আকালের সন্ধানে বা সন্ধানের আকাল

1436
মৃণাল সেন

লিখেছেন । অনুষ্টুপ রায়

আকালের সন্ধানে
ফিল্মমেকার, স্ক্রিনরাইটার । মৃণাল সেন
উৎস-উপন্যাস । আকালের সন্ধানে/ অমলেন্দু চক্রবর্তী
প্রডিউসার । ডি কে ফিল্মস
সিনেমাটোগ্রাফার । কে. কে. মহাজন
এডিটর । গঙ্গাধর নস্কর
মিউজিক । সলিল চৌধুরী
কাস্ট [ক্যারেকটার] । ধৃতিমান চ্যাটার্জী [ফিল্মমেকার]; স্মিতা পাতিল [স্মিতা পাতিল]; গীতা সেন [বৃদ্ধা]; রাজেন তরফদার [হরেন]; শ্রীলা মজুমদার [দুর্গা]; রাধামোহন ভট্টাচার্য [শিক্ষক]; দীপঙ্কর দে [দীপঙ্কর দে]
রানিংটাইম । ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট
ভাষা । বাংলা
দেশ । ভারত
রিলিজ । ১৯৮০


সিনেমায় মানুষকে বাস্তব দেখানো হয়। কিন্ত তার চরিত্রায়ন– আলো নির্মাণ, শব্দ সংযোজন– সবই কৃত্রিমভাবে তৈরি, যা চলচ্চিত্র সৃষ্টির প্যারাডক্স। এই প্যারাডক্সকে মৃণাল সেন দেখান ‘ফিল্ম উইদিন ফিল্ম’ পদ্ধতির মাধ্যমে আকালের সন্ধানে ছবিতে।

এই ছায়াছবিতে বিচ্ছিন্নতার বোধ নানান জায়গায় নানাভাবে প্রকাশ পায়। আকালের খোঁজে, ১৯৪৩-এ যেতে গিয়ে দেখা যায়, চিত্র-নির্মাণকালেও আকাল বা দারিদ্র্য বিরাজমান। দারিদ্র্যের সন্ধানে, ‘৪৩-এ ফেরার সার্থকতা আছে কি? শ্রীসেন যেন এই প্রশ্নই তুলতে চান। মানুষের কষ্ট-অসহায়ত্ব শুটিং ইউনিটের খেলার সামগ্রী হয়ে ওঠে। মন্বান্তরের স্থিরচিত্র নিয়ে তারা খেলে। শুটিং বন্ধ থাকায় তারা এই নিয়ে সময় কাটায়। দু’ভাগে হয়ে বসে। পরিচালক ও মুখ্য অভিনেত্রী একদিকে। অন্যরা তাদের মুখোমুখি।

পরিচালক ও স্মিতা তুলনায় বিষয় নিয়ে সচেতন। স্মিতা ছবি দেখিয়ে জানতে চায়, ‘এটা কবেকার ছবি, বলুন তো?’ বাকিরা বলার চেষ্টা করে। কাছাকাছি সময়ের ছবিও দেখা যায়, যা সবাই ‘৪৩ বলে ভাবে। মৃণাল সেন আকালের বিরাজমানতার ঈঙ্গিত রাখেন।

‘হেই সামালো ধান হো… কাস্তেতে দাও শান হো…’

শহর থেকে গ্রামে আসার পথে এবং পরে শুটিং স্পটে যাওয়ার সময়, ইউনিট এই গান করতে করতে চলে। ইউনিটের মতাদর্শ হালকা বামপন্থি। অথচ তাদের মুড, যেন তারা পিকনিকে চলেছে। যে গান একদিন তেভাগা আন্দোলনে মানুষের মুখে মুখে ঘুরত, তা সমকালে ইউনিটের টাইম-পাস।

প্রথম দৃশ্যে ট্রেন ও মোটর গাড়ির উপস্থিতি। দূরত্ব অতিক্রম করার নিদর্শন। তাতে করে চলেছে শুটিং-দল। শহর থেকে গ্রামে। দূর থেকে তারা আসছে। গ্রাম সমাজের থেকে এই শহুরে বাবুরা দূরে দূরে থাকে। অথচ তাদের দুরাবস্থার কথাই বলতে চায়। এমনকি, বাজারে ইউনিটের জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অভিযোগও ওঠে।

হাতুই [সোমরাজ-বাজার] গ্রামের মানুষ, শুটিং দেখতে এসে দূর থেকেই দেখে। তারা তারকাখচিত দুনিয়ায় আকৃষ্ট। তাদের মতন মানুষের বিষয় নিয়ে ছবি হচ্ছে জানলেও তারা শুটিং বিষয়টা দেখতে আগ্রহী। এর মধ্যে দিয়ে মূল চিত্রনির্মাতা শুটিংয়ের কৃত্রিমতাকেই নির্দেশ করেন।


কেউ
মারা গেছে,
সেই অবস্থায় নাইটি
না পরার কথা খেয়াল করালে,
আহত বোধ
করে

দুজন অভিনেতার বিষয় বিচ্ছিন্নতা বিশেষভাবে ফুটে ওঠে। দেবিকা গ্রাম্য মেয়ের চরিত্র করলেও ভ্রু প্লাক করে, চুল ছোট করে। মোটা শাড়ি গায়ে দিলে তার কুট-কুট করে। কেউ মারা গেছে, সেই অবস্থায় নাইটি না পরার কথা খেয়াল করালে, আহত বোধ করে। জেমস হ্যাডলি চেজ পড়ে।

দীপঙ্কর দে, ডান হাতে ঘড়ি পরে, বহুরকমারি রোদ চশমা পরে। ‘555’ ব্র্যান্ডের সিগারেট খায়। প্রোডাকশন ম্যানেজারকে চা নয়, কফি বলে। ছাপা লুঙ্গি ও ফতুয়া পরে। পরিচালকের নির্দেশের বাইরে গিয়ে বাড়তি ভঙ্গি করে। তার, শুটিংয়ের একমাত্র দৃশ্যে আছাড় খেয়ে পড়ে। তা নিয়ে, স্মিতা প্রশ্ন করলে, বাহাদুরি দেখিয়ে বলে, ‘আমার প্রয়োজন মনে হয়েছে।’ সিরিয়াস ছবিতে যদিও আধিক্য অবাঞ্ছিত। ছবি নিয়ে খেলার সিকোয়েন্সে ঠিকঠাক সময় বলতে না পারলেও, প্রাচীন বৌদ্ধ ভাস্কর্য নিয়ে মতামত জাহির করে।

দুর্ভিক্ষের মুখচ্ছবি

রাস্তা-গ্রাম্য মানুষের মুখ-রাস্তা-মুখ: মন্তাজের মতো ব্যবহার। সময় বদলেছে, গ্রামীণ মানুষের অবস্থা নয়। সচেতন সৃজনশীল মানুষ, সমকালীন মানুষের দুরাবস্থা থেকে দুর্ভিক্ষের মুখের ছবি তোলে। কিন্ত, তা ব্যবহার করে অতীতের দুর্ভিক্ষ নিয়ে চলচ্চিত্রে। বর্তমান মানুষের দুরাবস্থা নিয়ে তাদের কনসার্ন দেখা যায় না।

মালতী [শ্রীলা মজুমদার]: গ্রাম্য নারী। স্বামীর হাত কারখানায় কাটা পড়ায়, সংসারের হাল ধরেছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে মুড়ি ভেজে, বাজারে সব্জি বেচে রোজগার করে। শুটিং ইউনিট এলে পরে, তাদের ঠিকে ঝি। ক্যামেরা বারংবার, ছবির মধ্যে ছবির শুটিং চলাকালীন তার মুখকে ক্লোজআপে ধরে। সে, ফিল্ম উইদিন ফিল্মের স্মিতার চরিত্রের সঙ্গে একাত্মবোধ করে। ‘৪৩-এর দুঃস্থ পরিবারের শিশুটিকে তার বাবা হত্যা করতে চাইলে, সে শুটিং চলাকালীন আর্তচিৎকার করে ওঠে।

স্মিতার গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার দৃশ্যের শুটিং চলছে। পরিচালক স্মিতাকে নির্দেশ দিতে থাকে। ক্যামেরা কাট করে মিড-শটে পরিচালককে ধরে। তার ডানদিকে বসে আছে ক্যামেরাম্যান। সাউন্ডট্র্যাকে নির্দেশ চলতে থাকে। ফ্রেমের বাঁদিকে, শুটিং-দর্শকের মাঝে মালতীকেও দেখা যায়। স্মিতা ও মালতীর অভিব্যক্তি একইরকম। ঠোঁট দিয়ে আঁচল কামড়ে ধরা, কষ্টের বহিঃপ্রকাশ।

মালতীর মুখে ক্যামেরা ক্রমশ জুম-ইন করতে থাকে। শুটিংয়ের থেকে দূরে থাকলেও তার মন সেখানে পড়ে থাকে। দেবিকার পরিবর্তে সেই চরিত্র-চিত্রণের জন্য তার ডাক আসে। তার বর গ্রামের সম্মানের দোহাই দিয়ে আটকায়। সে তাকে বোঝাতে চায়, সমাজ তাদের খাওয়ার জোগায় না। সেই দৃশ্যে মালতীর মুখ থেকে ক্যামেরা ডানদিকে প্যান করে। মালতীর গলা শোনা যেতে থাকে। পর্দা অন্ধকার।


ক্লোজআপ থেকে ক্রমশ ছোট
হতে-হতে, অন্ধকারে
কালো পর্দায়
মিশে যায়
সে

স্মিতাকে অন্ধকারের মধ্যে ফুটে উঠতে দেখা যায়। স্মিতা আর মালতী যেন একাকার হয়ে যেতে থাকে। মালতী কাজ না করে পয়সা নেয় না। টাকা ফেরত দিয়ে যায়। পরিচালক, ছবির শেষ দৃশ্যে মালতীর তাৎপর্য স্পষ্ট করে দেন। ক্লোজআপ থেকে ক্রমশ ছোট হতে-হতে, অন্ধকারে কালো পর্দায় মিশে যায় সে। অফ-ভয়েসে জানা যায়, তার সন্তান মারা গেছে, স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, সে একাকী।

স্ক্রিন সম্পূর্ণ কালো হয়ে যায়। যেভাবে মালতীরা যুগ যুগ ধরে অন্ধকারে হারিয়ে যায়। শুটিংয়ের বাবুরা তাদের বুঝতে, ছুঁতে পারে না; হদিশ পায় না।

যে বাড়িতে শুটিং ইউনিটের বাস, তা এককালীন গ্রামের সম্ভ্রান্ত-বর্ধিষ্ণু পরিবারের ভিটে। তারা আজ শহরে থাকে, এককালের গ্রাম্য মাতব্বর। সেই বংশের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি শুটিং চলাকালীন মারা যায়। বেঁচে থাকে অসহায় বৃদ্ধা [গীতা সেন]। যার নাম অনুল্লেখিত; সে এই বাড়ির মোটিফ বা এই বাড়ি তার মোটিফ। বাড়ি নিজেই একটি চরিত্র।

হরেন

গ্রামের মানুষ।যাত্রা-পালাগান করত। বহুরকম চরিত্রের অভিনয় করেছে। অভিনয় করতে ভালোবাসে। শিল্পচর্চা সম্পর্কে আগ্রহী। শুটিং ইউনিটের সঙ্গে জুটে যায়। পরিচালকের কাছে আফসোস করে, আগের মতো কারোর আর যাত্রা সম্পর্কে আগ্রহ নেই। সম্ভব হলে কলকাতা থেকে বই আনিয়ে যাত্রা করত।

সে সুভাস চন্দ্র বসু, লেনিনকে নিয়ে যাত্রা সম্পর্কে অবগত। তৎকালে শান্তিগোপাল এই ধরনের ব্যক্তিত্বদের নিয়ে যাত্রা করছিলেন। কার্ল মার্ক্স পালাও করেন। তার রেফারেন্স রাখেন শ্রীসেন–
হরেনের কার্ল মার্ক্স পালা করার আকাঙ্ক্ষায়। সেই সংলাপের সময়ে, গান্স অব ন্যাভেরন ছবির প্রদর্শনীর ঘোষনা হতে দেখা যায়। দেবিকার প্রস্থানের পর, তার জায়গায় গ্রামের এক যুবতীকে সেই চরিত্রের জন্য খুঁজতে সাহায্য করে। চরিত্রটি বেশ্যার। এই নিয়ে গ্রামে রটনা।

গ্রামের মানুষ ক্রমশ অসহযোগী হয়ে ওঠে। উচ্চবর্গীয় মানুষদের আঁতে ঘা লাগে। কিন্তু তারা ইস্যু করে অন্য বিষয়কে– চাট্টুজ্যের মেয়েকে হরেনের এনে দেওয়া [পারসিউ করা] বেশ্যার চরিত্র-চিত্রণের জন্য। হরেন, এমত-অবস্থায় নিজের মেয়েকে দিয়ে সেই চরিত্র করাতে চায়। বাড়ি থেকে আসে বাধা। পরবর্তীকালে সে দেখে, টাকার জন্য অন্য কোন মেয়ের বাবা নিজের মেয়েকে অভিনয়ে নামাতে চায়।


তার
শিল্প ক্ষয়িষ্ণু,
পালাগান নিয়ে আগ্রহ চাপা পড়ে যায়
হলিউডের ছবি নিয়ে
উন্মাদনায়

হরেনের কষ্ট তার একার। কেউই যেন আন্তরিকভাবে অভিনয় করতে চায় না। কেউ সামাজিক কৌলিন্য প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যত। কেউ দেখে টাকা রোজগারের কল হিসেবে। শুটিং দল ছেড়ে চলে যাওয়া পরে হরেনকে বাড়ির থামের গায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তার শিল্প ক্ষয়িষ্ণু, পালাগান নিয়ে আগ্রহ চাপা পড়ে যায় হলিউডের ছবি নিয়ে উন্মাদনায়।

এই বাড়ি ও হরেন চরিত্র একাকার হয়ে যেতে থাকে।

প্রবীণ গ্রাম্য হেড-মাস্টার

কলকাতা শহর থেকে বছর চল্লিশ আগে গ্রামে এসেছে। বর্তমানে এই গ্রামের একজন। ছবির মধ্যের ছবির পরিচালকের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে, বহুকাল আগে টকি দেখার অভিজ্ঞতা বলে। ‘বিল্বমঙ্গল’ ছবিটি দেখে সে খুশি হয়নি। ছবিতে চিন্তামণি বিল্বমঙ্গলের একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের কথা ফুটে ওঠেনি। সে বলে, ‘মানুষের কথা-পরিচয়-বিশ্বাস ছবিতে আসেনি। আমি ধর্ম মানি না, বিশ্বাস সেটাই তো আসল ধর্ম। এই কদিন আগে অতগুলো ছেলে-মেয়ে কীসের জন্য উবে গেল, বলুন তো? বিশ্বাসের জন্য।’

ঠিক সেই মুহূর্তে পরিচালকের মুখ ক্লোজআপে দেখা যায়। দ্বিতীয়বার তার উপস্থিতি, গ্রামের উচ্চবর্গীয় মানুষেরা তার কাছে পরামর্শ চাইতে গেলে। বৃদ্ধ হেড-মাস্টার সাফ জানিয়ে দেয়, তাদের এই ঝামেলায় তাকে না জড়াতে। যারা নালিশ করতে এসেছে, তারা বা তাদের পূর্বপুরুষ কীভাবে আখের গুছিয়েছিল, সে ভোলেনি। সে জানে, আজ তাদের কোথায় ঘা লেগেছে।


দীর্ঘকালের
অভিজ্ঞতার মধ্যে
দিয়ে ভাঙতে চেষ্টা করেছি,
ভেঙেছি, বুঝতে চেয়েছি; সবটা পারিনি

শেষবার ওর উপস্থিতি, যখন শুটিং ইউনিটের মানসিক অবস্থা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হওয়ার দিকে যাচ্ছে। সে এসে জানতে চায়, ‘যে বিশ্বাস নিয়ে আপনারা শুরু করেছিলেন তা, কি এখন আছে?… একটা ফাঁক, ভুল বোঝাবুঝি, যেন দুটো পৃথিবী, আপনারা আর আমরা। আমিও একদিন আপনাদের মতো শহর থেকে এসেছিলাম। দীর্ঘকালের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে ভাঙতে চেষ্টা করেছি, ভেঙেছি, বুঝতে চেয়েছি; সবটা পারিনি। তবে দোষটা কিন্তু একতরফা নয়।… আপনারা আপনাদের সামাজিক কৌলিন্য দিয়ে নিজেদের চাপিয়ে এসেছেন ওদের ওপর। ওরা কেন সহ্য করবে?’

শহরে ফিরে বাকি শুটিং করতে বলে।বেরিয়ে যাওয়ার আগে স্মিতাকে আশীর্বাদ করে। খেয়াল করা যেতে পারে, সে বলেছে ধর্ম মানে না। তবে? ছোটখাট রীতিনীতিগুলো বাঙালি সমাজের অঙ্গ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। তা খেয়াল করান মৃণাল সেন। পরের দৃশ্য দেখা যায়, ইউনিট শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে। সৃজনশীল শহুরে বাবুদের বিপরীতে এই চরিত্রের প্রস্তাবনা। শহর থেকে গ্রামে এসে, সেখানে থেকেছে। তাদের একজন হয়ে উঠেছে। তাদের কথা বোঝার চেষ্টা করেছে। কিন্ত স্বীকার করতে দ্বিধা করে না, তাদের সবটা বুঝতে পারেনি।

আকালের সন্ধানে

পরিশিষ্ট

রিফ্লেক্টরের ঢাকনাতে জুম-ইন করতে করতে, কাট করে কালো আকাশে নিয়ে আসেন। তারপর ক্যামেরা টিল্ট-ডাউন করে বাড়িটিকে ধরে, যেখানে শুটিং ইউনিট আস্তানা গেড়েছে। এটি অসামান্য ম্যাচ-কাটের নিদর্শন।

এই ছবি ঔপন্যাসিক অমলেন্দু চক্রবর্তীর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এ রকম তো হামেশাই হয়ে থাকে, উপন্যাস থেকে ছবি। হয়তো উপন্যাসটি সেরকম শোরগোল ফেলেনি; ছবিটি বিখ্যাত। অথবা উল্টোটা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। উপন্যাসটি বই আকারে প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই চলচ্চিত্রটি নির্মিত। তবে উপন্যাস ও ছায়াছবি– দুয়ের নাম একই, আকালের সন্ধানে

Print Friendly, PDF & Email
চলচ্চিত্র শিক্ষা নিয়ে চর্চারত । প্রবন্ধ, চিত্রনাট্য লেখা ,ছবি তোলা এসব নিয়ে থাকা । মাঝে মধ্যে অভিনয় ছবিতে, প্রধানত মাইমে ।। পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

১টি কমেন্ট

  1. সিনেমার প্রত্যেকটা খুটিনাটি সুন্দর ভাবে লেখায় ধরা পরেছে। ধরা পরেছে গ্রাম্য সরলতাকে ব্যবহার করে শহুরে ভন্ডামো।

মন্তব্য লিখুন

Please enter your comment!
Please enter your name here