সিনেমায় ‘খাপড়া’ ওয়ার্ড: এক অনুচ্চারিত সংগ্রামের সিনেমা

751

লিখেছেন । সাজেদুল ইসলাম

খাপড়া– একটি অনুচ্চারিত সংগ্রামের সিনেমা
ডকু-ফিকশন
গবেষণা ও নির্মাণ । সাজেদুল ইসলাম
চিত্রগ্রহণ । আহাদুল ইসলাম, খালেক সাদমান, ফায়েদ মাসুদ খান
অভিনয় । টাঙ্গাইলের স্থানীয় ৫টি থিয়েটারের ৩৫ অভিনেতা
সম্পাদনা । আবু মুহাম্মদ তারিক, ফায়েদ মাসুদ খান
প্রথম পর্বের সময়ব্যাপ্তি । ২১ মিনিট
নির্মাণকাল । ২০১৮ [আনরিলিজড]
ভাষা । বাংলা
দেশ । বাংলাদেশ


ইতিহাস চুপ থাকে না৷ তাকে কতখানি গ্রহণ করা হলো, ভেঙেচুরে বিকৃত করা হলো, মিথ্যে জুড়ে দেওয়া হলো তাতে কিছুই যায় আসে না, মানব ইতিহাস মুখবন্ধ রাখতে পারে না। বধিরতা এবং অজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সময় তাকে ধরে রাখে।
–এদুয়ার্দো গালেয়ানো

খাপড়া ওয়ার্ড [১৯৫০, ২৪ এপ্রিল]–রাজশাহী কারাগার–রাজবন্দী নেতা–অনশন–আন্দোলন–সাত নেতার জেলহত্যা… আর একটি অনুচ্চারিত ইতিহাসের কথকতা

খাপড়া– একটি অনুচ্চারিত সংগ্রামের সিনেমা
ফিল্মমেকার । সাজেদুল ইসলাম

বাংলার কৃষক, ক্ষেতমজুর, বর্গাচাষীরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য এবং তাদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ১৯৪৮-৫০ সাল পর্যন্ত নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এই কর্মসূচিগুলো জাতীয় বা কেন্দ্রের নির্দেশনায় হয়নি। আন্দোলনের কর্মসূচিগুলো সংঘটিত হয়েছিল অঞ্চলভিত্তিক চাহিদানুসারে। তেভাগা আন্দোলন [১৯৪৬-১৯৪৭], টংক আন্দোলন [১৯৪৬-৫০],নাচোল বিদ্রোহ [১৯৪৯-৫০]– এ ধরনের আন্দোলন পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের জন্যে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে; কৃষক বিদ্রোহের আগুন সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে সারা দেশে প্রায় এক হাজার কৃষক আন্দোলনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সবাইকে জড়ো করা শুরু হয় রাজশাহীর ‘খাপড়া’ ওয়ার্ডে আন্দোলন দমনের প্রত্যাশায়। এই ‘খাপড়া’ ওয়ার্ডে একে একে বন্দি হন তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম নেতা কম্পরাম সিংসহ অন্যান্য আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিজন সেন, আনোয়ার হোসেন, সুধীন ধর, হানিফ শেখ, সুখেন ভট্টাচার্য, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল হক, সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ্, আবদুস শহীদ, আশু ভরদ্বাজ, সত্যেন সরকার, নূরুন্নবী চৌধুরী, প্রিয়ব্রত দাস, অনন্ত দেব, গণেন্দ্রনাথ সরকার, নাসিরুদ্দিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম বাদশা, শচীন্দ্র চক্রবর্তী, সাইমন মন্ডল, কালীপদ সরকার, অনিমেষ ভট্টাচার্য, বাবর আলী, প্রসাদ রায়, গারিসউল্লাহ সরকার, ভূজেন পালিত, ফটিক রায়, সীতাংশু মৈত্র, সদানন্দ ঘোষ দস্তিদার, ভোলারাম সিংহ, সত্যরঞ্জন ভট্টাচার্য, লালু পান্ডে, মাধব দত্ত, কবীর শেখ, আভরণ সিংহ, সুধীর সান্যাল, শ্যামাপদ সেন, পরিতোষ দাসগুপ্ত, হীরেন সেন, সফিউদ্দিন আহমেদের মতো চল্লিশজন কমিউনিস্ট নেতা-কর্মী৷ ভারতবর্ষ ভাগের পর দেশ শাসনের ভার কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের দায়িত্বে থাকলেও ব্রিটিশ কলা-কানুন প্রায় থেকেই যায়। এরমধ্যে অন্যতম ছিল কারা-শাস্তির বিধান।সুযোগ পেলেই কিংবা অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই কারাবন্দীদের অমানবিক নির্যাতন করা হতো।এমনকি নাচলের রানীখ্যাত ইলা মিত্রকে কারাগার প্রাঙ্গণে বেঁধে রাখা হতো উলঙ্গ করে।রাজশাহী কারাগারের কমিউনিস্ট বন্দিরা প্রথম ওই অমানবিক শাস্তির প্রতিবাদ করেন; চলে অনশন। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য কারাগারগুলোতেও। ১৯৪৯ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ও রাজশাহী কারাগারে বন্দিরা চার দফায় মোট ১৫০ দিন অনশন করেন।

খাপড়া– একটি অনুচ্চারিত সংগ্রামের সিনেমা

ভাষা আন্দোলনসহ দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে এই ঘটনার অপরিসীম অবদান থাকা সত্ত্বেও ‘খাপড়া’ ওয়ার্ড নিয়ে কোনো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি এখনো। এমনকি অনেকেই জানেনই না গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনা। যারা জানেন, তাদের অনেকেই মনে রাখেননি সেই আত্মত্যাগের কথা, এর রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা!


‘আমরা মরিনি কমরেড!
আমরা জিতব।
আগামী দিন আমাদের’…

১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল, বৈশাখ মাস। সেদিন ছিল সোমবার। টকটকে রোদ বাইরে। সারারাত মিটিংয়ের পর সকাল ৯টায় কমরেডরা আবার আলোচনায় বসলে জেল সুপার ডব্লিউ এফ বিল সরাসরি ঢুকে পড়েন খাপড়া ওয়ার্ডে। জেল সুপার রাজবন্দিদের ১৪ নম্বর সেলে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন। ওই সেলটি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য। এছাড়া সেখানে কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা রোগীদের রাখা হতো এবং কারাগারে মৃত্যুর পর বন্দিদের ময়নাতদন্ত করা হতো। কমরেড আবদুল হক বিলকে এ বিষয় নিয়ে কিছু বলতে গেলেই জেল সুপার চিৎকার করে ‘খাপড়া’র দরজা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ দেওয়ার পরই বিল দৌড়ে বের হয়ে যেতে চাইলে তার পথরোধ করে দাঁড়ান কমরেড বাবর আলী, দেলোয়ার ও রশীদ উদ্দীন। ২৪ এপ্রিল, সোমবার, আনুমানিক সকাল ৯টা ১৫মিনিটে, সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগ সরকারের বিশ্বস্ত তাঁবেদার রাজশাহী জেল সুপারিন্টেনডেন্ট এডওয়ার্ড বিল দলবল নিয়ে হঠাৎ খাপড়া ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। এক পর্যায়ে ‘কমিউনিস্টরা ক্রিমিনাল’ বলে গালি দিতে দিতে বিল ওয়ার্ড থেকে বের হন এবং বের হয়েই দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। বিল বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাগলাঘণ্টা বাজতে শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে চল্লিশজন সশস্ত্র সিপাহী ঘিরে ফেলে খাপড়া ওয়ার্ড। এরই মধ্যে দরজার ফাঁক দিয়ে নল ঢুকিয়ে গুলি চালালে কমরেড প্রসাদ রায়ের বাম ঊরুতে সাতটি বুলেট বিদ্ধ হয়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বৃষ্টির মতো গুলি চালাতে চালাতে ‘খাপড়া’য় ঢুকে পড়ে আর্মড পুলিশ। পরিস্থিতি যখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে, তখন ওয়ার্ডের ভেতর ঢোকেন জেল সুপার বিল। খুঁজে বের করেন রাজবন্দিদের নেতা আবদুল হককে। তাকে পেয়ে বিল রাগে দিশাহারা হয়ে হান্টারের শক্ত অংশ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। রক্তাক্ত আবদুল হক মেঝের ওপর পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান। এই দৃশ্য দেখে গুলিবিদ্ধ রাজশাহীর বিজন সেন চিৎকার করে ওঠেন, ‘আমরা মরিনি কমরেড! আমরা জিতব। আগামী দিন আমাদের।’ অতঃপর তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরপর একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন খুলনার আনোয়ার হোসেন, রংপুরের সুধীন ধর, কুষ্টিয়ার হানিফ শেখ, ময়মনসিংহের সুখেন ভট্টাচার্য ও কুষ্টিয়ার দেলোয়ার হোসেন। অসহায় বন্দিদের আর্তচিৎকারে ভারি হয়ে ওঠে কারাগারের বাতাস। এই হচ্ছে আমার বানানো “খাপড়া” চলচ্চিত্রের সংক্ষিপ্ত গল্প।

খাপড়া– একটি অনুচ্চারিত সংগ্রামের সিনেমা

খাপড়া ওয়ার্ডের হত্যাকাণ্ড ছিল এই উপমহাদেশে নির্বিচারে জেলহত্যার প্রথম ঘটনা।এই অপ্রচলিত আন্দোলনের ইতিহাস আমাকে নাড়া দেয় প্রচণ্ডভাবে।ইতিহাসভিত্তিক সিনেমা নির্মাণে প্রবল আগ্রহ থাকায় আমি মনস্থির করি একটি প্রামাণ্যচিত্র কিংবা ডকু-ফিকশনের মাধ্যমে এই ত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরব বর্তমান সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে।একজন স্বাধীন নির্মাতা হিসেবে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমি চেষ্টা করি ২৩ এপ্রিল এবং ২৪ এপ্রিলের ঘটনা নিয়ে একটি সিনেমা বানানোর।নির্মাণে সচেষ্ট হই “খাপড়া”; ২০১৮ সালে।নিজস্ব বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনিস্টিউটের আর্থিক সহোযোগিতায় সিনেমার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।চলচ্চিত্রটি বানাতে আমাকে সার্বিক সহায়তা করেছিলেন নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল; তার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।

খাপড়া সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট করতে গিয়ে আমি বেশ কিছু চর্চা এবং পড়ালেখার মধ্য দিয়ে নিজেকে পরিচালিত করি। বদরুদ্দীন ওমরের বই, মতিউর রহমানের খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড ১৯৫০, আব্দসুহ শহীদের কারা স্মৃতিসহ বেশ কিছু দেশি-বিদেশি পত্রিকার সহায়তায় আমি লিখে ফেলি আমার চলচ্চিত্র খাপড়ার স্ক্রিপ্ট আর চিত্রনাট্য। চলচ্চিত্রের সকল ডায়লগের কোনোটিই আমার নিজের লেখা না, পুরোটাই গবেষণাভিত্তিক। ঐতিহাসিক সত্যতায় যেন ব্যত্যয় না ঘটে, সেই দিকটি খেয়াল রাখতেই স্ক্রিপ্টিংয়ের জন্যে রিসার্চ করেছি খুবই সুক্ষ্মতার সঙ্গে । খাপড়ার গবেষণা, স্ক্রিপ্ট এবং চলচ্চিত্র– যার পুরোটাই আমি আমার তত্ত্বাবধায়কের পরামর্শক্রমে চূড়ান্ত করি এবং সকল গবেষণা ও স্ক্রিপ্ট তার কাছে হস্তান্তর করি।

খাপড়া– একটি অনুচ্চারিত সংগ্রামের সিনেমা

এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে আমি বিভিন্ন সমস্যা আর সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হই। ‘খাপড়া’ ওয়ার্ডে শুটিংয়ের অনুমতি নিয়ে পড়তে হয় এক বিশাল দীর্ঘসূত্রিতায়।ফলে প্রথমে থ্রি-ডি মডেল করেই কাজটা শুরু করি এবং পরবর্তীকালে ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় সেট নির্মাণ করে এগিয়ে যাই শুটিংয়ের দিকে।যেহেতু জায়গা স্বল্পতা ও মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে বেশকিছু জটিলতা ছিল, সেহেতু চরিত্রের সংখ্যাতেও আনতে হয় পরিবর্তন। মোট ৩৫ জন অভিনেতা ও সর্বমোট ৬৫ জন ক্রু কাজ করেছিলেন খাপড়ার নির্মাণ প্রক্রিয়ায়। তবে আমি কাজ থামিয়ে রাখিনি। প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি খাপড়াকে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা বানানোর প্রত্যাশায়।


‘বিপ্লবী অ্যাকশনের সংবাদ
বাতাস বয়ে
নিয়ে যায়’

আমি মনে করি, তরুণ নির্মাতাদের ইতিহাসভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ দেওয়া উচিত সকলের, বিশেষ করে অগ্রজ নির্মাতাদের৷ সেইসঙ্গে সামনে আসা উচিত তরুণ নির্মাতাদের এই সাহসী পদক্ষেপগুলো; একজন তরুণ নির্মাতা হিসেবে এইটুকু প্রত্যাশা নিশ্চয় করতেই পারি?

খাপড়া– একটি অনুচ্চারিত সংগ্রামের সিনেমা

বাংলাদেশে সিনেমাবান্ধব পরিবেশ এখনো তৈরি হয়ে না ওঠায় এবং নানান সীমাবদ্ধতার কারণে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ সিনেমা দর্শকের জন্যে। তাই দর্শক পর্যন্ত না পৌঁছাতে পারলে সিনেমার সার্থকতা আসে না। খাপড়া ওয়ার্ডে ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল সকালবেলা হত্যাকাণ্ড শুরুর আগে বিজন সেন বলেছিলেন, ‘বিপ্লবী অ্যাকশনের সংবাদ বাতাস বয়ে নিয়ে যায়’। তার এই কথায় অনুপ্রাণিত হয়েই শিগগিরই খাপড়া প্রর্দশনীর জন্যে আমরা কাজ করছি। ততক্ষণ অব্দি চলুন সারাবিশ্বের কাছে নিজেদের গর্ব করার মতো ইতিহাসগুলো জানতে এবং ধরে রাখতে চেষ্টা করি। ভালো থাকুন, ভালো থাকুন পৃথিবীর বিভিন্ন জীবিত আর বিভিন্ন মৃত ইতিহাস।

Print Friendly, PDF & Email

5 মন্তব্যগুলো

  1. আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

  2. ‌সি‌নেমা‌টি দেখার অ‌পেক্ষায় রইলাম। এত বড় একটা অ‌া‌ন্দোলন আর নির্মম জেলহত্যা নি‌য়ে কখনওই কিছু বলা হয়না সেভা‌বে। সি‌নেমাটা তৈ‌রি হ‌লে অ‌নে‌কেই অ‌নেক কিছু জান‌বে।

  3. আমার বাবা অনিমেষ ভট্টাচার্য খাপরা ওয়ার্ডে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে কলকাতায় বেলেঘাটা অঞ্চলের চীনাপাড়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের শ্রমিকদের নিয়ে চর্মকার ইউনিয়ন গড়ে তোলেন। এই ইউনিয়নের আন্দোলনের ফলে চামড়া ব্যবসার গতিপ্রকৃতিতে অনেক উন্নত হয়েছে। ১৯৮৩ সালে স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ২০০০সালে ১৫ জুন প্রয়াত হন। সারা জীবন উনি মনে প্রাণে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের সাথে ছিলেন।

  4. সিনেমা টি কিভাবে দেখতে পাবো তা‌ জানালে বাধিত হবো। এই উদ্যোগের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

    মালবিকা ভট্টাচার্য

  5. আমি খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী আবদুশ শহীদের ছোট মেয়ে, জয়া শহীদ। খাপড়া ওয়ার্ড নিয়ে অনেকেই ডকুমেন্টারি বানাতে চেয়েছেন। কিন্তু কেউ সফল হন নি। বাবার লেখা ‘কারাস্মৃতি’ বইটির রেফারেন্সও এখানে আছে।
    লেখাটায় কিছু ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও বলব সাজেদুল ইসলাম অসাধারণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করব।
    জয়া শহীদ

মন্তব্য লিখুন

Please enter your comment!
Please enter your name here