মূল • সত্যজিৎ রায় । অনুবাদ • রুদ্র আরিফ
সত্যজিৎ রায় [২ মে ১৯২১-২৩ এপ্রিল ১৯৯২; কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত]। সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাববিস্তারি বাংলাভাষী, এবং বিশ্বসিনেমার অন্যতম প্রধান কিংবদন্তি মাস্টার ফিল্মমেকার। সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম সেরা ট্রিলজি কিংবা মহত্তম ফিল্ম-টেক্সট– অপু ট্রিলজির দ্বিতীয় সিনেমা অপরাজিত-এর নির্মাণকালে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান– ভারানাসি ওরফে বানারাস ওরফে কাশি-তে, অনলোকেশন শুটিংয়ের খণ্ড-খণ্ড দিনলিপি তিনি টুকে রেখেছিলেন। চলুন, পাঠ নেওয়া যাক…

১ মার্চ ১৯৫৬ [অপরাজিতর শুটিং]
ঘাট খোঁজার জন্য ভোর পাঁচটায় বের হলাম। সূর্য ওঠতে এখনো আধঘণ্টা বাকি; তবু কী যে আলো, কী যে কর্মচাঞ্চল্য– ভাবা যায় না! বুঝলাম, যারা সবার আগে স্নান করতে চান, তারা ভোর চারটায়ই চলে এসেছেন। পায়রাগুলোর কর্মকাণ্ড শুরু হয়নি এখনো; তবে কুস্তিগীরদের হয়েছে। অতুলনীয় ‘পরিবেশ’। এর মধ্য দিয়ে পরিশুদ্ধ ও সজীব হওয়ার জন্য এটিতে কেবলই নিমগ্ন হতে ইচ্ছে করছে। প্ল্যানিং, সাইট ও এক্সট্রা সংগ্রহ, ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন সেট-আপ করা, অ্যাকশন বলার জন্য প্রস্তুতি– এ সব কাজের ভাবনা ভাাল্লাগছে না। তবু এখানে, যদি কোনোখানে একটি সত্যিকারের ‘উদ্দীপক’ সেটিং পাওয়া যেত! ঘাটগুলো যে চমৎকার কিংবা রোমাঞ্চকর কিংবা অনন্য– এটুকু বললেই যথেষ্ট হবে না। [সেজন্য আপনাকে] এগুলোর অনন্যতা, এগুলোর প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন পড়বে। যতই আপনি নিরীক্ষা করবেন, [এগুলো] তত বেশি উন্মুক্ত হবে; এবং ততবেশি জানতে পারবেন– আপনার ফ্রেমে কতটুকু নেবেন আর কতটুকু বাদ দেবেন।
দুুপুরে এই একই ঘাটগুলোকে একেবারেই আলাদা লাগে। কাঠের ধাপগুলোর ধূসরবর্ণ গিরিমাটির ওপর সাদা তালি হয়ে আছে একগুচ্ছ নিশ্চল জানালা। পুণ্যস্নানের জন্য কোনো তাড়াহুড়ো নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আলোটাও আলাদা। ঘাটগুলো পূর্বমুখী। সকালে এগুলো সূর্যের আলো সামনে থেকে পুরোপুরি পায়; সরাসরি ছায়ার খেয়ায় চলাফেরার অনুভূতি হয় সুতীব্র। বিকেল চারটায় সূর্য চলে যায় উঁচু দালানের ওপারে, আর তার ছায়া পৌঁছে [ঘাটের] ওপার পর্যন্ত। ফলাফল : সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত একটি প্রসারিত আলো কর্মচাঞ্চল্যের বশীভূত প্রকৃতির সঙ্গে নিখুঁতভাবে মানিয়ে যায়।
ঘাটে সকালের দৃশ্যের শুটিং সকালে এবং দুপুরের দৃশ্যের শুটিং দুপুরেই করতে হবে।
২ মার্চ ১৯৫৬
গলি খুঁজে পেয়েছি বাঙ্গালিটোলায়। গনেশ মহাল্লার গলিগুলোই বোধ হয় সবচেয়ে বেশি ফটোজেনিক। কীভাবে? গলিগুলোর বাঁক, বাড়িগুলোর ভাঙ্গাচুরা সম্মুখভাগ, দরজা, জানালা, রেলিং, বারান্দা, কলাম ইত্যাদি সৃষ্ট নকশা– আলো এখানে গুণগতভাবে অভিন্ন; তাছাড়া, এখানকার কোনো দুপুরের শটকে কেউ সকালের ভেবে ভুল করতে পারে।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বললাম আমরা; তারা কথা দিলেন সহযোগিতা করার। এখানে আর কোথায়-ই-বা আমরা থাকব? আসলে আমরা এখানকার বাসিন্দাদের কৃপা পেয়েছি। তাদের সঙ্গে অবশ্যই সর্বাধিক সতর্কতার সঙ্গে আচরণ করতে হবে। সামান্যতম ‘অসতর্কতা’ও পারে সম্পূর্ণ কর্মপ্রচেষ্টাকে ভেস্তে দিতে পারে।

৩ মার্চ ১৯৫৬
বিশ্বনাথ মন্দিরের মোহন্তলক্ষীনারায়ণের কাছ থেকে ডাক এসেছে। উদ্দেশ্য– আমাদেরকে মন্দিরের ভেতরে শুটিং করার সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে তাকে রাজি করানো [এর আগে কখনো এমনটা করিনি আমরা]। পান্ডে, মানে আমাদের মধ্যস্থতাকারী বারবার বলে দিয়েছেন, যেন আমি ‘মৌনতা’ প্রকাশ না করে বরং ‘আমার ব্যক্তিত্বকে রক্ষা’ করি; তিনি নিশ্চিত, তাতে কাজ হবে। ঝামেলা পাকলো দুটি বিষয়ে : ১. আমি তেমন শুদ্ধভাবে হিন্দি বলতে পারি না, আর মোহন্ত [হিন্দি ছাড়া] অন্য কোনো ভাষা তেমন বুঝেন না; এবং ২. ঘটনা হলো, আমাদেরকে যে চেয়ারগুলোতে বসতে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আসলে ছারপোকার সর্বোচ্চ স্বস্তির জন্যই নকশাকৃত!
মনে হচ্ছে, মোহন্ত মহাশয়ের নিশ্চল মাথাটির প্রসন্নদায়ক নাড়া দেখতে হলে [তার কাছে] অন্তত আরও দুই বার যেতে হবে।
মন্দির থেকে ফেরার পথে আমাদের থামানো হলো। বলা হলো, আমরা সপ্তর্ষি আরতির সময়ে এসে গেছি। এ এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। যে এটা মিস করবে, সে অডিও-ভিজ্যুয়ালের একটি গ্রেট ট্রিটমেন্টকে মিস করবে। হায়, এই বর্তমান ফিল্মটিতে একটি ডেকোরেটিভ ম্যানার ছাড়া এটিকে ব্যবহার করতে পারব না আমি…।
৪ মার্চ ১৯৫৬
দুর্গা মন্দিরে গিয়েছিলাম। এখানে যারা প্রার্থনার পবিত্র উদ্দেশে আসেন, তারা সাধারণত তা করেন অর্ধমনোযোগ দিয়ে; বাকি অর্ধেক মনোযোগ থাকে বানরগুলোর দিকে। জায়গাটিতে এই প্রাণীরা এমনভাবে বিচরণ করে, যেন এটির মালিকানা তাদেরই। অসম্ভব মজা করতে করতে এগুলো মাঝে মধ্যে হয়তো আপনার চীনাবাদামের ব্যাগটি কেড়ে নেবে ভয়ংকর হিংস্রতায়। তবে ওরা যখন ঘণ্টির তারে দোল খায় এবং আচমকা ‘ঘণ্টাধ্বনি’ বাজায়, তখন তা দেখতে ও শুনতে আর কেবলই কমিক থাকে না।
এখানে অপু [ফিল্মের চরিত্র] সহকারে একটি দৃশ্য করার প্রবল সম্ভাবনা দেখছি আমি।
৮ মার্চ ১৯৫৬
স্ক্রিপ্ট ঠিকঠাক করছি। ওপেনিং-শট সবসময়ই একটা ঝামেলার বিষয়। প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে লং শটকে ক্লিশে লাগে। কিন্তু বেনারসে [কাশীতে] ওপেন হওয়া কোনো ফিল্মে এগুলোকে পুরোদস্তুর প্রয়োগ করা কি ঠিক হবে? এমনটা না করার প্রবল ইচ্ছে রাখি।
পথের পাঁচালিতে স্ক্রিপ্টটি টাইট না হওয়ায় এ ব্যাপারটি কাজে লেগেছে বলে মনে হয় আমার। এই পরিস্থিতিতে কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের মাথার মধ্যে ধারণ করা একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনার ফ্রেম-ওয়ার্কের মধ্যে ইমপ্রোভাইজেশনের জন্য প্রচুর জায়গা রাখা দরকার।

১৫ মার্চ ১৯৫৬
পায়রার শুটিং করতে ভোর পাঁচটায় ঘাটে এলাম। অবিস্মরণীয় ব্যর্থতা। কার্নিশে নিজেদের দাঁড় থেকে ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া পায়রাগুলো আকাশে সুবিশাল বৃত্তাকারে পাক খাবে– যেমনটা ওরা খায়– শটটা এ রকম হওয়ার কথা ছিল। ফুটালে পায়রাগুলো উড়তে শুরু করবে– এমনতর কাজে লাগার মতো বোমা ছিল আমাদের কাছে। ক্যামেরা রেডি ছিল, ফিউজে আগুন দিতে ম্যাচ হাতে প্রস্তুত ছিল সুবীর, আর বড় জোর আধ-মিনিটের মামলা, নিমাই তখন উন্মাদের মতো এক অবর্ণনীয় ইশারা করতে থাকল। আমরা বুঝতে পারলাম, কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে; বোমাটির বিস্ফোরণ আটকাতে গিয়ে অবিরাম মূকাভিনয় ফুটে ওঠল সুবীরের মুখে। বোমাটি ফাটল, পায়রাগুলো অনবদ্য পারফর্ম করল; কিন্তু ক্যামেরা চালু হলো না! আমরা পরে আবিষ্কার করলাম, ব্যাটারির সঙ্গে মোটরের কানেকশন হয়নি।
ভাগ্য ভালো, তিন-চারটি পাঁক খেয়ে পায়রাগুলো তাদের দাঁড়ে ফিরে এলো। দ্বিতীয় বোমাটির [চারটি ছিল আমাদের কাছে] বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শটটা নিতে পারলাম আমরা।
মোগলসরাই শহরের অভিমুখী নয়টার ট্রেনে ওঠলাম। ভবতরন আঙ্কেল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আমাদের সঙ্গী হয়েছেন রমণী বাবু [বেনারসের অধিবাসী এই ৭০ বছর বয়সী লোকটিকে ঘাট থেকে পিক করেছি]; আরও আছেন করুণা ও পিংকি। একটি থার্ডক্লাস কম্পার্টমেন্টের ভেতরে শুটিং। ভবতরনের সঙ্গে বেনারস ছেড়ে যাচ্ছে অপু আর সর্বজয়া। ট্রেনটি ব্রিজ ক্রস করছে। এস. [সর্বজয়া] আর এ. [অপু] বাইরে তাকিয়ে আছে জানালা দিয়ে। বি. [ভবরতন] কমলা খাচ্ছে, থু করে বিচি ফেলছে জানালার বাইরে। বুড়োটিকে আমরা একটা কমলা দিলাম; কিন্তু ক্যামেরা রেডি হওয়ার আগেই তিনি সেটি সাবাড় করে দিলেন! অতএব, আরেকটি দেওয়া হলো তাকে। শট ‘ওকে’; প্রত্যাশামতই ‘ট্রাই-এক্স’ পারফর্মেন্স পাওয়া গেছে।
২০ মার্চ ১৯৫৬
চৌষাটি ঘাটের ধাপে হরিহরের মুখ থুবড়ে পড়ার দৃশ্যটির শুটিং করলাম। বেশ সন্তোষজনক কাজ। নদীর বুক থেকে প্রবল বাতাস তেড়ে এসেছে, আর তা শটের মুভমেন্টকে ঋণী করে দিয়েছে। কানু বাবুর [হরিহর চরিত্রের অভিনেতা] ভূপাতিত হওয়াটা চরম বাস্তবধর্মী হয়েছে; বাজেভাবে হাঁটু কেটে গেছে তার।
নদীতে তীর ও ক্যামেরার কাছাকাছি মৃতদেহটি রাখা হয়েছে। স্নানার্থীদের বিরক্ত করা হয়নি। এটি সম্ভবত একটি কমন দৃশ্য।

২২ মার্চ ১৯৫৬
নদী থেকে পানি আনছে অপু– এই দৃশ্য দিয়ে শুটিং শুরু করেছি সকাল সাড়ে পাঁচটায়। অপুকে ফোরগ্রাউন্ডে আর নিঃসঙ্গ এক কুস্তিগীরকে দূরের ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে অন্য কোনো ফিগার ছাড়াই লংশট নেওয়ার আইডিয়া ছিল। কিন্তু স্নানার্থীরা ইতোমধ্যে চলে এসেছেন। শটটি শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত তাদেরকে পানি থেকে দূরে, এবং ক্যামেরা-ফিল্ডের বাইরে থাকতে রাজি করাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আমাদের।
ঘাট থেকে শুরু করে গলি। বন্ধুদের সঙ্গে অপুর লুকোচুরি খেলা দিয়ে দৃশ্যটির শট শেষ। লংশটের জন্য গলি থেকে অপ্রয়োজনীয় [সজীব ও নির্জীব] উপাদানগুলো পরিষ্কার করাটা ভীষণ জক্কির একটা কাজ ছিল। বিকাল চারটায় প্যাক-আপ করে ‘আরতি’র শুটিং ও রেকর্ডিং করার জন্য সরাসরি চলে গেলাম বিশ্বনাথ মন্দিরে।
মন্দিরের উল্টোদিকের গলির একটি বাড়িতে টেপ রেকর্ডার পেতেছে দুর্গা। মাইক্রোফোন, এবং ভেতরকার পূজো মণ্ডপের মাত্র দক্ষিণাদ্বার পর্যন্ত পৌঁছা ৯০ ফুট লম্বা ক্যাবল নিয়ে [দেবী] ভক্তদের ভীড় ঠেলে পোকার মতো এগিয়েছে মৃণাল। ‘আরতি’র সদ্যসজ্জিত ইমেজকে দেখার জন্য ধাক্কাধাক্কি করা ও নিজেদের গলা বাড়িয়ে থাকা জনতাকে সামলাতে দেওয়া সাময়িক বেষ্টনীকে বাড়াতে ব্যস্ত মন্দিরের পরিচারকেরা। আমরা অপেক্ষমান, ঘামছি, আর ক্যামেরার স্পর্ধিত অসামঞ্জস্যের ব্যাপারে ব্যাপক সচেতন আছি।
সময় এলো। দম নিলাম আমরা। অসাধারণ ভজনগীত শুরু হলো। কানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার মতো উচ্চস্বরের মধ্যে শুধুমাত্র নিজের চিৎকার করে ‘স্টার্ট’ ও ‘কাট’ বলাটা শুনতে পেলাম আমি।
এক ঘণ্টা ধরে ‘আরতি’ চলল। শেষ হতেই নিজেদেরকে ও আমাদের র’-স্টককে খুঁজে পেলাম নিঃশেষিত অবস্থায়। যখন প্যাক-আপ করব, তখন মোহন্তের কাছ থেকে নির্দেশ এলো, আমরা যা রেকর্ড করেছি, তা তিনি শুনতে চান। আমাদের যন্ত্রপাতি তার এপার্টমেন্ট পর্যন্ত বয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তার কাছে গিয়ে সাউন্ড বাজিয়ে শোনানোর মতো ভালো [মানুষটি] হওয়া কি ঠিক হবে আমাদের?
যন্ত্রপাতি নিয়ে মোহন্তের আবাসে পৌঁছাতে আধঘণ্টা লাগল। আরও আধঘণ্টা লাগল সেগুলোকে ইনস্টল করতে। এক ঘণ্টার পুরোটা বাজিয়ে শোনানোর পর প্যাক-আপ হলো। এই মহাশয়ের ওখান থেকে যখন আমরা ফেরার পথ ধরলাম, সময় তখন পৌনে এগারোটা। [আসার বেলায়] হেসে সম্মতি দিলেন তিনি। আমাদেরকে বকশিশও দেবেন– সে আশা অনেকটা করে বসেছিলাম আমি…!
মূল শিরোনাম • এক্সট্রাক্টস ফ্রম অ্যা বানারাস ডায়েরি গ্রন্থসূত্র • আওয়ার ফিল্মস দেয়ার ফিল্মস/সত্যজিৎ রায় প্রথম প্রকাশ • ১৯৭৬
[…] ক্যামেরাম্যান ছিলেন; আর মনে রাখার যে, সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত প্রথম পর্বের, পথের […]
[…] দারিউস মেহরজুই ।। দুঃখিত, সত্যজিৎ রায় ছাড়া আর কোনো বাংলা ফিল্মমেকারের কাজ […]
[…] যেগুলো মনে রাখার মতো। উদাহরণ স্বরূপ সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালি বা ফ্লাহার্টীর […]
[…] করছিলেন। মুহূর্তেই কুরোসাওয়া–সত্যজিৎ উঁকি মারে অালোচনায়। অার ফেলিনিকে […]
[…] শরদিন্দুর কোনো গল্প পড়ছি কিংবা সত্যজিতের সিনেমা দেখছি। স্টোরিটেলিং, ভিজুয়াল […]
[…] যেমন– হীরক রাজা [হীরক রাজার দেশে]। সত্যজিতের সৃষ্টি এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন […]
[…] বন্দোপাধ্যায়ের কাহিনী নিয়ে সত্যজিৎ রায় এই সিনেমা বানান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত […]
[…] উত্তরটা হুট করে মাথায় আসে, তা হলো– সত্যজিৎ সেরা তার পরিমিতিবোধের কারণে। […]
[…] সে গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে কথা বলবে সত্যজিতের সঙ্গে, ঋত্বিকের সঙ্গে, জহির রায়হানের […]
[…] সে উন্মোচনে সরাসরি তীব্র রাজনীতি নেই, সত্যজিৎ রায়ের মার্কামারা একধরনের মানবতাবাদী মেজাজ […]
[…] ছোটগল্প [পোস্টমাস্টার] ও একই নামে সত্যজিৎ রায়ের একটি অপেক্ষাকৃত স্বল্পচর্চিত ছোট […]
[…] নির্মাতাদের একজন। বিশ্বব্যাপী সত্যজিৎ রায় থেকে মার্টিন স্করসেজি, অসংখ্য মহান […]
[…] দত্ত, যার নামটাই কোনোদিন শুনিনি। সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সৃষ্টি পথের পাঁচালীর বিভিন্ন […]
[…] আত্মসমর্পণের আড়াল হতে পারেন যে কেউ। সত্যজিৎ ও মৃণালও। হতে পারেন জহির […]