জেনারেশনের একজন প্রতিনিধি। মলি ক্রেইগের জীবন নিয়েই লেখা হয়েছে গল্পটি।
মলি, ডেইজি এবং গ্রেইস– তিনজনই মিশ্রবর্ণের আদিবাসী শিশু। মলি অর ডেইজি আপন বোন, গ্রেইস তাদের আত্মীয়। তাদের বাস পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জিগালং গ্রামে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের গ্রাম এটি। মরুভূমি অঞ্চল বলে গাছপালা তেমন নাই। একেবারে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে তারা আদিম জীবনযাপন করে।
ছবিটির সময়কাল ১৯৩২। জিগালং গ্রামটি ঘেঁষে প্রায় প্রচুর অর্থ ব্যয়ে একটি তারকাঁটার বেড়া তৈরি হচ্ছিল। খরগোশের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য তৈরি ২০০০ মাইল লম্বা এই বেড়াই র্যাবিট-প্রুফ ফেন্স। এই কাজ করতে সরকারি ক্যাম্প খোলা হয় জিগালং গ্রামের পাশে।। সেখানে কাজ করতে আসা শেতাঙ্গ শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো কোনো আদিবাসী মেয়ের বিয়ে হয়। আর এভাবেই বাড়তে থাকে মিশ্রবর্ণের শিশুর সংখ্যা– যা তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অউবার অক্টেভিয়াস নেভিল এজন ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান সরকারি আমলা; চিফ প্রটেকটর অব এবরিজিন হিসাবে নিয়োগ পান পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে। তিনি এই অদিবাসী শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে, ক্যাম্পে রেখে লেখাপড়া শিখিয়ে, প্রশিক্ষিত করে তাদেরকে শেতাঙ্গদের ভৃত্য হিসেবে তৈরি করার দায়িত্ব লাভ করেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, এভাবে ব্রিটিশদের সঙ্গে বা প্রভু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিশে গেলে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই কাজ অতি দক্ষতার সঙ্গে করার জন্য তিনি সরকার থেকে অনেক প্রণোদনা পেয়েছেন এবং প্রশংসিত হয়েছেন।
ছবিটি শুরু হয় একটি বার্ড আই ভিউ শট থেকে, যেখানে দেখা যায় জিগালং গ্রামের রুক্ষ মাটি। ভয়েস ওভার শুনতে পাই সত্যিকারের মলি ক্রেইগের। তিনি বর্ণনা করতে থাকেন তার গ্রামের, তার ছোটবেলার, তার মা, বাবার কথা।
এর পরেই মলি ক্রেইগের স্মৃতির ছোটবেলার জিগালং গামটা দেখতে পাই। মলি, ডেইজি আর গ্রেইস খেলতে থাকে। প্রকৃতির অংশ এই অদিবাসী সম্প্রদায়ের সরল জীবনযাপনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে দর্শকদের।

একদিন মায়ের সঙ্গে সরকারি ক্যাম্পে র্যাশন আনতে যায় মলি, ডেইজি আর গ্রেইস। ঠিক সেই সময় জিগালং গ্রামের লোকাল কনস্টেবল জিপ নিয়ে ছুটে আসে ধুলো উড়িয়ে। বন্য প্রাণীর মতো ছিনিয়ে নিয়ে যায় মলি, ডেইজি আর গ্রেইসকে।
নেভিলের তৈরি করা ম্যুর রিভার সেটেলমেন্টে রয়েছে স্কুল, রয়েছে গির্জা। শ্বেতাঙ্গ নানরা মলি, গ্রেইস,ডেইজিকে তাদের বন্য আদিম চেহারা বদলে ফেলে সাহেবি আদব কায়দায় পালন করতে লাগলেন সেখানে।
কিছুদিন থাকার পর, সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে মলি দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয়, সে পালিয়ে যাবে তার ছোট বোন ডেইজি আর গেইসকে নিয়ে । কিন্তু পথ চিনবে কীভাবে? মলির মাথায় ছিল, যেকোনোভাবে র্যাবিট-প্রুফ ফেন্সটি খুঁজে পেলে, সেই পথ ধরে সোজা হেঁটে গেলেই খুঁজে পাওয়া যাবে তাদের বাড়ি।
শুধু এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে ১৭০০ মাইল পায়ে হেঁটে র্যাবিট-প্রুফ ফেন্সটি ধরে জিগালং গ্রামে ফিরে যাওয়ার জার্নিটিই এই ছবির মূল গল্প।
এদিকে সরকারি কর্মকর্তা নেভিল কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না এক আদিবাসী কিশোরীর কাছে এই পরাজয়। সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন– শিশু তিনটি যেন কোনোভাবেই তাদের গ্রামে ফিরে যেতে না পারে।
ম্যুর রিভার ক্যাম্পে গোপনে এ নিয়ে চলে আলোচনা; বিজয়ের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে সেখানে থাকা অন্য হাফ কাস্ট শিশুদের মধ্যে। মলি যেন তাদেরই প্রতিনিধি।
পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে, লুকিয়ে, ১৭০০ মাইল পায়ে হেঁটে র্যাবিট-প্রুফ ফেন্সটি খুঁজে পেল ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত ও ভীত মলি আর ডেইজি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ লড়াইয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে জয় লাভ করা কি সম্ভব মলির মতো একটি আদিবাসী কিশোরীর?
মলি আর নেভিলের এই দ্বন্দ্ব, টান-টান উত্তেজনা সৃষ্টি করে পুরো ছবিতে। সারা সময়টা জুড়ে এই ভয় কাজ করে– কখন ধরা পড়ে যায় এই শিশু তিনটি। পত্রিকায় খবরটি ছাপা হয়, শিশুগুলোকে খুঁজে পেলে পুরস্কৃত করা হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে। মাঝ পথে গ্রেইস ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। মলি তার বোন ডেইজিকে নিয়ে আবার শুরু করে পথচলা ।

ধূর্ত নেভিল আবিষ্কার করে ফেলে, মলি র্যাবিট-প্রুফ ফেন্সটি তার বাড়ি যাবার জন্য ব্যবহার করছে। তখন আরও উত্তেজনা হয় মনের মধ্যে। এই সাসপেন্সের মূহুর্তগুলো পার হয়ে কখন যে ছবি শেষ হয়ে যায়, বোঝাই যায় না!
আমার কাছে র্যাবিট-প্রুফ ফেন্স ছবিটি দেখে একটি খুব ভালো ডকুমেন্টারি দেখছি বলে মনে হয়েছে। যার অনেকখানি অংশ রিকনস্ট্রাকশন । ছবির শুরুতে সত্যিকারের মলির কণ্ঠস্বর আমাদের জিগালং গ্রামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর আমরা তার ছোটবেলা দেখতে পাই; তাদের আদিম জীবনযাত্রার সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটে– যা পুরোটাই রিকনস্ট্রাকশনের মতো মনে হয়েছে।
ছবির শেষে আমরা আবার দেখতে পাই সত্যিকারের মলি আর ডেইজিকে: তারা এখন বৃদ্ধ, জিগালং গ্রামেই আছেন, তবে পাগুলোতে এখন আর জোর নেই, লাঠিতে ভর দিয়ে চলেন। মলি ক্রেইগ অন ক্যামেরা কথা বলতে থাকেন দর্শকদের সঙ্গে। আমরা তার জীবনের বাকি কথাগুলো জানতে পারি। এই স্টাইলটা ফলো করে গল্প বলাটা অমার কাছে একেবারেই ডকুমেন্টারির মতো লেগেছে। তবে পুরো ছবিটা নিওরিয়ালিজম ধারাকে অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে, এমনটাও মনে হয়েছে।
মলি-সহ আদিবাসীদের চরিত্রে যারা অভিনয় করেছেন, তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। ছবিটি দেখে কোনোভাবে এমন মনে হবার কোনো কারণ নেই, যে, এরা অভিনয় করছেন এবং অন্য কোনো জগতের সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক আছে। বিশেষ করে মলি ক্রেইগের চরিত্রটি যিনি করেছেন, এভারলিন লিম্যারি স্ম্যাম্পি– তিনি অস্ট্রেলিয়ার বার্দি আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন অভিনেত্রী।
এই ছবিতে নেভিলের চরিত্রে অভিনয় করেছন কেনেথ ব্রানা। একজন সরকারি বুদ্ধিমান আমলার চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন তিনি; কিন্তু একমাত্র নেভিল ছাড়া বাকি সবাই অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত।

র্যাবিট-প্রুফ ফেন্স ছবিটির সিনেমাটগ্রাফি, অভিনয়রীতি, সঙ্গীত– সবকিছুতেই নিউরিয়ালিজমের একটা ভাব আছে, যেটা ছবিটির সময়কালটাকেও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সহায়তা করেছে। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন বিখ্যাত চিত্রগ্রাহক ক্রিস্টোফার ডয়েল। স্বাধীন ও শৈল্পিক ধারার ছবি, যেমন ওংকার ওয়াই পরিচালিত ইন দ্য মুড ফর লাভ-এর চিত্রগ্রাহক তিনি।
র্যাবিট-প্রুফ ফেন্স অস্ট্রেলিয়ার একটি ইনডিপেনডেন্ট চলচ্চিত্র। একজন ইনডিপেনডেন্ট পরিচালকের কাজ তার চলচ্চিত্র দিয়ে সমাজে কনট্রিবিউট করা। এটি ঠিক তেমনই একটি কাজ, অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে।
…
খুব
দরদ
দিয়ে, খুব
কাছ থেকে দেখা
বলেই ছবিটিকে এত
সত্য বলে মনে
হয়
…
আগেই বলেছি, এটি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা বই থেকে নির্মিত চলচ্চিত্র। পরিচালক ফিলিপ নয়েস যে খুব কাছ থেকে এই আদিবাসীদের দেখেছেন, এবং এই স্টোলেন জেনারেশনের সঙ্গে তার যোগোযোগ আছে, সেটি খুব ভালোভাবে বোঝা যায় ছবিটি দেখলে। খুব দরদ দিয়ে, খুব কাছ থেকে দেখা বলেই ছবিটিকে এত সত্য বলে মনে হয়।
এই ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক পিটার গ্যাবরিয়েল। এখানে আদিবাসীদের নিজস্ব সঙ্গীত ব্যাবহার করা হয়েছে। পাখির ডাক এবং জিগালং গ্রামের প্রকৃতি থেকে নেওয়া বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে চমৎকার একটি মিউজিক পিস তৈরি করেছেন তিনি ‘লং ওয়াক হোম’ বলে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে, নেভিলকে হারিয়ে মলির নিজের মায়ের কাছে ফিরে আসার সময় এই মিউজিক পিসটি যখন বাজে, তখন অন্যরকম এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

যুগ-যুগ ধরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পরাধিনতা থেকে মুক্তির লড়াই এই ছবির মূল বিষয়। শুধুমাত্র আদিবাসীদের নির্মূল করে ফেলার জন্য সেখানকার হাফ কাস্ট শিশুদের তাদের পরিবার থেকে ধরে নিয়ে তাদের ‘সুশিক্ষিত’ করে শেতাঙ্গ মনিব গোষ্ঠীর দাস হিসাবে তৈরি করা ছিল সেই সময়কার অস্ট্রেলিয়ার ওই সরকারি কর্মকর্তার বিরাট সফলতা। যার ফলে তৈরি হয়েছিল এই স্টোলেন জেনারেশন। পরবর্তীকালে কখনোই তারা পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেননি। তাদের অস্তিত্বের সংকট কাটেনি কোনোদিন। মলি, ডেইজি, গ্রেইসের মতো বহু শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
এই ছবিটি তৈরি করে ফিলিপ নয়েস এই স্টোলেন জেনারেশনের কথা বিশ্বের সামনে নতুন করে তুলে ধরেছেন।
…
আদিবাসীদের
এবং সংখ্যালঘুদের
ওপর এই অত্যাচার পৃথিবীতে
নতুন
নয়
…
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবাদের বিষয়টি আবার পুরো পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছে। আদিবাসীদের এবং সংখ্যালঘুদের ওপর এই অত্যাচার পৃথিবীতে নতুন নয়। যুগে যুগে ক্ষমতায় থাকা মানুষেরা আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার এই স্টোলেন জেনারেশন এবং বর্ণবাদের শিকার পৃথিবীর সব মানুষ এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এই অস্থির সময়ে এই ছবি দেখে স্টোলেন জেনারেশন নিয়ে জানতে পারবেন চাইলে; এটি অসাধারণ একটি ছবি, আমার বিবেচনায় । বইটিও পড়তে পারেন সংগ্রহ করতে পারলে।
Tumpa, can’t beleive you write so well! Your witting has a voice.
Hope you stay on track, as no one cares about diminishing societies. Remain as one of those few
সুন্দর লেখা! লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ!
আরো লেখা চাই।