এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী পরিচালনা । চিত্রনাট্য । সম্পাদনা • বাদল রহমান মূল কাহিনী • এরিখ কাস্টনার প্রযোজনা • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার । বাদল রহমান অভিনয় • পার্থ শহীদ । গোলাম মুস্তাফা । এটিএম শামসুজ্জামান । খোকা রহমান । শর্মিলী আহম্মেদ । সারা যাকের । টিপটিপ । শিপলু চিত্রগ্রহণ • আনোয়ার হোসেন মুক্তি • ১৯৮০ দৈর্ঘ্য • ১২৫ মিনিট ভাষা • বাংলা দেশ • বাংলাদেশ পুরস্কার • চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৯৮০ [৫টি : শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম । শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-- প্বার্শচরিত্র (গোলাম মুস্তাফা) । শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী (টিপটিপ) । শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা (বাদল রহমান) । শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ (আনোয়ার হোসেন)]
লিখেছেন । আশিক মুস্তাফা
নাৎসি সেন্সরশিপ
এরিখ কাস্টনারের মনে হলো, ভেঙ্গে যাওয়া দুই জার্মানকে এক করা দরকার, এবং এর জন্য প্রয়োজন শিশুদের মনোজগতে হানা দেওয়া! ভাবনা অনুযায়ী তার একটি উপন্যাস নাৎসি সরকারের কঠোর সেন্সরশিপকে পরাজিত করে প্রকাশিত হয়ে গেল। ১৯২৯ সালে প্রকাশিত সেই উপন্যাস বাতাসের বেগে ছড়িয়ে পড়ল দুনিয়াজুড়ে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রায় ৫৯টি ভাষায় প্রকাশিত হলো– এমিল অ্যান্ড দ্য ডিটেকটিভস। কয়েক বছরের মাথায় সেই উপন্যাস নিয়ে তৈরি হতে থাকল নাটক, সিনেমা। ১৯৩১ সালে প্রথম জার্মান ভাষায় চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। ১৯৩৫ সালে একই ভাষায় নির্মিত ছবিটি পুনঃনির্মাণ করে যুক্তরাজ্য। তবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায় ১৯৬৪ সালে ওয়াল্ট ডিজনি নির্মিত এমিলি অ্যান্ড দ্য ডিটেকটিভস। ছবিটি নির্মাণ এবং কারিগরি শৈলীর কারণে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। শিশুদের দায়িত্ববোধ, ফ্যান্টাসি, শৈশব জগৎ উপন্যাসে তুলে এনেছেন কাস্টনার। ফলে জার্মানের মতো দুনিয়ার সব শিশুদের মনে জায়গা করে নিলো এমিল ও তার গোয়েন্দারা। হাওয়া এসে লাগল বাংলাদেশে। বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসের মতো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসেও দাপুটে অবস্থান করে নিলো। যদিও বাংলাদেশে এটি নির্মিত হয়েছে ১৯৮০ সালে।
প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র
১৯৭৮ সালে সুভাষ দত্তের ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র ছিল শিশু। কিন্তু ওই চলচ্চিত্রে পরিচালকের বাণিজ্যিক বুদ্ধি অনেকাংশেই হকচকিত ছিল! তাতে তারকা-প্রথার অনুগামী থেকে পরিচালক নায়ক ও নায়িকা নির্বাচন করেছিলেন। তাই যারা ডুমুরের ফুলকে শিশুতোষ চলচ্চিত্র বলার সাহস দেখিয়ে চলেছিলেন, তারা অনেকটা লজ্জাবতীর মতো নেতিয়ে পড়লেন! অন্যদের মতো তারাও স্বীকার করে নিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র হলো– এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী। ছবির নির্মাতা বাদল রহমান ভারতের পুনে [ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া] থেকে চলচ্চিত্রে পড়াশোনা শেষ করে এই ছবিটি নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো নির্মাতার এটাই ছিল প্রথম বাংলাদেশি ছবি। তাই ব্যাপক আলোচনারও জন্ম দিয়েছিল এটি।

ব্যাকগ্রাউন্ডে যুদ্ধ
ছবির কাহিনী এরিখ কাস্টনারের হলেও, এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন বাদল রহমান নিজে। যার কারণে বিদেশি গল্প হলেও, নিজ দেশের সমাজ-বাস্তবতাকে অসাধারণভাবে যুক্ত করেছেন বাদল রহমান। ছবির কাহিনীতেও এনেছেন ব্যাপক পরিবর্তন। এমিলের গোয়েন্দা বাহিনীর শুরু হয় অসাধারণ দার্শনিক বক্তব্য দিয়ে। দেখা যায়, এক পাখি বিক্রেতা এমিলের ঘরের সামনে আসে। এমিল খাঁচাবন্দি পাখিগুলোকে দেখে চলে যায় কল্পনার জগতে, যেখানে সে দেখে– ওই পাখিগুলোকে সে মুক্ত করে দিচ্ছে। এ দৃশ্যের ভেতর দিয়ে এক অন্যরকম বার্তায় পৌঁছাতে চেয়েছেন পরিচালক। ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যায়, রাজাকাররা এমিলের বাবাকে গুলি করে মারছে। গুলিবিদ্ধ এমিলের বাবা, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে যান। ক্যামেরা ধরে রাখে তার ছিটকে পড়া চশমা। আমাদের চিন্তায় মুহূর্তেই দৃশ্যমান হয় ব্যাটলশিপ পটেমকিন-এর [সের্গেই আইজেনস্টেইন; ১৯২৫] সেই অবিস্মরণীয় ওডেসা-সিঁড়ির দৃশ্যমালা। ওদিকে পুলিশ যখন এমিলকে জিজ্ঞেস করে, ‘তোমার বাবা কী করে?’ এমিলের উত্তর ছিল, ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রাজাকাররা বাবাকে মেরে ফেলেছে। আমরা জানি, রাষ্ট্রীয় এক বৈরী-সময়ে নির্মিত এ সিনেমায়, রাজাকার শব্দটি উচ্চারণ করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন পরিচালক। শুধু তাই নয়, এমিলের মায়ের অফিসে ফিতা কাটা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী হিসেবে আসে আরেক রাজাকার। তখন, ব্যাকগ্রাউন্ডে যুদ্ধের আওয়াজ ব্যবহার করে যেন সুচতুরভাবে সেই সময়ের বাস্তবতাকে তুলে ধরেছিলেন পরিচালক। তার এই সাহসের গল্প যুগ যুগ ধরে ইতিহাসে জায়গা করে থাকা উচিত!
খেলাঘরের মুক্ত পাখীকে বন্দী করো না শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে খুলনার ছেলে এমিল ট্রেনে চড়ে ঢাকায় রওনা দেয়। কারণ, সে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ হয়েছে। তার পকেটে মা ৫০০ টাকা দেয় খালাকে দেওয়ার জন্য; কিন্তু ঘুম থেকে উঠে সে দেখে, পকেটে টাকা নেই। চোরের পিছু নেয় এমিল। ওই চোর ঢুকে পড়ে ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে। এমিল সেখানেই চোরের অপেক্ষা করতে থাকে। ঠিক তখনই এমিলের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তৃপ্তির। তার কাছে সবকিছু খুলে বলে এমিল। তৃপ্তিকে এমিলই বলে, তার বন্ধুদের নিয়ে আসতে। কারণ, বড় চোরকে ধরতে প্রয়োজন শক্তির। এ সময় বন্ধুদের নিয়ে আসে তৃপ্তি। চলে আসে শিপলু, মনির, ইমরান, নিশু, সুমন, শৈবাল, অরূপ, সুমিত। তাদের নিয়েই গঠন করা হয় গোয়েন্দা দল। তারাই রহস্য উন্মোচনের জন্য নানারকম বুদ্ধিমত্তার প্রদর্শন শুরু করে। এ সময় বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুর সম্প্ররকের অনেক ছোটখাটো বিষয়ও উঠে আসে। যেমন, এমিলের হাতের ব্যাগ এবং পানির ফ্লাক্সের ভার সবাই মিলে বইতে থাকে। কারণ, এমিলের কষ্ট হচ্ছে।

যাইহোক, এত সব কিছুর মধ্যে গল্পে হাজির হয় মামা চরিত্র। এই মামা গোয়েন্দা কাহিনী পড়তে পড়তে নিজেকে গোয়েন্দা মনে করে। তার সহযোগিতায় ওরা ঠিকই পৌঁছে যায় চোরের কাছে। ধরেও ফেলে হাতেনাতে। পরে দেখা যায়, ওই চোর কোনো ছোটখাটো চোর নয়। সে বড়-সড় ডাকাত। সম্পৃক্ততা রয়েছে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে। পরদিন পত্রিকায় বড় বড় করে এই সাহসী শিশুদের গল্প ছাপা হয়।
অভিযোগনামা
প্রশংসার জোয়ারে ভাসলেও, কিছু সমালোচনার চোখ রাঙানি সহ্য করতে হবে ছবিটিকে–
• ছবিতে এমিল ও শিপলু ছাড়া বাকি সব শিশুর অভিনয়ে তেমন পারদর্শিতা লক্ষ করা যায়নি।
• ‘চোর চোর চোর/ ধরবো আমরা মিলে সবাই/ করবো এখন গরু জবাই/ বুঝবে ব্যাটা ন্যাটার ভাই/ খুঁড়বো যখন তার কবর…’ এই গানে ‘জবাই’ ও ‘কবর খোঁড়া’র মতো শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে– যা শিশুদের মনস্তত্ত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
• ছবির এক জায়গায় চোরের পিছু নেয় মামা। সে তখন অন্য আরেক হোটেলে বৈঠকে বসে। সেখানে সিগারেট আর মদ খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়। এমন দৃশ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্রে জুড়ে দেওয়া যায় কি না!
• ছবিটি যেভাবে শুরু হলো, শেষ পর্যন্ত একঘেয়েমি ভাবটা থেকে যায় তাতে।
• এ দেশের শিশু-সাহিত্যে এর চেয়েও মজার ও বক্তব্যপূর্ণ ছবি করার মতো কাহিনী ছিল তখনও।
• বাদল রহমান চলচ্চিত্রে সম্পদনা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত; তবু ছবিটিতে সুসম্পাদনার অভাবটাই প্রকটভাবে দেখা যায়!
• আরও কিছু অসঙ্গতি এবং শব্দগ্রহণের ত্রুটির ফলে বিরক্তি চলে আসে।
তবে ছবিটা যেভাবে শুরু হয়েছিল– সেই সুচিন্তিত টাইটেল থেকে শুরু করে বিশাল ক্যানভ্যাসে প্রাচীন ভাষ্কর্যের পটভূমিতে এমিলের প্রাতঃভ্রমণ, চিন্তার মধ্যে খুনির বিভৎস মুখাবয়ব, স্বপ্নের মধ্যে পুলিশের তাড়া করা এবং সর্বক্ষণের ইচ্ছার মুক্তির আকুলতা… এইসব ছবিটির পরিপূর্ণ পরিণতির প্রতি আমাদের আশাকে ধাবিত করেছিল। কিন্তু তার পুরোটা সম্পূর্ণ হলো না– এই যা দুঃখ!

প্রাপ্তি
• এই ছবির কাহিনী প্রশংসনীয়! সে সময়ের আলোচিত ঘটনা অবলম্বনে ছবি বানালেও, বাদল রহমান তা আত্মিকরণ করতে পেরেছেন ভালোভাবেই। খুব মুন্সিয়ানা দেখিয়েই কাহিনীকে নিজস্ব ও আপন করে নিয়েছেন।
• নায়ক-নায়িকা ও প্রেম নির্ভর ছবির ভীড়ে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনীর মতো সিনেমা বানানোর সাহস লাগে। সেই সাহস ছিল বাদল রহমানের!
• এ ছবি দিয়ে সুস্থ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ আন্দোলনে বাদল রহমানের যে কৃতিত্ব, তার অংশীদার চলচ্চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেনও।
• এটিই প্রথম বাংলাদেশে ছবি– যেখানে রঙিন চিত্রগ্রহণের কাজ পরিচ্ছন্ন এবং দৃষ্টি-সুখকর ছিল।
• ছবিজুড়ে স্নিগ্ধতার আমেজ ছিল।
• তাছাড়া, চলচ্চিত্রকারের চিন্তাকে ক্যামেরা কখনই অস্বীকার করেনি; বরং সেই চিন্তাকে আরও শিল্পশ্রী করে তুলেছে।
• শিশু মনোজগতের বিস্তার ঘটাতে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী এক অসাধারণ চলচ্চিত্র। বাংলাদেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না বললেই চলে। সেখানে এই ছবি ১৯৮০ সালে সূত্রপাত করেছিল বিপুল সম্ভাবনার।
• ‘সে তো কেউ জানে না/কখন কবে আলোর ভুবন জাগলো/এলো প্রাণ, সেই থেকে সবকিছু বন্ধনহীন মুক্ত।/ এলো পাখির সুর হৃদয় ভরা গান/ ফুলের ঋতু, মানব নামের প্রাণ/ সেই মানব জেনে গেলো শেকল পরানো…’ –বিজ্ঞান ও মানবিকতাকে যেভাবে চলচ্চিত্রকার আলো দেখিয়েছেন, তা কজনইবা দেখাতে পেরেছে! এই গানই ছবির বিশালতকাকে তুলে ধরে। গানের অসাধারণ কথা ও গায়কী মুগ্ধ করার মতোই!
অনাবাদী ভূমি
২০১০ সালে বাদল রহমান না ফেরার দেশে চলে যান। তবে আশির দশকে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী বানানোর পরে বাদল রহমানের আর কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ নাই। একটা-দুটো স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি বানিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ। ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স শেষ করে, সেখানে শিক্ষকতাও করেছিলেন কিছুদিন। হয়তো সেজন্যই বাদল রহমান তেমন একটা সিনেমা বানাননি! প্রথম ছবি দিয়েই যে খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি, তা নিয়ে বাজারি প্রতিযোগিতায় নামেননি। তাই আজও আমরা এমিলের গোয়েন্দা বাহিনীর মুগ্ধ দর্শক! শিশুদের রঙের দুনিয়াকে রাঙিয়ে দিতে চলচ্চিত্র নির্মাণ যেন থমকে আছে বাদল রহমানের ছবির পর। অথচ, এখানে কাজের অনেক বিস্তৃত জায়গা– যা পড়ে আছে অনাবাদী ভূমির মতো!
অসাধারণ লেখা। সহজ ভাষায় অনেক সুন্দর একটি ফিল্ম রিভিউ পড়লাম। সেই সাথে সুচিন্তিত মতামত, বাংলাদেশের ফিল্ম সম্পর্কে ভাবনাও তুলে আনা হয়েছে লেখাটিতে। বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ফিল্ম ফ্রি কর্তৃপক্ষ এবং আশিক মুস্তাফাকে।
লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ! বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বাদল রহমান ব্যতিক্রম চলচ্চিত্রকার হয়েই অবস্থান করছেন। তিনি অনেক সুযোগ থাকার পরেও বাজারের নির্মাতা হতে চান নি…
খুব ভাল লাগল।
প্রথমে সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে কিছু কথা বলতে চাই, আসলে বলতে নয় জানতে চাই।
১) আপনি লিখেছেন – “চলচ্চিত্রে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো নির্মাতার এটাই ছিল প্রথম বাংলাদেশি ছবি।” – চলচ্চিত্রে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো নির্মাতা কি ১৯৮০ সালের ২৯ এপ্রিলের আগে কোন ছবি বানান নি? কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নির্মাতা’র কোন চলচ্চিত্র কি নির্মিত হয়নি ?
২) আপনি লিখেছেন – “এটিই প্রথম বাংলাদেশে ছবি– যেখানে রঙিন চিত্রগ্রহণের কাজ পরিচ্ছন্ন এবং দৃষ্টি-সুখকর ছিল।” – আমার প্রশ্ন – আপনি কি ১৯৮০ সালের আগে নির্মিত “সঙ্গম” (জহির রায়হান, ১৯৬৪), “সাগর” (এহতেশাম, ১৯৬৫) “মালা” (মুস্তাফিজ, ১৯৬৫, সিনেমাস্কোপ), “বাদশ” (আকবর কবির পিন্টু, ১৯৭৫), “প্রতিনিধি” (আজিম, ১৯৭৫), “দি রেইন” (এস এম শফি, ১৯৭৬), “মেঘের অনেক রং” (হারুনর রশীদ, ১৯৭৬), “বসুন্ধরা” (সুভাষ দত্ত, ১৯৭৭), “যাদুর বাশী” (আব্দুল লতিফ বাচ্চু, ১৯৭৭), “পাগলা রাজা” (আজহারুল ইসলাম খান, ১৯৭৮), “সারেং বৌ” (আব্দুল্লাহ আল মামুন, ১৯৭৮), “গোলাপী এখন ট্রেনে” (আমজাদ হোসেন, ১৯৭৮), “ফকির মজনু শাহ” (দারাশিকো, ১৯৭৮) ইত্যাদি বঙ্গীন চলচ্চিত্রগুলির এক বা একাধিক দেখে বা জেনে ঐ কথা বলছেন?
৩) আপনি লিখেছেন – “ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স শেষ করে, সেখানে শিক্ষকতাও করেছিলেন কিছুদিন।” – একথার কোন প্রমান আছে আপনার কাছে?