অহেতুক কল্পনার জোরে নিম্নবিত্ত জীবনের গল্প বাছাই করার প্রতি আমার আগ্রহ নেই: দারিউস মেহরজুই

525

সাক্ষাৎকার গ্রহণ । রুদ্র আরিফ


দারিউস মেহরজুই। ইরানি মাস্টার ফিল্মমেকার। জন্ম : ৮ ডিসেম্বর ১৯৩৯, তেহরান, ইরান। তার হাত ধরেই পৃথিবীর ফিল্ম ইতিহাসে এসেছে অনবদ্য এক কাব্যিক বিপ্লব। যে বিপ্লবের নাম ‘ইরানিয়ান নিউ ওয়েভ ফিল্ম মুভমেন্ট’। ‘দ্য কাউ’, ‘মি. নেইভ’, ‘দ্য সাইকেল’, ‘দ্য স্কুল উই ওয়েন্ট টু’, ‘দ্য পিয়ার ট্রি’, ‘সারা’, ‘লায়লা’, ‘হামুন’সহ এ পর্যন্ত বাইশটি ফিল্মের এ নির্মাতা বাংলাদেশে এসেছিলেন ঢাকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রধান অতিথি হিসেবে। ১৪ জানুয়ারি ২০১২ সন্ধ্যায় সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের ফেস্টিভ্যাল প্রাঙ্গণে স্বল্প সময়ের জন্য আলাপ হয় তার সঙ্গে…


দারিউস মেহরজুই

।। রুদ্র আরিফ ।।
খুব অল্প বয়সে আপনি মিনিয়েচার পেইন্টিং ও মিউজিকের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। বাজাতেন সান্তুর ও পিয়ানো। ফিল্মের প্রতি আগ্রহ জন্মালো কখন?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
ঠিকই ধরেছেন। অল্প বয়স থেকেই শিল্প-সাহিত্যের নানা বিষয়আশয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল আমার। ফিল্ম দেখার নেশাও পেয়ে বসে সেই বয়সে। তখন আমি প্রচুর ফিল্ম দেখতাম। এর বেশির ভাগই ছিল আমেরিকান ফিল্ম। ফিল্মগুলো ভালো বোঝার জন্য ইংরেজি শেখা শুরু করলাম। তবে আমাকে সবচেয়ে বেশি চমকে দিয়েছিল যে ফিল্মটি, সেটি কিন্তু কোনো ইংলিশ ফিল্ম ছিল না। ছিল ইতালিয়ান ফিল্ম। ভিত্তোরি দি সিকার বাইসাইকেল থিফ। তখন আমার বয়স বারোর মতো। তখন থেকেই ফিল্ম নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে শুরু করলাম।

।। রুদ্র আরিফ ।।
ফিল্মমেকার হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করলেন কীভাবে?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
ফিল্মমেকার হওয়ার স্বপ্নে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার বিষয় হিসেবে ফিল্মকেই বেছে নিলাম আমি। জন্মভূমি ছেড়ে পাড়ি জমালাম যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের [ইউসিএলএ] ‘ডিপার্টমেন্ট অব সিনেমা’য় ভর্তি হলাম। যদিও সেখানে শিক্ষক হিসেবে বিখ্যাত ফরাসি ফিল্মমেকার জ্যঁ রেনোয়াকে পেয়েছিলাম, এবং তার কাছ থেকে নিয়েছিলাম অভিনেতাদের পরিচালনা করার শুদ্ধ পাঠ, তবু এ পড়াশোনা আমাকে তেমন একটা টানেনি। মনে হয়েছে, আমাকে যারা পড়াচ্ছেন, তাদের অধিকাংশেরই ফিল্মমেকিংয়ের কোনো ক্ষমতা নেই। ফলে আমি আমার মেজর সাবজেক্ট ফিল্মমেকিং থেকে পাল্টে দর্শন নিলাম। সেখান থেকে দর্শনে গ্রাজুয়েশন করে ফিল্মমেকিংয়ের স্বপ্ন নিয়ে ফিরে এলাম দেশে। কেননা, আমি আমার নিজের দেশে এসেই ফিল্ম বানাতে চেয়েছি, প্রবাসে নয়

দ্য কাউ

।। রুদ্র আরিফ ।।
আপনার দ্বিতীয় ফিল্ম দ্য কাউকে ইরানিয়ান নিউ ওয়েভ ফিল্ম মুভমেন্টের প্রথম ফিল্ম হিসেবে গণ্য করা হয়। সে অর্থে আপনার হাত ধরেই ফিল্ম দুনিয়াতে এসেছে এই সবিশেষ গুণসম্পন্ন ধারাটি। অথচ প্রথম ফিল্ম ডায়মন্ড ৩৩ ছিল ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের একটি প্যারোডি ফিল্ম। ফিল্মমেকার হিসেবে দ্বিতীয় ফিল্মে এসে কীভাবে এ রকম সমূলে বদলে ফেললেন নিজেকে?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
আসলে বাইসাইকেল থিফ দেখার পর থেকেই ইতালিয়ান নিও রিয়ালিস্ট ফিল্ম মুভমেন্টের বেশ কিছু ফিল্ম দেখেছি আমি এবং এ ধারায় ব্যাপক অনুপ্রাণিত হয়েছি। ফলে শুরু থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল রিয়ালিস্টিক ফিল্ম নির্মাণের প্রতি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ শেষে যখন দেশে ফিরলাম, তখন তো আমি একেবারেই অখ্যাত এক যুবক। ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতেও একেবারেই নবীন। ফলে বেশ ভাবনায় পড়ে গেলাম। জানেন তো, একেকটা ফিল্ম বানানোর পেছনে অনেক অর্থলগ্নি করতে হয়। ফলে, ঠিক করলাম এই প্যারোডি ফিল্মটিই বানাব, এতে করে অর্থ যোগাতে খুব একটা সমস্যা হবে না। করলামও তাই। এর ফলে ফিল্মমেকিংয়ের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়ে গেল আমার। কিন্তু ঐ যে আমার স্বপ্ন ছিল রিয়ালিস্টিক ফিল্ম বানানোর, ফলে নিজের স্বপ্নের সঙ্গে আর কোনো কম্প্রোমাইজ করতে রাজি হলাম না। বানালাম দ্য কাউ। বলা ভালো, এক্ষেত্রে আমি আমার স্বপ্নের মতো একটা ফিল্ম বানাতেই চেয়েছি কেবল, দেখাতে চেয়েছি, ডায়মন্ড ৩৩ নয়, দ্য কাউই দারিউস মেহরজুইয়ের প্রকৃত ফিল্ম। এটা কোনো নতুন ধারার সৃষ্টি করতে পারে কি-না, অত-শত ভাবিনি। তবে মুক্তির পর ফিল্মটি দেশ-বিদেশে খ্যাতি এনে দেয় আমাকে।

।। রুদ্র আরিফ ।। 
ইরানে এ নতুন ধারার ফিল্ম বানাতে গিয়ে কেমন প্রতিক্রিয়ার সম্মুখিন হতে হয়েছিল আপনাকে?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
ইরানি ফিল্মমেকারদের জন্য প্রতিবন্ধকতা একটি নিত্য-নৈমত্তিক ব্যাপার। ইরানি বিপ্লবের পরে রাষ্ট্র পরিচালনা নীতিতে কিছু পরিবর্তন এসেছে ঠিকই, কিন্তু এর সুফল এখনও পায়নি ফিল্মমেকাররা। বিপ্লবের আগে সেন্সর বোর্ডের যে রকম মাতাব্বরি ছিল, বিপ্লবের পর তা একটুও কমেনি। ফলে বিপ্লবের আগে মুক্তি পাওয়া আমার ফিল্মগুলোর মতো পরের ফিল্মগুলোও কোনো না কোনো সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। কোনো কোনো ফিল্ম নিষিদ্ধ ছিল দুই-তিন বছর, কোনোটা আবার টানা নয় বছর। এর মধ্যে আমার একটি ফিল্মকে দুই বছর নিষিদ্ধ রাখার পর কোনো রকম কারেকশন না দিয়েই মুক্তি দিয়েছে সেন্সর বোর্ড! হাস্যকর! তবে আমার দেশি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি থাকায় এক ধরনের চাপবোধ করে এক সময় না এক সময় এগুলোকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

।। রুদ্র আরিফ ।। 
মেকিং প্রসঙ্গে যাওয়া যাক। একটা ফিল্ম বানানোর আগে ফিল্মটির গল্প কীভাবে বাছাই করেন আপনি?

।। দারিউস মেহরজুই ।। 
কবি যেভাবে কবিতার বিষয়বস্তু বা অনুভূতিকে ধারণ করে, শিল্পী যেভাবে ঠিক করে নেয় তার চিত্রকর্মের বিষয়বস্তুকে, একজন ফিল্মমেকারও তেমনিভাবে ধারণ করে নেয় তার ফিল্মের গল্প। তবে সাহিত্যের প্রতি প্রবল অনুরাগ থাকার কারণে আমি দেশি কিংবা বিদেশি উপন্যাস থেকে গল্প বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। এক্ষেত্রে গল্পটিকে অবশ্যই নিজের মতো করে ধারণ করে নিই আমি। করে নিই রিয়েলিস্টিক। জানেন তো, তেহরানের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম আমার। ফলে অহেতুক কল্পনার জোরে নিম্নবিত্ত জীবনের গল্প বাছাই করার প্রতি আমার আগ্রহ নেই

লায়লা

।। রুদ্র আরিফ ।। 
আপনার ফিল্মে তো পেশাদার অভিনেতাদের পাশাপাশি অপেশাদার অভিনেতাদের, মানে সাধারণ মানুষকেও অভিনয় করতে দেখা যায়। এ সমন্বয়টা কীভাবে করেন?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
আমি আমার স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভীষণ রকম ভাবি। ফিল্মটিকে রিয়েলিস্টিক করে তুলতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করি এর। অভিনেতা যেহেতু ফিল্মের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, সেহেতু তাদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমি আমার চরিত্রগুলোর চাহিদাকে গুরুত্ব দিই। যে চরিত্রে যাকে মানাবে বলে নিশ্চিত হই আমি, তাকে নিয়েই কাজ করি। তা তিনি আগে ফিল্মে অভিনয় করেছেন কি করেননি– তাতে কিছু যায়-আসে না। আমার কাছে পেশাদার ও অপেশাদার– সব অভিনেতাই সমান। শুটিংয়ের আগে অভিনেতাদের চরিত্র অনুযায়ী গড়ে তুলি আমি। এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই ক্যামেরা অন করি।

।। রুদ্র আরিফ ।। 
ফিল্মমেকার হিসেবে একজন ফিল্মমেকারের সবচেয়ে বড় গুণ কী বলে মনে করেন?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
জানেন তো, একজন ফিল্মমেকারের মধ্যে অনেকগুলো গুণের সমন্বয় থাকতে হয়। তার থাকা লাগে অনেকগুলো চোখ। সে চোখ কবির, শিল্পীর, মিউজিশিয়ানের, ফটোগ্রাফারের, এডিটরের, এমনকি বিচক্ষণ দর্শকের। তবে আমি মনে করি এইসব গুণের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় যে গুণটি থাকা প্রয়োজন, সেটি হলো সততা। নিজের স্বপ্নের প্রতি সৎ হওয়া লাগে একজন ফিল্মমেকারের। ফিল্মটি হিট করলো কি করল না, কোনো ফেস্টিভ্যালে অ্যাওয়ার্ড পেল কি পেল না, কেউ এটি দেখল কি দেখল না– তাতে কিছু যায়-আসে না। নির্মাণের সময় নিজের স্বপ্নের প্রতি সৎ থাকলে সেটি সত্যিকারের একটি ফিল্ম হয়ে উঠবেই, তা সে যে ধারায়ই পড়ুক।

।। রুদ্র আরিফ ।। 
তরুণ ফিল্মমেকারদের প্রতি আপনার উপদেশ কী?

।। দারিউস মেহরজুই ।। 
ফিল্মে স্ক্রিপ্টকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করি আমি। একজন তরুণ ফিল্মমেকারের জন্য এটি তো আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফিল্মে আপনি যা দেখাতে চান, তা যদি স্ক্রিপ্টে ঠিকমতো লিখতে পারেন, ক্যামেরা অন করার আগে স্ক্রিপ্টের ডিরেকশন যদি আপনার যথাযথ থাকে, সবকিছু যদি পরিষ্কার থাকে আপনার কাছে, তাহলে আপনাকে ভুগতে হবে না।

।। রুদ্র আরিফ ।। 
আপনার প্রিয় ফিল্মমেকার কারা?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
অনেক ফিল্মমেকারের কাজই আমাকে মুগ্ধ করে। এদের মধ্যে আছেন লুই বুনুয়েল, ইঙ্গমার বার্গম্যান, পিয়ের পাওলো পাসোলিনি, রবার্তো ফেল্লিনি, উডি অ্যালেন… আরও অনেকেই।

সান্তুরি

।। রুদ্র আরিফ ।।
শৈশবে তো সান্তুর বাজাতেন, বললেন। ২০০৭ সালে সান্তুরবাদককে নিয়ে অসাধারণ এক ফিল্ম বানিয়েছেন আপনি। ফিল্মের নামও সান্তুরি। আপনার ৬৮ বছর বয়সে বানানো এ ফিল্মটি দেখে মনে হয়েছে, এ যেন টিনএজার কোনো ফিল্মমেকারের নির্মাণ। এর গল্প বলার ঢঙ, ইমেজ, গতি, মিউজিক, এডিটিং… সত্যিই ভীষণ তাগড়া। এতটা বছর ফিল্মে কাটিয়ে কীভাবে নিজেকে এখনও এমন তাগড়া রাখলেন?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
হা-হা-হা…! আপনার তা-ই মনে হয়েছে? জানেন, অনেক ফেস্টিভ্যালে অনেক সমালোচক আমাকে প্রায় আপনার মতোই অভিমত জানিয়েছেন। আসলে, আমি ভীষণ স্বপ্নবাজ। প্রতিনিয়ত নতুন ফিল্ম বানানোর স্বপ্ন দেখি আমি। একটা কাজ করে ফেলার পর পরের ফিল্মে সেই কাজের কোনো রকম পুনরাবৃত্তি চাই না। আর আগেই তো বলেছি আমার কাজের ধরন নিয়ে। একটি গল্প বাছাই করার পর সেটি যেমনটা দাবি করে, তেমনিভাবে সেটাকে বানাই আমি।

।। রুদ্র আরিফ ।। 
বাংলা ফিল্ম দেখেছেন কখনও?

।। দারিউস মেহরজুই ।।
দুঃখিত, সত্যজিৎ রায় ছাড়া আর কোনো বাংলা ফিল্মমেকারের কাজ দেখা হয়নি আমার। তবে সত্যজিতের প্রায় সবগুলো কাজই দেখেছি আমি। অসাধারণ ফিল্মমেকার তিনি। মাস্টার। তার সঙ্গে ৩৫ বছরেরও বেশিকাল আগে একবার ভারতের এক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি হয়েছিলাম। তার ফিল্ম দেখে নিজের সঙ্গে এক ধরনের মিল পেয়ে মুগ্ধ হয়েছি আমি। তিনি তো রিয়েলিস্টিক ফিল্মমেকার। বাংলাতে তিনি যে ধারার ফিল্ম বানিয়ে গেছেন, সে ধারার ফিল্ম ইরানে বানানোর স্বপ্ন দেখেই তো কৌশোর থেকে আমার ফিল্মের পথে এই হাঁটাচলা।

।। রুদ্র আরিফ ।।
আপনার পরবর্তী ফিল্ম নিয়ে কিছু বলুন।

।। দারিউস মেহরজুই ।।
আমি আসলেই জানি না, পরবর্তী ফিল্ম ঠিক কোনটি হবে আর সেটি কবেই বা শুরু করতে পারব। বেশ কিছু গল্প নিয়ে ভেবে রেখেছি অবশ্য, কিন্তু টাকা-পয়সার বিষয়টির এখনও সুরাহা করতে পারিনি বলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারিনি! তবে এই ফেস্টিভ্যাল থেকে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করব।


প্রথম প্রকাশ ।। নন্দন । সমকাল । জাতীয় দৈনিক পত্রিকা; বাংলাদেশ । ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
Print Friendly, PDF & Email
সম্পাদক: ফিল্মফ্রি । ঢাকা, বাংলাদেশ।। সিনেমার বই [সম্পাদনা/অনুবাদ]: ফিল্মমেকারের ভাষা [৪ খণ্ড: ইরান, লাতিন, আফ্রিকা, কোরিয়া]; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো: প্রেম ও দেহগ্রস্ত ফিল্মমেকার; তারকোভস্কির ডায়েরি; স্মৃতির তারকোভস্কি; হিচকক-ত্রুফো কথোপকথন; কুরোসাওয়ার আত্মজীবনী; আন্তোনিওনির সিনে-জগত; কিয়ারোস্তামির সিনে-রাস্তা; সিনেঅলা [৪ খণ্ড]; বার্গম্যান/বারিমন; ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক; ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার চান্তাল আকেরমান; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার বেলা তার; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার নুরি বিলগে জিলান; ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; বেলা তার; সের্গেই পারাজানোভ; ভেরা খিতিলোভা; সিনেমা সন্তরণ ।। কবিতার বই: ওপেন এয়ার কনসার্টের কবিতা; র‍্যাম্পমডেলের বাথটাবে অন্ধ কচ্ছপ; হাড়ের গ্যারেজ; মেনিকিনের লাল ইতিহাস ।। মিউজিকের বই [অনুবাদ]: আমার জন লেনন [মূল : সিনথিয়া লেনন]; আমার বব মার্লি [মূল: রিটা মার্লি] ।। সম্পাদিত অনলাইন রক মিউজিক জার্নাল: লালগান

মন্তব্য লিখুন

Please enter your comment!
Please enter your name here