লকডাউনের ডায়েরি-২: পেদ্রো আলমোদোভার

209
পেদ্রো আলমোদোভার

মূল : পেদ্রো আলমোদোভার
স্প্যানিশ থেকে ইংরেজি : মার দিয়েস্ত্রো-দোপিদো
ইংরেজি থেকে বাংলা : রুদ্র আরিফ

অনুবাদকের নোট:
পেদ্রো আলমোদোভার। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯-। স্প্যানিশ মাস্টার ফিল্মমেকার। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে রয়েছেন আইসোলেশনে। ফিল্ম : ‘পেপি, লুসি, বম’, ‘ল্যাবিরিন্থ অব প্যাশন’, ‘ডার্ক হেবিটস’, ‘হোয়াট হেভ আই ডান টু ডিজার্ভ দিস?’, ‘মেটাডর’, ‘ল অব ডিজায়ার’, ‘উইমেন অন দ্য ভার্জ অব অ্যা নার্ভাস ব্রেকডাউন’, ‘টাই মি আপ! টাই মি ডাউন!’, ‘হাই হিলস’, ‘কিকা’, ‘দ্য ফ্লাওয়ার অব মাই সিক্রেট’, ‘লিভ ফ্লেশ’, ‘অল অ্যাবাউট মাই মাদার’, ‘টক টু হার’, ‘ব্যাড এডুকেশন’, ‘ভলভার’, ‘ব্রোকেন এমব্রেসেস’, ‘দ্য স্কিন আই লাভ ইন’, ‘আ’ম সো এক্সাইটেড’, ‘জুলিয়েতা’ ও ‘পেইন অ্যান্ড গ্লোরি’। অস্কারজয়ী এই ফিল্মমেকার করোনাভাইরাসের দিনলিপি লিখছেন স্প্যানিশ ভাষায়। সেগুলো ইংরেজি অনুবাদে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ‘সাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ ফিল্ম ম্যাগাজিনে। তারই বাংলা অনুবাদ, এখানে, কয়েক কিস্তিতে…

আগের কিস্তি পড়তে এ বাক্যে ক্লিক করুন


আমি একেবারেই চমকে গিয়েছি; যদিও ডকুমেন্টারিটি এর আগেও দেখেছি, তবু। আমার কাটানো অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এই মুহূর্তের জীবন তো একেবারেই আলাদা; এই দুই জীবনের সঙ্গে কোনো তুলনা টানা সম্ভব নয়। শুধু জানি, আমি আটকা পড়ে গেছি এবং একইসঙ্গে বিস্ফারিত হচ্ছি। খবর দেখা প্রতিদিন একটু একটু করে আরও কমিয়ে এনেছি। আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠাকে দূরে সরিয়ে রাখার চালাচ্ছি চেষ্টা। নিষ্কৃতির যে পথ আমি খুঁজে নিয়েছি [বিনোদন ও পলায়নপ্রবৃত্তির মধ্য দিয়ে], সেটি একেবারেই একঘেয়ে। এমনকি শাভেলার ওপর বানানো যে ডকুমেন্টারি আমার আগেই দেখা, সেটিও এখন আমাকে এমন এক আবেগে আঘাত করছে– আমি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না; নিয়ন্ত্রণ করতে চাই-ও না। একদম শেষ ফ্রেমটি পর্যন্ত তাই সমানে কেঁদেই চলেছি।

সালা কারাকোল কিংবা আলবেনিজ থিয়েটারে [গায়িকা হিসেবে এই থিয়েটারেই তিনি প্রথম পা রাখেন; ফালতু মেক্সিকান সেক্সিজম তাকে ট্রাউজার ও পঞ্চো (চাদরবিশেষ) পরে মঞ্চে ওঠার অনুমতি দেয়নি; তাদের অজুহাত ছিল– এমন পোশাক পরলে নাকি সত্যিকারের নারীর মতো দেখাবে না] যখন তার সঙ্গে আমার পরিচয়, সেইসব রাতের স্মৃতিতে আমি একেবারেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি।

পেদ্রো আলমোদোভার
পেদ্রো আলমোদোভারশাভেলা ভার্গাস

প্যারিসের অলিম্পিয়ায় তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আমার। যদিও কঠিন ছিল, তবু আমরা থিয়েটারটি কানায় কানায় ভরিয়ে তুলতে পেরেছিলাম। ওই ভ্যানুতে পারফর্ম করতে অভ্যস্ত ছিলেন মাদাম পিয়াফ; তার একজন কর্মীকে সকালবেলা সাউন্ড-চেকের সময় শাভেলা চেয়ে নিলেন। আর তিনি ঠিক ওই অবস্থান থেকেই গান গেয়েছিলেন। ঠিক সেই সন্ধ্যা থেকেই, আমার একেবারেই নিজস্ব রীতির অংশ হিসেবে, শাভেলা হয়ে ওঠলেন আমার পিয়াফ; শাভেলা মঞ্চের ঠিক যে জায়গায় গিয়ে বসবেন, সেটির কয়েক সেন্টিমিটারে চুমু খেয়ে শো শুরু করেছিলাম আমি।

জেমস বন্ড সিনেমার বিনোদন থেকে উঠে এসে মুহূর্তেই এভাবে সরাসরি সেই গ্রেট শ্যামেনের কণ্ঠ আরও একবার শোনার জন্য, তার গান কিংবা কথা শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না; প্রস্তুত ছিলাম না তার সঙ্গে সঙ্গে নিজেও ‘ভ্যামোনোস’ গেয়ে ওঠতে কিংবা মাদ্রিদ ও মেক্সিকোতে তার সঙ্গে কাটানো অজস্র মুহূর্তের স্মৃতিচারণায়।


টেলিফোনে
তিনি শুধু এ কথাগুলোই
বলতে পেরেছিলেন, ‘তোমাকে
ভালোবাসি খুব’ আর ‘সময় বয়ে যায়’

মনে পড়ে, ২০০৭ সালের ক্রিসমাসের সময় ট্যাঞ্জিয়ার [মেক্সিকান শহর] থেকে তাকে ফোন করেছিলাম; তার কণ্ঠ, যে অল্প কয়েকটি শব্দ তিনি উচ্চারণ করেছেন– তার উচ্চারণ আমাকে আঁতকে দিয়েছিল। শাভেলার আরও অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি ছিল চমৎকার ক্যাস্টিলিয়ান উচ্চারণ; প্রতিটি শব্দ তার মুখের ভেতর থেকে সম্পূর্ণ উচ্চারিত হয়ে বের হতো, একটা অক্ষরও বাদ পড়ত না। টেলিফোনে তিনি শুধু এ কথাগুলোই বলতে পেরেছিলেন, ‘তোমাকে ভালোবাসি খুব’ আর ‘সময় বয়ে যায়’।

আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। দুই সপ্তাহ পর গিয়ে হাজির হয়েছিলাম তেপোজতলানের [মেক্সিকান শহর] কুইন্তা লা মোনিনায়– যেখানে তিনি নিজের তরুণ বয়স থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে বসবাস করতেন। খারাপ কিছুর জন্য মনে মনে প্রস্তুত ছিলাম আমি; জানতাম, তিনদিন আগেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু যখন তিনি শুনলেন আমি তাকে দেখতে আসছি, তার আগের রাতেই জোর করে হাসপাতাল থেকে ছাড় নিয়ে চলে এলেন; কারও কখনোই সাধ্য ছিল না শাভেলাকে ‘না’ বলার। তিনি আমাদের তেপোজতলানে তার ছোট্ট বাড়িতে স্বাগত জানালেন; ফুলে ভরা, উজ্জ্বল, পরিপাটি সেই বাড়ি। তার কণ্ঠ বরাবরের মতোই; আমরা যে তিন ঘণ্টা সেখানে ছিলাম, এক মুহূর্তের জন্যও কথা বলা থামাননি তিনি।

বিকেলবেলা বিদায় নিলাম আমরা। তিনি তার নিজের হেফাজতে রয়ে গেলেন; নিজেকে সংরুদ্ধ করে ফেললেন। স্থানীয় এক নারী সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত দেখভালের জন্য তার কাছেই ছিলেন। এরপর পরের দিন পর্যন্ত তিনি রয়ে গেলেন একাই; কেননা, রাতের বেলা নিজের দেখভাল করার জন্য কাউকে নিযুক্ত করতে রাজি হননি শাভেলা। মৃত্যু ঘনিয়ে আসা বছরগুলোতে আমার মা-ও একই রকম ছিলেন। কী এক অজানা কারণে দৃঢ়চেতা নারীরা বদমেজাজি ও একরোখা হয়ে ওঠেন। দীর্ঘরাত একা কাটানো নিয়ে কোনো আতঙ্কই কাজ করে না তাদের মনে। মূলত অন্য যেকোনোকিছুর তুলনায় তারা নিজেদের নিজেরাই ভালো চেনেন; তবে সহ্যের এক অতিমানবিক সক্ষমতাও রয়েছে তাদের।


‘এক
রাতে আমি
ধীরে ধীরে, একা
একা, থেমে যাব; আর
সেটা আমি উপভোগও করব’

আমরা তার অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রসঙ্গে আলাপ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, একজন ভালো শ্যামেন [ওঝা] যেমনটা বলে– ‘মৃত্যুকে আমি ভয় পাই না, পেদ্রো, আমরা, শ্যামেনরা মরি না, স্রেফ অতিক্রান্ত হই।’ তিনি যে ঠিকই বলছেন, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ ছিল না আমার। আমাকে আরও বললেন, ‘আমি নিস্তরঙ্গ আছি।’ আরও বললেন, ‘এক রাতে আমি ধীরে ধীরে, একা একা, থেমে যাব; আর সেটা আমি উপভোগও করব।’

দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন
ফিল্মমেকার । জন স্টার্জেস

পরের দিন তিনি আমাকে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাগত জানালেন, তারপর বাইরে নিয়ে গেলেন লাঞ্চ করাতে। পুনরুজ্জীবনে সুদক্ষ এক নারী ছিলেন শাভেলা। একদম চাঙ্গা। আনন্দ নিয়ে আমাদের তেপোজতলান ঘুরিয়ে দেখালেন। শুধু হলো চ্যাচিপ্টল পর্বত দিয়ে; তার বাড়ির একজন উল্টোদিকেই সেটি [দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন সিনেমার শুটিং জন স্টার্জেস ওই অঞ্চলে করেছিলেন]। কিংবদন্তি আছে, পরবর্তী মহাপ্রলয়ের সময় পাথর ও আগাছা ভিড়ে গুপ্ত থাকা নিজের সব দ্বার খুলে দেবে পর্বতটি; যারা এর গর্ভে ঢুকতে পারবে, বেঁচে যাবে শুধু তারাই। শাভেলার কথা ভাবছি আর আবারও চমকে উঠছি আমি। তিনি ইতোমধ্যেই পরবর্তী মহাপ্রলয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলেন; আর আমরা এখন যেটির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি– সেটি তাহলে কী? এই ভাবনা কিছুতেই মাথা থেকে নামছে না।

আমার গাল বেয়ে এখনো অশ্রু ঝরছে। আবারও জেমস বন্ড দেখা শুরু করার আগে একটু জিরিয়ে নিলাম। কিন্তু আজ রাতে আরটিভিই’র লা-টু চ্যানেলটি একেবারেই নির্দয় হয়ে উঠেছে। শাভেলার পর তারা আরেকটি ডকুমেন্টারি দেখানো শুরু করল; সেটির শিরোনামেও ‘আলো’ শব্দটি রয়েছে : লা লুজ দু আন্তোনিও’ [‘ড্রিম অব লাইট’]।

মারিয়া মোরেনো আন্তোনিও লোপেজ

আন্তোনিও– লা মাঞ্চার [স্প্যানিশ অঞ্চল] অধিবাসী এক পেইন্টার, আন্তোনিও লোপেজ; আর তার চোখের আলো হলেন তারই স্ত্রী মারিয়া মোরেনো– একজন অসাধারণ রিয়েলিস্টিক পেইন্টার– যিনি সবসময়ই রয়ে গেছেন পাদপ্রদীপের আড়ালে, ঢাকা পড়ে রয়েছেন আন্তোনিও ও পঞ্চাশের দশকের রিয়ালিস্টিক পেইন্টারদের অতিকায় গ্রুপটির ছায়ায়। ডকুমেন্টারি দেখার জোরাল পরামর্শ আমি দেব; লা-টু’তে এটি দেখছি চ্যানেলটির নিদারুণ কর্মসূচীর কারণে।


তার
কাজ এক
ধরনের আনন্দ,
রহস্যময় পরিমণ্ডলের
জাদুমন্ত্র তৈরি
করে

মারিয়া মোরেনো মারা গেছেন মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই। আমার কাছে তিনি এক সাক্ষাৎ দেবদূত; ঠিক শাভেলার উল্টো। তার কাজ এক ধরনের আনন্দ, রহস্যময় পরিমণ্ডলের জাদুমন্ত্র তৈরি করে; সেই আন্তোনিও লোপেজের পেইন্টিংয়ের চেয়ে একেবারেই আলাদা– যার সঙ্গে তিনি একই থিম ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ঠিকই, তবে নিজেকে রেখেছেন মাত্র কয়েক পা পেছনে। ডকুমেন্টারিটিতে তার পরিচয় ভিক্টর এরিকের দ্য কুইন্স ট্রি সান সিনেমার একজন ইমপ্রোভাইজড প্রডিউসার হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ওই সিনেমা, আমাদের দুনিয়ার আকার গড়ে দেওয়া অবজেক্টগুলোর ওপর প্রাকৃতিক আলোর অলৌককতা নিয়ে বোঝাপড়া করা সম্ভবত শ্রেষ্ঠ সিনেমা। আলো, সর্বদাই আলো, রাতের দিকে সুদীর্ঘ যাত্রার ভেতর বছরের বিভিন্ন ঋতুর অভিজ্ঞতা নেওয়া।

দ্য কুইন্স ট্রি সান
কাস্ট । আন্তোনিও লোপেজ
ফিল্মমেকার । ভিক্টর এরিক

এরিকের এই মাস্টারপিস সিনেমায় আন্তোনিও লোপেজকে আমরা তার স্টুডিওতে দেখতে পাই– ঝাঁড়া-মোছা করে ক্যানভাস প্রস্তুত করছেন, নতুন কাজ শুরু করবেন বলে। এ এক জমকালো রীতি। আন্তোনিও বেরিয়ে এলেন নিজের বাড়ির হতদরিদ্র বহিঃপ্রাঙ্গণে, হাতে এক গ্লাস ওয়াইন; আর আমরা তাকে কুইন্স গাছের হলুদ ফল উপভোগ করতে দেখতে পাই : লিকলিকে গাছটি, পুরোদস্তুর বিনীত এবং খানিকটা জীর্ণ। গাঢ় সবুজ পাতায় ঘেরা উজ্জ্বল হলুদ কুইন্স ফল।

সকালবেলা আন্তোনিও গাছটির কাছে যান, কুইন্সের রুক্ষ বাকলের দিকে মন দেন, তাকিয়ে থাকেন মুগ্ধতা ও পুলক নিয়ে। আর ঠিক করেন, তিনি এটির ছবি আঁকবেন; যদিও জানেন, যে চিত্র খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন, ক্যানভাসে সেটি ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব। কেননা, ফল তো জীবন্ত, তাই প্রতিদিনই সেটির কোনো না কোনো পরিবর্তন ঘটে; অন্যদিকে, আলো কখনোই সবসময় এক রকম থাকে না। কুইন্সের ওপর পড়া রোদ ছবিতে ফুটিয়ে তোলার লড়াই করতে থাকা শিল্পীর কথা বলে এই সিনেমা, যে লড়াইয়ে শিল্পী ইতোমধ্যেই হেরে বসে আছেন।

১৯৯২ সালে এরিকের সিনেমাটি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হলো; আমি ছিলাম জুরির অংশ। স্পেশাল জুরি প্রাইজ জয় সিনেমাটির প্রাপ্যই ছিল। এ নিয়ে জুরির প্রেসিডেন্ট জেরার্দ দিপার্দিউর সঙ্গে আমাকে অনেকটাই লড়তে হয়েছিল; কেননা, সিনেমাটি তার একেবারেই ভালো লাগেনি, এবং এটিকে তিনি ডকুমেন্টারি হিসেবেই গণ্য করেছেন। ভাগ্য ভালো, জুরির বাকি সদস্যদের সমর্থন আমি পেয়েছিলাম।

আমি যখন লা-টু চ্যানেল বন্ধ করলাম, ততক্ষণে রাত অনেক গভীর হয়ে গেছে। তবে তাতে অসুবিধা নেই কোনো : বন্দিদশার ভেতর সময় চক্রাকার; জেমস বন্ডকে আমি হতাশ করতে চাই না; মাকিয়াভেলিনপন্থি ও স্থূল গোল্ডফিঙ্গারের চক্রান্তগুলোকে শন কনেরি ধূলিসাৎ করে দিয়ে আমাদের সবাইকে সুরক্ষিত করার আগ পর্যন্ত আমি আজ ঘুমোচ্ছি না।


পরের কিস্তি আসছে…

Print Friendly, PDF & Email
সম্পাদক: ফিল্মফ্রি । ঢাকা, বাংলাদেশ।। সিনেমার বই [সম্পাদনা/অনুবাদ]: ফিল্মমেকারের ভাষা [৪ খণ্ড: ইরান, লাতিন, আফ্রিকা, কোরিয়া]; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো: প্রেম ও দেহগ্রস্ত ফিল্মমেকার; তারকোভস্কির ডায়েরি; স্মৃতির তারকোভস্কি; হিচকক-ত্রুফো কথোপকথন; কুরোসাওয়ার আত্মজীবনী; আন্তোনিওনির সিনে-জগত; কিয়ারোস্তামির সিনে-রাস্তা; সিনেঅলা [৪ খণ্ড]; বার্গম্যান/বারিমন; ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক; ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার চান্তাল আকেরমান; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার বেলা তার; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার নুরি বিলগে জিলান; ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; বেলা তার; সের্গেই পারাজানোভ; ভেরা খিতিলোভা; সিনেমা সন্তরণ ।। কবিতার বই: ওপেন এয়ার কনসার্টের কবিতা; র‍্যাম্পমডেলের বাথটাবে অন্ধ কচ্ছপ; হাড়ের গ্যারেজ; মেনিকিনের লাল ইতিহাস ।। মিউজিকের বই [অনুবাদ]: আমার জন লেনন [মূল : সিনথিয়া লেনন]; আমার বব মার্লি [মূল: রিটা মার্লি] ।। সম্পাদিত অনলাইন রক মিউজিক জার্নাল: লালগান

মন্তব্য লিখুন

Please enter your comment!
Please enter your name here