ট্যাক্সি ড্রাইভার । নির্মাণের নেপথ্য গল্প

1054
ট্যাক্সি ড্রাইভার। ১৯৭৬ সালে নির্মিত মাস্টারপিস ফিল্ম। কীভাবে এলো ফিল্মটির আইডিয়া, কীভাবে হলো পরিচর্যা… চলুন জানি এর নেপথ্য কারিগরদের স্মৃতি থেকে

গ্রন্থনা : রিচার্ড লাক ।। অনুবাদ : আশিকুর রহমান তানিম


ট্যাক্সি ড্রাইভার-এর আইডিয়া যখন মাথায় এলো, সেই ১৯৭৩ সালে, পল শ্রেডারের খুব বাজে অবস্থা তখন। পল যে তখন শুধু আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের চাকরিটাই খুইয়েছেন– তা নয়; সেই সাথে তার স্ত্রীও তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। তখনকার সেই বাস্তুহীনতা আর বেকারত্ব তাকে ঠেলে দিয়েছিল মদ্যপান আর হতাশার চূড়ান্ত অন্ধকারে। এতটাই ভেঙ্গে পড়েছিলেন, একসময় আত্মহত্যাও করবেন বলে ভাবছিলেন। অবশ্য, সেই চিন্তা বাদ দিয়ে, তার বদলে শহুরে একাকীত্ব আর আমেরিকার রাজপথের নির্মম জীবনযাত্রা নিয়ে পল শ্রেডার খুব নির্মোহ এক গল্প লিখেছিলেন– ট্যাক্সি ড্রাইভার

ট্র্যাভিস বিকল নামের একজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, একাকী তরুণের গল্প এই ট্যাক্সি ড্রাইভার— যেখানে আমেরিকার নিচুশ্রেণীর জীবনযাত্রার উপর তীব্র ঘৃণা তাকে একই সাথে বেশ্যার দালাল ও রাজনীতিবিদের দিকে বন্দুক তাক করতে বাধ্য করে! খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন আর সাহসী এই স্ক্রিপ্ট স্কারফেইস খ্যাত পরিচালক ব্রায়ান ডি পালমা ও প্রযোজক জুলিয়া ও মাইকেল ফিলিপসের হাত হয়ে চলে যায় রজার করম্যান স্কুল থেকে পাশ করা ডিরেক্টর মার্টিন স্করসেজির কাছে– যিনি তখন তার মিন স্ট্রিটস ছবিটি দিয়ে সদ্যই সমালোচকপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। স্করসেজি ট্যাক্সি ড্রাইভার-এর গল্পের প্রেমে পড়ে যান প্রথম পাঠেই; সাথে এও ঠিক করে ফেলেন, মিন স্ট্রিটস-এর প্রধান অভিনেতা ডি নিরোই হবেন তার ট্যাক্সি ড্রাইভার।

অতঃপর নিজেকে হত্যা করার কথা ভাবার ১২ মাস পর, পল শ্রেডার তার জীবনের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্রের জন্য চুক্তি সই করেনশ্রেডারের জন্য সেই সময়টা খুব সুখকর হলেও স্করসেজির জন্য ঠিক ততটা ছিল না। ১৪ বছর বয়েসি জোডি ফস্টারকে পতিতা চরিত্রে অভিনয় করাতে গিয়ে এই ফিল্মমেকার পড়েন সমাজকর্মীদের রোষানলে। তাছাড়া, ট্র্যাভিস বিকলের ড্রিমগার্ল বেটসি চরিত্রে সাইবিল শেফার্ডকে ঠিক করা নিয়েও প্রযোজক জুলিয়ার সাথে তার ঝামেলা বাঁধে। আর, অন্যদিকে ঠিক করা সিডিউলের বাইরেও বেশি লাগতে থাকে শুটিংয়ের সময়। কারণ? মি. রবার্ট ডি নিরো পতিতা আইরিসের দালালকে মারা থেকে ট্যাক্সির মিটার সেট করা– সব দৃশ্যেই পারফেকশান খুঁজছিলেন!

ট্যাক্সি ড্রাইভার-এর সেটে । পল শ্রেডার, মার্টিন স্করসেজি ও রবার্ট ডি নিরো
ট্যাক্সি ড্রাইভার-এর সেটে । পল শ্রেডার, মার্টিন স্করসেজি ও রবার্ট ডি নিরো

এমনকি শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ট্যাক্সি ড্রাইভার নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন মোকাবিলা করা লাগছিল এর কলা-কুশলীদের। যদিও সিনেমাটি জ্যা পল সার্ত্রের অস্তিত্ববাদী উপন্যাস নসিয়া থেকে আংশিক অনুপ্রাণিত, কিন্তু সেই সাথে এটি সম্ভাব্য আততায়ী আর্থার ব্রেমারের ডায়রির সাথেও কিছুটা মিলে যায়– যে কিনা গভর্নর জর্জ ওয়ালেসকে ১৯৭২ সালে হত্যার চেষ্টা করেছিল। অবশ্য, মজার ব্যাপার হলো, এই ছবি পরবর্তী সময়ে জন হিংকলে জুনিয়র নামের এক মাথাখারাপ জোডি ফস্টারের ভক্তকেও অনুপ্রাণিত করেছিল ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের ওপর সত্যি সত্যি গুলি চালাতে!

ট্যাক্সি ড্রাইভার-এর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও যৌনতার বহিঃপ্রকাশ নিয়ে অদ্যাবধি বিতর্ক চললেও এর ক্ষমতা ও প্রভাব প্রশ্নাতীত। হলিউডের অন্যতম সেরা সৃষ্টিশীল সময়ের এই সিনেমায় অংশগ্রহণকারী সবার সর্বোচ্চ শিল্পদক্ষতাই ফুটে আছে। যদিও সিনেমাটিকে অনেকেই ১৯৭৪ এর ডেথ উইশ সিনেমা পরবর্তী ভিজিলান্তে সিনে-ধারার একটি সংস্করণ মনে করে, কিন্তু ট্যাক্সি ড্রাইভার তার অন্যান্য প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেকদিক থেকেই স্বকীয়। পল শ্রেডার বলেন,
 এই সিনেমায় অনেকটা সতর্ক সংকেত রয়েছে, যেন ট্র্যাভিস বিকলের মতো কেউ নির্জনতায় ডুবে থাকলে ফিরে আসতে পারে। আমার ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছিল!

সম্প্রতি ফিল্মটির ৪০ বছর পূর্তিতে এর কলা-কুশলীরা এক হয়েছিলেন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে, প্রশ্নের উত্তর দিতে। এরই চুম্বকাংশে চোখ বুলানো যাক, চলুন :

পল শ্রেডার [স্ক্রিনরাইটার] :

১৯৭৩ সালে  আমি খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিলাম। আমার সংসার ভেঙে গিয়েছিল, সাথে চাকরিটাও খুইয়ে ধার-দেনায় পড়ে গিয়েছিলাম। আমি একদমই একা হয়ে পড়ি সেই সময়টায়। বাস্তুহারার মতো নিজের গাড়িতেই জীবনযাপন শুরু করি। একদিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে হয় আমাকে, আলসারের তীব্র ব্যাথায়। নার্স এলে বুঝতে পারি, গত ২/৩ সপ্তাহে আমি কারও সাথে একটি কথাও বলিনি। হঠাৎ করেই নিজেকে আমার ট্যাক্সি ড্রাইভারদের মতো মনে হতে থাকে–যারা রাতের বেলায় ধাতব কফিনে ঘুরে বেড়ায়; বিশাল জনারণ্যে এদের বিচরণ, অথচ ভীষণ একা।

মার্টিন স্করসেজি [ফিল্মমেকার]:

পুরো সিনেমা জুড়েই আমার নিউইয়র্কে বেড়ে উঠার আর শহুরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার ছাপ রয়েছে।

পল শ্রেডার :

ট্যাক্সি ড্রাইভার-এর গল্প যখন লিখছিলাম, তখন আমি ভীষণ রকম বন্দুকবাজ হয়ে যাচ্ছিলাম। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করছিলাম আর পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম সে সময়টাতে : সিনেমাতে যার প্রত্যেকটা ব্যাপারই আছে সুস্পষ্টভাবে। গল্প লেখা শেষ হবার সাথে সাথেই আমি শহর ছাড়ি প্রায় ছয় মাসের জন্য। লস অ্যাঞ্জেলেসে আবার ফিরি প্রায় ছয় মাস পর– যখন আমি মানসিকভাবে আরও একটু শক্ত হই, নতুন করে বাঁচব বলে মনস্থির করি!

মার্টিন স্করসেজি :

ব্রায়ান ডি পালমাই আমাকে প্রথম পলের ব্যাপারে বলেন; তার ট্যাক্সি ড্রাইভার নিয়ে গল্পটার কথাও। আমার আগ্রহ হতে পারে ভেবে আমাকে পড়তে দেন। আমিও পড়েই বুঝতে পারি– অসাধারণ একটা গল্প; ঠিক এমন গল্প নিয়েই কাজ করতে চাই!

প্রডিউসার জুলিয়া ফিলিপস ও ফিল্মমেকার মার্টিন স্করসেজি
প্রডিউসার জুলিয়া ফিলিপস ও ফিল্মমেকার মার্টিন স্করসেজি
জুলিয়া ফিলিপস [প্রডিউসার] :

পল শ্রেডারকে আমার সবসময়ই ভয় লাগত! এই গল্প পড়ার পর তো আমি পলের সাথে এক ঘরে একা থাকতে অস্বীকৃতিই জানালাম! অথচ, প্রথম যখন পলের সাথে দেখা হলো, সে এতই লজ্জা পাচ্ছিল যে, ওর মুখই দেখা যাচ্ছিল না!

মার্টিন স্করসেজি :

ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিল অনেকটা পাজল মিলে যাওয়ার মতো। রবার্ট ডি নিরো ছিলেন অভিনেতা, আমি পরিচালক আর পল স্ক্রিনরাইটার। আমরা তিনজন কীভাবে কীভাবে যেন একসাথে জুড়ে গিয়েছিলাম। এটাই আমরা চাচ্ছিলাম, অদ্ভুতুরে হলেও এ কথা সত্য!

পল শ্রেডার :

ট্যাক্সি ড্রাইভার আসলে অনেকটা ভাগ্যেরও ফসল। সময়মতোই ছবিটা আমরা বানিয়েছিলাম, অনেকটা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো। এটা হয়তো খুব অল্প বাজেটের লং-শট নেওয়া সিনেমা; কিন্তু আমরা ট্যাক্সি ড্রাইভারকে এভাবেই দেখতে ও দেখাতে চেয়েছিলাম।

মার্টিন স্করসেসি  :

ঐ বছর, ডি নিরো গডফাদার-২-এর জন্য অস্কার জিততে যাচ্ছিলেন। এলেন বার্স্টিন আমার সিনেমা এলিস ডাজেন’ট লিভ হেয়ার এনিমোর-এর জন্য অস্কার জিতেছিলেন, আর পল তার ইয়াকুজার স্ক্রিপ্ট বিক্রি করেছিলেন ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কাছে। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের ফুল সুইংয়ে ছিলাম। মাইকেল আর জুলিয়া ফিলিপসও দ্য স্টিং-এর জন্য অস্কার জিতেছিলেন। তবু পরে ছবির বাজেট মাত্র ১.৩ মিলিয়ন ডলার জোগাড় করতেই খবর হয়ে গিয়েছিল! এমনকি আমরা ভেবেছিলাম, ছবিটা সাদাকালোতেই শুট করব!

পল শ্রেডার :

তাছাড়া, এক পর্যায়ে, আমরা চাইছিলাম জেফ ব্রিজেসকে নিয়েই কাজটা করতে। কিন্তু, মার্টিন অপেক্ষা করেন ডি নিরোকে পাওয়ার মতো বাজেটের জন্য।

জুলিয়া ক্যামেরন [মার্টিন স্করসেজির স্ত্রী] :

ডি নিরোর কাছে মার্টিন এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি কীভাবে জুতোর ফিতে বাঁধতে হয়– সেটা নিয়েও ১০ মিনিট কথা বলতে পারতেন নির্বিঘ্নে। আমি তাদের অনর্গল ১০ ঘন্টা ধরে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কথা বলতে দেখেছি!

রবার্ট ডি নিরো [লিড অ্যাকটর] :

কিছু কিছু ব্যাপার আছে অন্তর্নিহিত– যেগুলো নিয়ে কথা না বলাই ভালো আসলে। সেগুলো পত্রিকার চেয়ে সিনেমায় দেখতেই বেশি ভালো লাগে। তাই না?

আইরিস চরিত্রে জোডি ফস্টার
আইরিস চরিত্রে জোডি ফস্টার
জোডি ফস্টার [কিশোরী পতিতা আইরিস চরিত্রের অভিনেত্রী] :

 প্রথমে আমি সিনেমাটা করতে চাইনি; কারণটা অবশ্য হাস্যকর, ভেবেছিলাম আমার বন্ধুরা এটা নিয়ে হাসাহাসি করবে! ভেবেছিলাম, কোনো ২১ বছর বয়েসি মেয়ের জন্য এটা পারফেক্ট রোল; কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ঠিক কতটুকু– বুঝতে পারছিলাম না! আমি তো অল্পবয়েসী ডিজনি কিড ছিলাম!

মার্টিন স্করসেজি : 

জোডিকে নিয়ে আমার কোনো দ্বিধা ছিল না। ও খুবই ফ্রেশ ও পরিচ্ছন্ন মানসিকতার ছিল। ও আমার নির্দেশগুলো সত্যিই ভালোভাবে নিচ্ছিল। আসলে, ওর ন্যাচারাল একটা কারুকাজ আছে, একটা ক্ষমতা আছে– যেটা অসাধারণ!

জোডি ফস্টার :

৪ ঘন্টা মনোবিজ্ঞানীর সাথে কাটিয়েছিলাম এটা প্রমাণের জন্য যে, পতিতা চরিত্র করার জন্য আমি যথেষ্ট পরিণত! এই চরিত্র আমার জীবনই বদলে দিয়েছে, সত্যি বলতে। আমি সত্যিকারের অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলাম। প্রথমবারের মতো, আলাদা কিছু করেছিলাম। আমি অবশ্য আমার চরিত্র সম্পর্কে জানতাম। হলিউড বুলেভার্দের মাত্র ৩ ব্লক দূরে আমি বড় হয়েছি; আমাকে আইরিসের মতো মেয়েদের প্রত্যেকদিনই দেখতে হতো!

পল শ্রেডার :

রবার্ট তার ট্যাক্সি ড্রাইভার চরিত্রের এতটাই ডুবে ছিলেন যে, এটাকে ফুটিয়ে তুলতে দুই সপ্তাহের মতো ক্যাব চালিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায়। তিনি একটা লাইসেন্সও জোগাড় করেছিলেন, পুলিশের কাছে আঙুলের ছাপ রেখে, রীতিমতো ট্যাক্সি ড্রাইভারদের মতোই রাস্তায় নেমেছিলেন!

তারা এখন । বাঁ থেকে সাইবিল শেফার্ড, মার্টিন স্করসেজি, রবার্ট ডি নিরো, জোডি ফস্টার ও হার্ভে কেইটেল
তারা এখন । বাঁ থেকে সাইবিল শেফার্ড, মার্টিন স্করসেজি, রবার্ট ডি নিরো, জোডি ফস্টার ও হার্ভে কেইটেল
মার্টিন স্করসেজি :

আমিও ওর সাথে মাঝে মাঝে ট্যাক্সিতে ঘুরতাম। রবার্ট বলতেন, তার সবচেয়ে অবাক লাগতো যে, তিনি সম্পূর্ণ অ্যানোনিমাস হ্যাকারের মতো অন্য মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে ঢুঁ মারতে পারতেন। মানুষজন পেছনে বসে যা ইচ্ছা তাই করত, যা ইচ্ছা তাই বলত– যেন, ট্যাক্সি ড্রাইভারের কোনো অস্তিত্বই নেই!

রবার্ট ডি নিরো :

আমি এমনিতে খুব চুপচাপ মানুষ। তবে, তখন যাত্রীদের সাথে টুকটাক কথা বলতাম চরিত্রের মধ্যে থাকতে।

মার্টিন স্করসেজি :

একদিন রবার্ট এমন একজনকে ক্যাবে তুলেছিলেন, যিনি অভিনেতা হতে চাইছিলেন ঐ সময়। আগের বছরেই অস্কারজয়ী অভিনেতাকে ট্যাক্সি চালাতে দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘হায় খোদা! এক বছরে আপনি অস্কার জিতছেন, আরেক বছরে ট্যাক্সি চালাচ্ছেন! একটা স্থিতিশীল কাজ পাওয়া কি কঠিন!” পরে, রবার্ট ওকে বুঝিয়ে বলেছিলেন, ব্যাপারটা আসলে কি!

পল শ্রেডার :

ট্যাক্সি ড্রাইভার-এর অনেক ডায়লগই ইম্প্রোভাইজ করা হয়েছিলো। সবচেয়ে বিখ্যাত ডায়লগ ‘Are you talkin’ to me?’ ছিল রবার্টের ইম্প্রোভাইজেশন! স্ক্রিপ্টে শুধু লেখা ছিল, ট্র্যাভিস আয়নায় নিজের সাথে কথা বলছে। রবার্ট আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তার কি বলা উচিৎ। আমি বললাম, ‘ট্র্যাভিস নতুন পিস্তল পেয়ে বাচ্চার মতো উত্তেজিত থাকবে; কিন্তু নিজেকে আবার খুব পরিণত ভাবতে থাকবে!’ অতঃপর, ডি নিরো এই লাইনটি ব্যাবহার করেন, যেটি নিউইয়র্কের একজন আন্ডারগ্রাউন্ড কমেডিয়ান নিজের পাঞ্চ-লাইন হিসেবে ব্যবহার করতেন।

জোডি ফস্টার :

আমার মনে হয়, এটি আমেরিকায় বানানো সেরা সিনেমাগুলোর একটি। এটি আমেরিকার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় : আমেরিকার সহিংসতা, আমেরিকার একাকিত্ব… এটি ধ্রুপদী সিনেমা। আমি প্রত্যেকদিন সেট থেকে ফিরেই অনুভব করতাম, সত্যিই কিছু একটা কাজের কাজ করছি!

পল শ্রেডার :

যখন আমি অল্পবয়েসি ফিল্মমেকারদের সাথে কথা বলি, তারা আমাকে বলেন– এটা তাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে, তাদের বলার মতো ভাষা দিয়েছে। আমি বুঝি, এই সিনেমাটা অনেকটা সামাজিক আইকন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, সত্যি বলতে, এটা পলিটিক্যাল ফিল্ম ছিল না। ছিল আমার খুব ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির মিশেল।


সূত্র : স্যাবোটেজ টাইমস । অনলাইন ম্যাগাজিন । ১২ জুলাই ২০১৬
Print Friendly, PDF & Email

4 মন্তব্যগুলো

  1. Scorsese r masterpiece Taxi Driver r onyotamo anuprerona Satyajit Ray r ‘Abhijan’… Samayabhabe Banglish lekhar jonyo dukkhito.

মন্তব্য লিখুন

Please enter your comment!
Please enter your name here