মার্লোন ব্রান্ডো
জন্ম : ৩ এপ্রিল ১৯২৪; নিব্রাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু : ১ জুলাই ২০০৪; ক্যালিফোর্নিয়া; যুক্তরাষ্ট্র
লিখেছেন । মুনতাসির রশিদ খান
মার্লোন ব্রান্ডোকে অনেকে দ্য গডফাদার বা অ্যাপোকেলিপস নাউ চলচ্চিত্রের জন্য মনে রাখলেও তার অভিনয়ের সাথে আমার পরিচয় একটু ভিন্নভাবে, বছর সাতেক আগে খুঁজছিলাম চলচ্চিত্রে নাটকের ভালো রূপায়ন করেন– এমন এক অভিনেতাকে। চার্লটন হেসটন অথবা লরেন্স অলিভিয়েরের মতো শেক্সপিয়ারিয়ান ক্ল্যাসিক্যাল অভিনেতাদের চেয়ে বেশি কিছু। সে সময়ই খুঁজে পাই ১৯৫১ সালে চলচ্চিত্রায়িত বিখ্যাত আমেরিকার নাট্যকার টেনিসি উইলিয়ামসের অ্যা স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার-এ স্টানলি কোয়ালস্কি চরিত্রের জন্য অস্কার মনোনীত মার্লোন ব্রান্ডোকে। শেক্সপিয়ারিয়ান ক্ল্যাসিকেও সমকালীন সবাইকে ছাপিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি, তা দেখিয়ে দেন ১৯৫৩ সালে জুলিয়াস সিজার-এ মার্ক অ্যান্থনি চরিত্রের মাধ্যমে। এ চরিত্রে উচ্চাভিলাষ আর বিশ্বস্ততার যে চারিত্রিক দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন তিনি, সেটা একজীবনে একজন অভিনেতার সেরা সাফল্য বলে ধরা যায়।
১৯২৪ সালে আমেরিকার ওমাহায় জন্ম নেওয়া মার্লোন ব্রান্ডো তার ৮০ বছরের জীবনে অভিনয় করেছেন ৩৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আর অনেকগুলো ডকুমেন্টারিতে। ব্রডওয়েতে থিয়েটারে ১৯৪৪ সালে অভিনয় করার মাধ্যমে মঞ্চে পদার্পন করেন তিনি। ১৯৫০ সালে দ্য ম্যান ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র অভিষেক ঘটে ব্রান্ডোর। চলচ্চিত্রে তার সব থেকে বড় অবদান– চরিত্রের বাস্তব রূপায়ন। বাণিজ্যিকভাবে দারুণ সফল ছবি করতে গিয়ে ব্রান্ডো কিন্তু তার শিল্পীসত্ত্বার সাথে আপস করেননি। এ জন্যই আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে মনোনীত হয়ে দু’বার [অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট ও দ্য গডফাদার] জিতে নিয়েছেন অস্কার। এরমধ্যে ১৯৫২ থেকে ১৯৫৫ সাল– টানা চার বছর সেরা অভিনেতা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনি। তার অভিনীত চরিত্রগুলো ছিল সবসময়ই বৈচিত্র্যময়– কখনো পোলিশ ফ্যাক্টরি সেলসম্যান [অ্যা স্টিটকার নেমড ডিজায়ার], মেক্সিকান বিপ্লবী [ভিভা জাপাতা], রোমান সেনাপতি [জুলিয়াস সিজার], মানসিক ভারসাম্যহীন কর্নেল [অ্যাপোকেলিপস নাউ], বখাটে বাইকার [দ্য ওয়াইল্ড ওয়ান] কিংবা গডফাদার [দ্য গডফাদার]।

অভিনেতা হিসেবে ব্রান্ডো অনুসরণ করতেন স্তানিস্লাফস্কি মেথড-এর, যেন নিজেকে অভিনীত চরিত্রটিতে পরিণত করতেন পারেন। হলিউডের প্রথম দিকে মেথড অ্যাক্টিং জনপ্রিয় করে তোলায় তার অবদান অনস্বীকার্য। এর সব থেকে ভালো উদাহরণ সম্ভবত অ্যা স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার চলচ্চিত্রটি। এলিয়া কাজান পরিচালিত এ ছবিতে তখনকার তারকা-অভিনেত্রী ভিভিয়ান লেইয়ের বিপরীতে স্টানলি কোয়ালস্কি চরিত্রে অভিনয় করেন তখন চলচ্চিত্রে নতুন মুখ মার্লোন ব্রান্ডো। এ চরিত্রে দেখা যায় আবেগের অস্বাভাবিক বৈচিত্র্য। হঠাৎ পোকার খেলায় হেরে রাগের মাথায় সব কিছু ভাঙচুর করে আবার মাতাল অবস্থায় অনুতপ্ত হয়ে চিৎকার করে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়া। পুরো ছবি জুড়েই ব্রান্ডো ছিলেন কখনো শিশুসুলভ রোমান্টিক, আবার কখনো মাতাল, উগ্র, পাশবিক স্বামী। অভিনেতা মার্লোন ব্রান্ডো পরিণত হয়েছেন ব্যক্তি স্টানলি কোয়ালস্কিতে।
অভিনয় নিয়ে তার ভাবনার কথা বলতে গিয়ে আত্মজীবনী সংস মাই মাদার টট মিতে লিখেছেন–
আমি সবসময় অভিনয়ের লাভ বলতে ভেবেছি নিজের আবেগকে প্রকাশের সেই সুযোগটি নেওয়া– যা বাস্তবজীবনে করা সম্ভব না। আমাদের ভেতরের তীব্র আবেগ ধোঁয়ার মতো বেরিয়ে আসতে চায়, সাইকোড্রামার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হিসেবে এটা কাজ করতে পারে। আমার ধারণা, ছোটবেলাতে আমার আবেগের অসহায়ত্ব, নিজেকে নিয়ে হতাশা, ভালোবাসতে চাওয়া বা সেটা না পাওয়া, নিজের কোনো মূল্য নেই ভাবা– এ সবই সম্ভবত আমাকে অভিনেতা হতে সাহায্য করেছে। এটা আমাকে এমন একটা তীব্রতা দিয়েছে– যা সাধারণের থাকে না।

জুলিয়াস সিজার ছবিটি ব্রান্ডোর নিরীক্ষাধর্মী একটি ছবি। এ ছবিতে তাকে মার্ক অ্যান্থনি চরিত্রে নির্বাচন করা হলে, অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেন। শেক্সপিয়ারিয়ান ছন্দময় সংলাপ আর ব্রান্ডোর তীব্র আবেগের সংমিশ্রণে মার্ক অ্যান্থনির যে ভাষণ– সেটি এখনোও চলচ্চিত্রের সর্বকালের অন্যতম সেরা ভাষণগুলোর অন্যতম। থিয়েটারে ক্ল্যাসিক অভিনয়ের যে আড়ষ্ঠতা থাকে, সেটি উড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতার শীর্ষে ওঠার জন্য মানুষের আবেগকে ব্যবহার করার চালাকি পন্থা অবলম্বনকারী মার্ক অ্যান্থনি চরিত্রে মার্লোন ব্রান্ডো বুঝিয়ে দিয়েছেন, জাত-অভিনেতার কাজ হচ্ছে ব্যাকরণের বাইরে এসে নিজের স্বকীয়তা কাজে লাগানো।

জুলিয়াস সিজার যে বছর মুক্তি পায়, সে বছরই ব্রান্ডো অভিনয় করেন দ্য ওয়াইল্ড ওয়ান ছবিতে। এ ছবিটি ১৯৫০ দশকের তরুণদের দারুণভাবে প্রভাবিত করে। ব্ল্যাক রেবেলস মোটরসকেল ক্লাব নামের একদল তরুণ বাইকার জনি স্ট্র্যাংলারের [মার্লোন ব্রান্ডো অভিনীত] নেতৃত্বে চলে আসে ডাইটসভিল নামে ছোট্ট এক শহরে। পরে তাদের কারণে শহরে শুরু হয় গোলমাল, আর এর মাঝেই জনি স্ট্র্যাংলারের সাথে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে কফিশপের মালিকের মেয়ে ক্যাথির সাথে। পরে জনরোষের মুখে শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় ব্ল্যাক রেবেলস মোটরসকেল ক্লাব। পরে ক্যাথকে বিদায় জানাতে আবার সেই শহরে ফিরে আসে জনি স্ট্র্যাংলার । সুদর্শন ব্রান্ডোর অভিনয়ের কারণে তাকে অনুসরণ করে মোটরসাইকেল জ্যাকেট, টিলটেড ক্যাপ পরেছেন কিংবদন্তি এলভিস প্রিসলি আর জেমস ডিনও ।

অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট ছবিটি ব্রান্ডোর অভিনয় জীবন আর ব্যক্তিগত ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ। এই ছবিতে উঠে এসেছে শোষকশ্রেণির সাথে হাত মিলিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের দুর্নীতি আর অত্যাচার। এ ছবিটি সমাজবাদী ভাবধারার সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ। এ ছবিতে ব্রান্ডো অভিনয় করেছে টেরি ম্যালয় নামের, এক বন্দর-শ্রমিক চরিত্রে– যে একজন ভালো বক্সারও। মালিকশ্রেণি আর শ্রমিকনেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে পড়তে নির্যাতনের মুখে– যার প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত অন্য শ্রমিকরাও এগিয়ে আসে।
১৯৫৭ সালে, সায়োনারা ছবিতে আবারও মার্লোন ব্রান্ডো তুলে আনেন জাতিগত ভেদাভেদের গল্প। এই ছবি চারটি ক্যাটাগরিতে অস্কার জেতে। সাদা-কালো যুগের পর এটি মার্লোন ব্রান্ডোর প্রথম রঙিন সিনেমা। এখানে তিনি অভিনয় করেন কোরিয়ান যুদ্ধে অংশ নেওয়া ফাইটার প্লেন-চালক মেজর লয়েড গ্রুভার চরিত্রে– যে আমেরিকার জনৈক জেনারেলের ছেলে। সে প্রেমে পড়ে যায় জনৈক জাপানি মঞ্চাভিনেত্রীর। শেষ পর্যন্ত সে পদত্য্যাগ করে ভালোবাসার টানে। এ ছবির মাধ্যমে ব্রান্ডো দর্শকদের শেখান– বিদেশিদের সম্পর্কে ভিন্নভাবে ভাবতে।

ব্রান্ডোর অভিনয়-জীবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বছর সম্ভবত ১৯৭২ সাল। এ বছর মুক্তি পায় দ্য গডফাদার ও লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস। মারিও পুজোর রগরগে উপন্যাসকে বইয়ের পাতা থেকে তুলে এনে ব্রান্ডো জিতে নেন আরেকটি অস্কার। ছবিতে তাকে দেখা গেছে তার প্রকৃত বয়স থেকে ১৫-২০ বছর বয়স্ক, ভিটো কার্লিওন চরিত্রে। দ্য গডফাদার-এর সাফল্য মিলিয়ে যেতে না যেতেই ব্রান্ডোর লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস ছবিটি খোলামেলা যৌনতার জন্য ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। কিন্তু মধ্যবয়সী পল চরিত্রে ব্রান্ডো তুলে ধরতে পেরেছেন অস্তিত্বসংকট আর বিকৃত অভিলাষী পুরুষ সত্তাকে। নিজের অভিনীত অনেক ছবির মতো ব্রান্ডো এখানেও কোনো দৃশ্যের সংলাপ মুখস্ত না করে, নিজের মতো বলে, গল্পটি ফুটিয়ে তুলেছেন।

অ্যাপোকেলিপস নাউ ১৯৭৯ সালে মার্লোন ব্রান্ডোর আরেকটি ক্ল্যাসিক, যেখানে দ্য গডফাদার-এর পর কিংবদন্তী পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার সাথে আবারও কাজ করেছেন তিনি। ছবিটি বিখ্যাত সাহিত্যিক জোসেফ কনরাডের হার্ট অব ডার্কনেস উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত।
জীবনের গুরুত্ব বুঝতে পারা অভিনেতার দায়িত্ব, তাকে রূপান্তর করা তার সমস্যা আর তাকে প্রকাশ করা তার অধ্যবসায় –ব্রান্ডোর নিজের বলা কথাই যেন প্রতিফলিত হয়েছে এ ছবিতে। ছবিটির গল্প– ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, আর্মির স্পেশাল ফোর্সের কর্নেল ওয়াল্টার ই. ক্লাটজ মানিসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে আর কম্বোডিয়ার ভেতরে উপজাতীদের কাছে দেবতা বনে যায়। তাকে হত্যা করার মিশনে পাঠানো হয় পাঁচজনকে। তারা শেষ পর্যন্ত খুজে পায় কর্নেল কার্টজকে; এবং হত্যা করে। এ ছবিতে ব্রান্ডোর অভিনয় ছিল এক রহস্যময় চরিত্র হিসেবে। পুরো ছবিটি যেন কর্নেল ওয়াল্টার ই. ক্লাটজকে বোঝার চেষ্টা। যুদ্ধ মানুষের মধ্যে যে পরিবর্তন আনে, তাও ফুটে ঊঠেছে এখানে। মানুষের ভেতরের ভয়ঙ্কর আতঙ্ক আর অসহায়ত্ব– যা অভিশাপের মতো তাড়া করে ফেরে দুঃস্বপ্ন হয়ে– এ যেন তারই রূপান্তর।

ব্রান্ডোর কাছে অভিনয়ের প্রতিটি মূহুর্ত ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তার অভিনয়ের গুরু ছিলেন স্টেলা অ্যাডলার। তিনি ব্রান্ডোর ব্যতিক্রমী অভিনয়-ভাবনা সম্পর্কে একটি গল্প বলেছিলেন : একবার ক্লাসে সবাইকে তিনি মুরগী হিসেবে কল্পনা করতে বলেছিলেন, বোমারু বিমানের সাইরেন শুনে তারা কি প্রতিক্রিয়া করবেন। সবাই যখন ছোটাছুটি করছিল, ব্রান্ডো তখনও বসেছিলেন শান্তভাবে। বসে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি নাকি বলেছিলেন,
আমি তো মুরগি; বোমারু বিমানের সাইরেন আর অন্য শব্দের পার্থক্য তো আমার জানার কথা না!
রবার্ট ডুভিল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,
[১৯৭০ দশকের শুরুর দিকে] আমার সাথে ডাস্টিন হফম্যানের প্রায়ই ওষুধের দোকানে দেখা হতো। আমরা তাকে [ব্রান্ডো] নিয়ে দিনে অন্তত পঁচিশবার কথা বলতাম। তিনি ছিলেন অভিনেতাদে গডফাদার।
২০০৮ সালে মারা যান এ মহান, কিংবদন্তি অভিনেতা ।
মার্লোন ব্রান্ডোর ফিল্মোগ্রাফি
দ্য ম্যান [ফ্রেড জিনমান; ১৯৫০]
দ্য স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার [এলিয়া কাজান; ১৯৫১]
ভিভা জাপাতা! [এলিয়া কাজান; ১৯৫২]
জুলিয়াস সিজার [জোসেফ এল. ম্যানকিভিচ; ১৯৫৩]
দ্য ওয়াইল্ড ওয়ান [লাজলো বেনেডেক; ১৯৫৩]
অন দ্য ওয়াটার ফ্রন্ট [এলিয়া কাজান; ১৯৫৪]
ডিজায়ার [হেনরি কস্টার; ১৯৫৪]
গাইজ অ্যান্ড ডলস [জোসেফ এল. ম্যানকিভিচ; ১৯৫৫]
দ্য টিহাউস অব দ্য আগস্ট মুন [ড্যানিয়েল মান; ১৯৫৬]
সায়োনারা [জসুয়া লোগান; ১৯৫৬]
দ্য ইয়ং লায়নস [এডওয়ার্ড দিমিত্রিক; ১৯৫৮]
দ্য ফিউজিটিভ কাইন্ড [সিডনি লুমেট; ১৯৫৯]
ওয়ান-আইড জ্যাকস [মার্লোন ব্রান্ডো; ১৯৬১]
মিউটিনি অন দ্য বন্টি [লুইস মাইলস্টোন; ১৯৬২]
দ্য আগলি আমেরিকান [জর্জ ইংলান্ড; ১৯৬৩]
বেডটাইম স্টোরি [রাফ লেভি; ১৯৬৪]
মরিচুরি [বার্নহার্ড উইকি; ১৯৬৫]
দ্য চেস [আর্থার পেন; ১৯৬৬]
দ্য আপালোসা [সিডনি জে. ফিউরি; ১৯৬৬]
অ্যা কাউন্টলেস ফ্রম হংকং [চার্লি চ্যাপলিন; ১৯৬৭]
রিফ্লেকশনস ইন অ্যা গোল্ডেন আই [জন হাস্টন; ১৯৬৭]
ক্যান্ডি [ক্রিশ্চিয়ান মার্কুয়ান্ড; ১৯৬৮]
দ্য নাইট অব দ্য ফলোয়িং ডে [হুবার্ট কর্নফিল্ড; ১৯৬৮]
বার্ন! [জিল্লো পন্তেকর্ভো; ১৯৬৯]
দ্য নাইটকামারস [মাইকেল উইনার; ১৯৭২]
দ্য গডফাদার [ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা; ১৯৭২]
লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস [বের্নার্দো বের্তোলুচ্চি; ১৯৭২]
দ্য মিসৌরি ব্রেকস [আর্থার পেন; ১৯৭৬]
সুপারম্যান [রিচার্ড ডোনার; ১৯৭৮]
অ্যাপোকেলিপস নাউ [ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা; ১৯৭৯]
দ্য ফরমুলা [জন জি. অ্যাভিল্ডসেন; ১৯৮০]
অ্যা ড্রাই হোয়াইট সিজন [ইউজান পালসি; ১৯৮৯]
দ্য ফ্রেশম্যান [অ্যান্ড্রু বার্গম্যান; ১৯৯০]
ক্রিস্টোফার কলম্বাস : দ্য ডিসকভারি [জন গ্লেন; ১৯৯২]
ডন জুয়ান ডিমার্কো [জেরেমি লিভান; ১৯৯৫]
দ্য আইল্যান্ড অব ড. মরো [জন ফ্রাঙ্কেনহেইমার; ১৯৯৬]
দ্য ব্রেভ [জনি ডেপ; ১৯৯৭]
ফ্রি মানি [ইভেস সিম্যনু; ১৯৯৮]
দ্য স্কোর [ফ্রাঙ্ক ওজ; ২০০১]
[…] এবং ক্যাপ্টেন জন চরিত্রের জন্য মার্লন ব্র্যান্ডোর মতো বিরাট তারকা অভিনেতাকে পাওয়া যেত। […]