চ্যাপলিনকে চেনেন?

789
চার্লি চ্যাপলিন
জন্ম । ১৬ এপ্রিল ১৮৮৯; ইংল্যান্ড
মৃত্যু । ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৭; সুইজারল্যান্ড

মূল । ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো ।। তর্জমা  বিধান রিবেরু


অ নু বা দ কে র   নো ট
১৯৭৪ সালে ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো হু ইজ চার্লি চ্যাপলিন? শিরোনামে একটা মুখবন্ধ লেখেন আদ্রেঁ বাজাঁ সম্পাদিত চার্লি চ্যাপলিন গ্রন্থের জন্য। ত্রুফো প্রথম জীবনে ফ্রান্সে চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও পরবর্তীকালে পুরো বিশ্বে তিনি বিখ্যাত হন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে। অনুবাদে তৃতীয় বন্ধনীর [ ] ভেতরের মন্তব্য ও শেষে বোধনী আমার সংযোজন…

 

চার্লি চ্যাপলিন

বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতার নাম চার্লস চ্যাপলিন, কিন্তু তাঁর কাজ সিনেমার ইতিহাস থেকে বোধহয় হারিয়ে যেতে বসেছে। যেহেতু তাঁর ছবির উপর এখন আর পরিবেশন সত্ব নেই, তাই চ্যাপলিন নিজেই ছবিগুলো প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চ্যাপলিন তো আর কম প্রতারিত হননি, তাঁর ছবি নকল করা হয়েছে অসংখ্যবার এবং সেগুলো প্রদর্শিত হয়েছে অগোচরেই। নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র-দর্শক দ্য কিড, দ্য সার্কাস, সিটি লাইটস, দ্য গ্রেট ডিকট্যাটর, মঁসিয় ভোখদ্যু, লাইমলাইট ছবিগুলোর নাম জানেন শুধু নিজেদের জাহির করার জন্য। ১৯৭০ সালে চ্যাপলিন একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁর প্রায় সব কাজ তিনি আবার প্রচার করবেন, যেন তাঁর চিন্তার বিকাশটাকে পুনরায় চাক্ষুষ করার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়, বলতে পারেন অনেকটা রেলভ্রমণের মতো বিভিন্ন স্টেশন দেখতে দেখতে যাওয়া।

চলচ্চিত্র সবাক হওয়ার বছর কয়েক আগে, গোটা দুনিয়ার লেখক ও বুদ্ধিজীবী সিনেমার ব্যাপারে ছিলেন শীতল, এমনকি খুব একটা শ্রদ্ধাও দেখাতেন না, তাঁরা সিনেমাকে বিবেচনা করতেন জনপ্রিয় বিনোদন, বেশি হলে ছোটখাটো শিল্পহিসেবে, অবশ্য একজনকে তাঁরা ব্যতিক্রম হিসেবে গণ্য করতেন : চার্লি চ্যাপলিন; এই বিষয়টি গ্রিফিথ, স্ট্রোহেইম, কিটনের গুণগ্রাহীদের ভালোলাগেনি, ভালো যে লাগবে না– সেটাই স্বাভাবিক। বাহাসটা চলছিল সিনেমা আদৌ শিল্প কিনা, সেটাকে কেন্দ্র করে, কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের এমন বিতর্কে আমজনতার কিছু যায়-আসেনি, সাধারণ মানুষ এসব প্রশ্ন নিয়ে মাথাই ঘামাতো না। তাদের অসীম আগ্রহের কারণেই চ্যাপলিন ১৯২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান মানুষ হয়ে ওঠেন। এই খ্যাতির পরিমাপ এখনকার সময়ে কল্পনা করা কষ্টকর (এর তুলনা করা যেতে পারে আর্জেন্টিনায় এবা পেরন চর্চার সঙ্গে)।

লাইমলাইট

অনেকের মনেই বিস্ময় জাগতে পারে, চ্যাপলিনের বড়পর্দায় অভিষেক হয়েছে ষাট বছর পেরিয়ে গেছে, আবার কেন তাহলে চ্যাপলিনকে নিয়ে এই আয়োজন। এর পেছনে যুক্তি তো আছেই, চ্যাপলিনের মহৎ সৌন্দর্যই এই আয়োজনের কারণ।

শুরুতে সমাজে সুবিধাভোগী মানুষেরাই সিনেমা বানাতেন, পরে যখন ছবি বানানোটা ধীরে ধীরে শিল্পচর্চার বিষয় হয়ে উঠছিল, সেই ১৯২০ সালে, তখনও সিনেমা বড়লোকদের হাতেই ছিলো। বিখ্যাত মে-১৯৬৮ আন্দোলনের ‘সিনেমা/ একটি বুর্জোয়া শিল্প’ মন্ত্রটি প্রতিধ্বনি না তুলেই বলতে চাই, চলচ্চিত্র যারা তৈরি করেন এবং চলচ্চিত্র যারা দেখেন, তাদের মধ্যে সর্বদা একটি সাংস্কৃতিক ও জীবনসংক্রান্ত বিভেদ বিরাজ করে।

অ্যালকোহল আসক্ত পিতা চার্লি চ্যাপলিনকে পরিত্যাগ করেছিলেন, মাকে তিনি থাকতে দেখেছেন পাগলাগারদে, এসব ছাড়াও শৈশবে চ্যাপলিনের সঙ্গী ছিলো পুলিশের তুলে নিয়ে যাওয়ার আতঙ্ক।নয় বছর বয়সেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন কেনসিংটন রোডের ভবঘুরে, যেমনটা তিনি লিখেছেন আত্মজীবনীতে, তিনি বাস করতেন, ‘…সমাজের সবচেয়ে নিচুশ্রেণীতে।’ এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আলোচনা করেন, মন্তব্য করেন, তারপরও আমি এটি নিয়ে কথা বলছি; কারণ, সব মন্তব্যই তাঁর জীবনের চরম বৈরি অবস্থাকে তুলে ধরে, কিন্তু এসব মন্তব্যে তাঁর দুর্দশার ভেতর লুকিয়ে থাকা বিধ্বংসী ব্যাপারটা পাওয়া যায় না। কিস্টোন স্টুডিয়োর জন্য নির্মিত ‘ধাওয়া-খাওয়া’ ছবিগুলোতে চ্যাপলিন কিন্তু দৌঁড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকতেন, দ্রুত দৌঁড়াতেন, কারণ অনেক নির্মাতাই হয়তো ক্ষুধাকে তুলে ধরেছেন, কিন্তু ক্ষুধার অভিজ্ঞতা চ্যাপলিনের চেয়ে বেশি অন্যকারো ছিলো না। এই অভিজ্ঞতা দিয়েই বিপুল সংখ্যক দর্শকের অনুভূতিকে স্পর্শ করেছেন চ্যাপলিন, বিশেষ করে ১৯১৪ সাল থেকে, যখন তাঁর ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছিলো।

দ্য গ্রেট ডিকটেটর

একটা সময়বদ্ধ উন্মাদ মায়ের সন্তান চ্যাপলিন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন প্রায় সবকিছু থেকে, পরে অবশ্য তিনি সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসেন, অর্জন করেন মায়ের কাছ থেকে পাওয়া মুকাভিনয়ের গুণ, এ জন্য চ্যাপলিন কৃতজ্ঞও ছিলেন মায়ের প্রতি। যেসব শিশু একা একা বড় হয়; নৈতিক, শারীরিক ও বৈষয়িক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাদের বেড়ে ওঠা, তাদের উপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা হয়েছে সম্প্রতি। বিশেষজ্ঞরা অটিজমকে ব্যাখ্যা করেছেন একটি প্রতিরক্ষামূলক পদ্ধতি হিসেবে। চার্লি যা কিছুই করেছেন, তার প্রত্যেকটিই ছিলো এই প্রতিরক্ষামূলক পদ্ধতি। বাজাঁ ব্যাখ্যা করেন, চার্লি সমাজবিরোধী নন, সমাজবিমুখ এবং আকুলভাবে তিনি গোটা সমাজকে আকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন, বাজাঁ এভাবে বর্ণনা করছেন, ক্যানারের কথা অনুসরণ করে, সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত শিশু ও অটিস্টিক শিশুর মধ্যে পার্থক্য হলো– “যখন কেউ সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত হয়, যে দুনিয়ার সে অংশ, সেই দুনিয়াকে বর্জন করে সে নিজের সমস্যা সমাধানের চেষ্টাক রে, অন্যদিকে অটিস্টিক শিশু ধীরে ধীরে সতর্কতার সাথে সমঝোতা করতে চায় এমন দুনিয়ারস ঙ্গে, যে দুনিয়া তার কাছে শুরু থেকেই অপরিচিত

চারপাশ থেকে বিচ্যুত ([ডিসপ্লেসমেন্ট অর্থে] বিচ্যুত শব্দটি বাজাঁর লেখায় ঘুরে-ফিরে বহুবার এসেছে, ব্রুনো বেটলহেইমের অটিস্টিক শিশুদের উপর লেখা দ্য এম্পটি ফোরট্রেস বইতেও এই শব্দ বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে) হওয়ার উদাহরণ হিসেবে বেটলহেইমের বলেন, “অটিস্টিক বাচ্চারা কোনো বস্তুকে অতোটা ভয় পায় না, যতটা না ব্যক্তিকে পায়, ব্যক্তি যেহেতু বস্তু নয়, তাই অটিস্টিক শিশু নিজের অস্তিত্বের জন্য ঐ ব্যক্তিকে হুমকি মনে করে। বস্তুর ক্ষেত্রে দেখা যায়, সেটিকে ধারণ না করলেও অটিস্টিক শিশু সেটিকে ব্যবহার করছে।”

আর বাজাঁ বলেন, “দেখে মনে হয়, যখন সমাজ কর্তৃক চাপিয়ে দেয়া অর্থের বাইরে অবস্থান নিতে হয় বস্তুকে, তখন বস্তুই চ্যাপলিনের সাহায্য নেয়। এমন বিচ্যুতির এক চমৎকার উদাহরণ হলো দুই টুকরো রুটির বিখ্যাত নৃত্য, যেখানে বস্তুর সঙ্গে সম্পর্ক উন্মোচিত হয় উন্মুক্ত নৃত্য বিন্যাসে।”

মঁসিয় ভোখদ্যু

এখনকার সময়ের হিসেবে চ্যাপলিন হবেন প্রান্তিকেরও সবচেয়ে ‘প্রান্তিক’। যখন তিনি দুনিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ও ধনী শিল্পী হয়ে উঠলেন তখন বয়স অথবা বিনয়ে বাধা পড়ে গেলেন, কিংবা যুক্তি তাঁকে বাধাগ্রস্ত করেছে, ভবঘুরে চরিত্রটিকে না ছাড়ার জন্য, তিনি ঠিকই বুঝেছিলেন ‘প্রতিষ্ঠিত’ ব্যক্তির চরিত্র তাঁর জন্য নয়। নিজের পুরাণ তাঁকে ভাঙতে হতোই, আবার তাঁকে থাকতে হবে পৌরাণিক হয়েই। তাই, হয়তো, তিনি নেপোলিয়নের চরিত্র করতে চাইলেন, এরপর খ্রিস্টের জীবনী, এরপর এসব প্রকল্পবাদ দিয়েদিলেন দ্য গ্রেটডিকটেটর, মঁসিয় ভোখদু আ কিং ইন নিউইয়র্ক চিত্রায়ন করবেন বলে।মাঝে অভিনয় করলেন লাইমলাইট ছবিতে ক্যালভেরো নামের এক চালচুলোহীন ক্লাউনের চরিত্রে, যে ক্লাউন তার ম্যানেজারকে একদিন প্রশ্ন করে, “কেমন হবে আমি যদি আমার পেশা স্বতঃসিদ্ধ নামেই চালিয়ে যাই?”

সিনেমাকে চ্যাপলিন প্রায় পঞ্চাশ বছর শাসন করেছেন, প্রভাবিত করেছেন, এটা বোঝা যায় যখন লা খেগল দ্যু জ্যু [দ্য রুলস অবদ্য গেম] ছবির জুলিয়ঁ কেখেতের পেছনে তাঁকে পরিষ্কার করেই বোঝা যায়;  বা আর্খিবালদো দো লা ক্রুজের পেছনে অঁরি ভোখদুকে [চ্যাপলিন, মঁসিয় ভোখদু চরিত্রে] দেখি, অথবা দ্য গ্রেট ডিকটেটর ছবির সেই ইহুদি নরসুন্দর, যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘর পুড়ে যাওয়া দেখছিল, তাঁকে দেখা যায় ২৬ বছর পরও মিলোস ফোরম্যান পরিচালিত দ্য ফায়ারম্যান’স বল ছবির পুরনো খাম্বার পেছনে।

চ্যাপলিনের কাজকে দুই পর্বে ভাগ করা যায় : ভব ঘুরে মানুষ ও দুনিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষ। প্রথম জিজ্ঞাসা, আমি কি আছি? এরপর জবাব খুঁজুন এই প্রশ্নের, আমি কে? চ্যাপলিনের সকল কাজ, শৈল্পিক সৃজনের মূলবিষয়, পরিচয়ের এসব প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত।


দ্য কিড

বোধিনী

১. এবা পেরন
আর্জেন্টিনার একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী এবং আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট জুয়ান পেরনের দ্বিতীয় স্ত্রী।এবা ১৯৪৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগ [১৯৫২সাল] পর্যন্ত আর্জেন্টিনার ফার্স্টলেডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২. মে-১৯৬৮ আন্দোলন
পুঁজিবাদ, ভোগবাদ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সালের মে মাসে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক– ফ্রান্সের সকল শ্রেণী-পেশার জনতা রাজপথে নেমে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কারখানা– সব জায়গায় সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়, অচল হয়ে পড়ে অর্থনীতি। তৎকালীন ফরাসি রাজনীতিবিদরা আশঙ্কা করতে থাকেন ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধ না বেঁধে যায়, এ সময়ে অনেকেই নতুন করে বিপ্লবের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শার্ল দ্য গল গোপনে ফ্রান্স থেকে পালিয়ে যান কয়েক ঘণ্টার জন্য। পরে অবশ্য নতুন নির্বাচনের ঘোষণা আসায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর মধ্যেই তৈরি হয় অসংখ্য নতুন গান, গ্রাফিতি, পোস্টার ও স্লোগান; বলা যায় জোয়ার আসে শৈল্পিক কর্মকাণ্ডে। অনেক সমাজবিজ্ঞানী মনে করেন, মে মাসের এই জাগরণ যতটা না রাজনৈতিক ছিলো, তারচেয়েও বেশি ছিল সামাজিক।

৩. আদ্রেঁ বাজাঁ [১৮ এপ্রিল ১৯১৮–১১ নভেম্বর ১৯৫৮]
ফ্রান্সের প্রভাবশালী চলচ্চিত্র সমালোচক ও তাত্ত্বিক। বাজাঁ চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন ১৯৪৩ সালে। এরপর ১৯৫১ সালে জ্যাক দোনায়ল-ভ্যালখ্রোজ ও জোসেফ-মাখিলো ডুকার সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন কাইয়ে দ্যু সিনেমা, যে পত্রিকা পরে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পায়।

৪. লিও ক্যানার [১৩ জুন ১৮৯৪–৩ এপ্রিল ১৯৮১]
একজন অস্ট্রিয়ান-আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী। তিনি অটিজম নিয়ে কাজ করে খ্যাতি পান।

৫. ব্রুনো বেটলহেইম [২৮ আগস্ট ১৯০৩–১৩ মার্চ ১৯৯০]
অস্ট্রিয়ান স্বশিক্ষিত মনোবিশ্লেষক।

৬. জুলিয়ঁ কেখেত
ফরাসি অভিনেতা। তিনি জঁ রেনোয়া পরিচালিত দ্য রুলস অব দ্য গেমসহ মোট ১২৭টি ছবিতে কাজ করেছেন।

৭. আর্খিবালদো দো লা ক্রুজ 
দ্য ক্রিমিনাল লাইফ অব আর্খিবালদো দোলা ক্রুজ চলচ্চিত্রের একটি চরিত্র। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই স্পেনিশ ভাষার ছবিটি পরিচালনা করেছেন লুই বুনুয়েল

৮. দ্য ফায়ারম্যান’স বল
চেকোস্লোভাকিয়ার হাস্যরস-নির্ভর ছবি। ১৯৬৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি পরিচালনা করেছেন মিলোস ফরম্যান।

Print Friendly, PDF & Email
লেখক, সাংবাদিক, সিনে-সমালোচক। ঢাকা, বাংলাদেশ। সিনে-গ্রন্থ : চলচ্চিত্র পাঠ সহায়িকা; চলচ্চিত্র বিচার; বলিউড বাহাস; উসমান সেমবেনের চলচ্চিত্র হালা

3 মন্তব্যগুলো

  1. বইঃ চ্যাপলিন ও তৎকালীন মার্কিন সমাজ / গৌতম ভদ্র

    =======================================

    গোটা ফ্যক্টোরী ব্যবস্থার নির্মমতা দেখানো নিশ্চয়ই চার্লির একটা উদ্দেশ্য ছিল। তাঁর ভাষায়ঃ

    The things I tried to say in this film are very close to everyone. I know of a factory where the workers were fined if they went to the URINALS too often. Everyone knows there are salesmen who have to maintain an incredible pace of salesmanship continually driven by their bosses and the ones with the lowest sales are automatically DISCHARGED with NO EXCUSE ACCEPTED. You know about these things. Then you must not object if I put them on screen and SATARISE them.

    পৃষ্ঠাঃ ৭৮

মন্তব্য লিখুন

Please enter your comment!
Please enter your name here