রাজা আমারি। জন্ম : ৪ এপ্রিল ১৯৭১; তিউনিস, তিউনিসিয়া। প্রতিশ্রুতিশীল আরব ফিল্মমেকার আলোচিত হয়ে ওঠেন ফিচার ফিল্ম রেড সাটিন নির্মাণ করে। চলুন, এই সিনেমা ঘিরে তার সঙ্গে আলাপ জমানো যাক…
সাক্ষাৎকার : কেট স্কালজ । অনুবাদ : রুদ্র আরিফ
নিজের শর্টফিল্মগুলোর মতো ফিচার ফিল্ম রেড সাটিন-এও আপনি এমন সব চরিত্র ও কাহিনী হাজির করেছেন– যা অনেক দর্শকই আগে কখনো দেখেনি। অবাক হয়ে ভাবি, এইসব ফিল্মের কাহিনীর উৎস আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আসা নয় তো?
রাজা আমারি : উত্তরটা হ্যাঁ এবং না। এগুলোকে আমি সম্ভবত আমার চারপাশে ঘটতে দেখেছি এবং এরপর গ্রহণ করে কাহিনীর মধ্যে জুড়ে দিয়েছি; তবে বিষয়টি আত্মজৈবনিক কিংবা সে রকম কিছু নয়। এ কেবল আমার চারপাশের ব্যাপার-স্যাপার। এসব দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি এবং এর উপর কাজ করেছি। রক্ষণশীল মানুষ আসলে গবেষণার একটি ভালো বিষয়; কেননা, তারা আমার চেয়ে আলাদা ধরনের। তাদেরকে আমি আমার চারপাশে প্রকাশিত হতে দেখি। আর দেখে অনুপ্রাণিত হই এবং সেখান থেকে কয়েকটি চরিত্র ও কাহিনীর বিকাশও ঘটাই। রক্ষণীলতার কিনারে পৌঁছা একটি স্বাভাবিক পরিবারের সন্তান আমি। রাজধানী তিউনিসে এক ক্যাবারের [আমোদ-প্রমোদের সরাইখানা] পাশেই আমার বাস। এ এমনই এক জগত– যেখানে আগে ঢুকিনি। ফিল্মটি আমাকে দিয়েছে এ জগতে প্রবেশের সুযোগ।

»» আমেরিকান স্ট্রিপ-ক্লাবগুলোর সঙ্গে তিউনিসিয়ান ব্যালে-ড্যান্স ক্যাবারেগুলোর তুলনা কীভাবে করবেন?
রাজা আমারি : এটি আসলে স্ট্রিপ-টিজ থেকে একেবারেই আলাদা; কেননা, ক্যাবারের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন আছে। লোকজন সাধারণত সেখানে যায় আনন্দ করতে। পার্টি, আনন্দ আর আমাদের পরিবেশকে প্রকাশ করার চেষ্টা ছিল আমার। সত্যিকারের যে নারীরা সেখানে নাচে, রীতি অনুসারে তারা তাদের শরীর দেখায় ঠিকই; তবে সেটিকে আপনি কোনোভাবেই স্ট্রিপ-টিজ বলতে পারবেন না। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে, এবং নিজেদেরকে তারা নিজেদের মতো করেই জাহির করে।
»» ক্যাবারের ফুটেজ দেখে নাচের প্রতি আপনার ভীষণ অনুরাগের প্রমাণ মেলে। এ নিয়ে কিছু বলবেন?
রাজা আমারি : দেখুন, এই ফিল্মের কন্যা চরিত্রটির মতোই আমিও আগে নাচ শিখেছি। ব্যালে ড্যান্স আমার সত্যি খুব প্রিয়। তাছাড়া, ১৯৪০ ও ১৯৫০ দশকের মিসরীয় মিউজিক্যাল ফিল্মগুলোর অভিনেত্রীরা ভীষণ প্রিয় আমার; যেমন– সামিয়া জামাল। তখনকার দিনে তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের কিন্নরকণ্ঠী গায়িকা; ছিলেন বিখ্যাত। তখনকার মিউজিক্যাল ফিল্মগুলো দেখতে সত্যিই ভালোবাসি আমি। রেড সাটিন-এর শুটিং আমাকে এ জগতে প্রবেশের একটি রাস্তা করে দিয়েছে। কয়েক মাস আগে ফ্রান্সের বিখ্যাত পত্রিকা লা মঁদে আমাকে একটি ফিল্মক্লাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছিল, যেন কোনো ফিল্মকে হাজির ও পরিচয় করিয়ে দিই। আমি তখন সামিয়া জামালের একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম বেছে নিয়েছিলাম। ফিল্মটি কী যে আধুনিক, এবং তাতে নর্তকীর কতটা স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বাধীনতা রয়েছে– তা দেখে লোকজন খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। আরব বিশ্বে নর্তকীরা এখন যতটা স্বাধীনতা পান, তখন আসলে তারচেয়েও বেশি পেতেন। আর, কীভাবে নারীরা অধিকতর প্রাচ্য-পন্থায় নাচের পর অধিকতর পশ্চিমা-পন্থায় বাঁক বদল করে নেন, সে ব্যাপারে তারা ভীষণ আগ্রহী। তারা এটি আশা করেননি।
»» রেড সাটিন-এ আপনি সমাজে নারীদের ভূমিকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেছেন নাকি কোনো নারীর আর্তনাদ ও জাগরণের ব্যক্তিগত কাহিনী বর্ণনা করেছেন?
রাজা আমারি : ফিল্মের মূল চরিত্র লিলিয়াকে নিয়ে কাজ করেছি আমি; সে তিউনিসিয়ান সমাজের কোনো প্রতিনিধি নয়। আমি স্রেফ এই সুনির্দিষ্ট চরিত্রটিকে নিয়ে কাজ করেছি। তার ক্রমবিকাশ ও ফিল্মটি জুড়ে তার জার্নির ধরনকে নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছি আমি। চরিত্রটিকে সমাজের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে দিতে চাইনি। সেটি আমার উদ্দেশ্যও ছিল না। স্বভাবতই, আরব ও তিউনিসিয়ান ফিল্মগুলোতে আপনি নারীকে পাবেন সমাজের সঙ্গে দ্বন্দ্বমুখর ও লড়াইরত অবস্থায়। আমি সেটি চাইনি। সেটি আমার সাবজেক্ট ছিল না। হাইম আব্বাস অভিনীত লিলিয়া চরিত্রটি আসলে সামাজিক ভন্ডামির মধ্যে নিজের স্বাধীনতা খুঁজে নিয়েছে। সে যে সমাজের অংশ, সেটির ভন্ডামির মধ্যে দুটি দুনিয়ার খোঁজ মেলে : একটি রাতের দুনিয়া, আরেকটি দিনের। আপনি যা করেন, আপনি সত্যিকার অর্থেই যা করেন, সেটি আপনি দেখান না। সমাজ তো এ রকমই– এই বোধে আপোস খুঁজে নেয় সে। সে স্রেফ সমাজের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়। সে যা চায়, তা-ই করে; তবে তা দুনিয়ার সামনে জাহির করে না।

»» ফিল্মটির শিরোনাম সম্পর্কে কিছু বলবেন?
রাজা আমারি : ক্যাবারের নাম হিসেবে ধরে নিয়ে এটিকে প্রায়ই ভুল ব্যাখ্যা করে লোকজন। শিরোনামটি আসলে রেড সাটিন ফেব্রিক [লাল রেশমী বস্ত্র] থেকে নেওয়া। এই দৃশ্যটি আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ; কেননা, এই মুহূর্তেই লিলিয়া সেই চমৎকার টেক্সচারের সামনে স্বপ্ন দেখে, এবং সে প্রলুব্ধ হয়। আর এই মুহূর্তটিতেই তার জীবন একটি ভিন্নতর পথে বাঁক নেয়। এই বেলা থেকে সে সেইসব জিনিস কিনতে শুরু করে, যেগুলো আগে কিনতে পারেনি– এ কারণেও মুহূর্তটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। নিজ সত্তার এবং নিজের টাকার স্বাধীনতা সে নিতে পারে– যা পারেনি আগে। ম্যাটেরিয়াল ও টেক্সচারটি হলো তার জন্য আরেকটি দুনিয়াকে গ্রহণ করার উপায়। কারণ স্রেফ এই যে, এত কোমলতা আর এত রঙিন ও আলোর সারি তাকে এই আরেক দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ করে, এবং একটি শ্রেষ্ঠতর জীবনের বোধ ও স্বপ্নকে তার ভেতর জাগিয়ে তোলে।
»» রেড সাটিনকে আমেরিকান [পশ্চিমা] দর্শকরা যেভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে আপনার অনুভূতি কী? আপনি কি চমকে গেছেন?
রাজা আমারি : দর্শকদের এই অভ্যর্থনা আমাকে খুশি করেছে; কেননা, আমি যখন তাদের কাছে প্রতিক্রিয়া আশা করেছি, তখন তারা সুন্দরভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বেশ ভালো সাড়া দিয়েছে তারা। আমি নিশ্চিত ছিলাম না– কী আশা করব; কেননা, একেক দেশের প্রতিক্রিয়া একেকরকম হয়ে থাকে। আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম না; কেননা, ফ্রান্সে থাকা অবস্থাতেই লোক-মুখে শুনেছিলাম, আমেরিকানরা এক ধরনের রাশভারি আচরণ করে। ফলে তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে খানিকটা চিন্তায় ছিলাম।
»» ফিল্মটির বাজেট কেমন ছিল? আর অর্থলগ্নির বিষয়টি কীভাবে ঘটেছে?
রাজা আমারি : ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এটি একটি যৌথ-প্রযোজনার ছবি। ফ্রান্স আর তিউনিসিয়া থেকে যৌথভাবে টাকা এসেছে। ফলে কাজটি সহজ হয়েছে। অর্থলগ্নি সরকারই করেছে। তিউনিসিয়ার এর কেনো বিকল্প নেই। এখানে সরকারের তহবিল থেকেই অর্থ নিতে হয়; এর বাইরে আর কোনো উপায় নেই।
»» শর্টফিল্মগুলো ও রেড সাটিন–এর জন্য বেশকিছু পুরস্কার জিতেছেন আপনি। অন্য তরুণ ফিল্মমেকারদের জন্য আপনার ফিল্মমেকিং টেকনিকের কোন গোপনসূত্র প্রকাশ করবেন?
রাজা আমারি : কঠোর পরিশ্রম। আরব সিনেমা সাধারণত যেভাবে বানানো হয়, সেগুলোতে যা ও যেভাবে দেখানো ও ব্যাখ্যা করা হয়– আমি আমার ফিল্মে তা থেকে ভিন্নভাবে কথা বলতে চাই; সম্ভবত এটিই আমার সাফল্যের কারণ। লোকজন সহজে সম্পৃক্ত হতে পারে কিংবা বেশি পছন্দ করে– এমনতর একটি ভিন্ন ভঙ্গিমা সম্ভবত আমার রয়েছে। তাছাড়া, সাবজেক্ট হিসেবে নারীদেরকে আমি যেভাবে জাহির করি, সেটিও সম্ভবত একটি কারণ। নারী চরিত্রগুলো বশবর্তী নয়; বরং তারা সক্রিয়। আর এটিই সম্ভবত দর্শকদেরকে আকৃষ্ট করে।
»» তিউনিসিয়ায় একটি সক্রিয় ফিল্মমেকিং কমিউনিটি রয়েছে, সেটা বোঝা যায়। ফিল্মমেকার হিসেবে আপনার বিকাশের আলোকে সেটিকে কীভাবে দেখেন?
রাজা আমারি : তিউনিসিয়ায় প্রকৃত অর্থেই একটি সাংস্কৃতিক ও সিনেমাটোগ্রাফিক পরিবেশ রয়েছে; আর তা আমাকে আমাদের এখানকার বাস্তব লোকেশনে শুট করা কয়েকটি ফিল্মে উপস্থিত হওয়ার পথ করে দিয়েছে। আমি একজন সিনে-সমালোচকও ছিলাম। ফলে, যখন তিউনিসে থাকতাম, তখন সেই পরিবেশের শুরু থেকেই তাতে নিমগ্ন ছিলাম। তবে সত্যি কথা হলো, ফিল্ম কমিউনিটির বিষয়টি ফ্রান্সে ভীষণ প্রাণবন্ত, ভীষণ সক্রিয়; ফলে সেখানে গিয়ে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে মেশাটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

»» এখনকার দিনে নারী ফিল্মমেকারদের অবস্থা কেমন বলে মনে করেন?
রাজা আমারি : তিউনিসিয়ায় পুরুষ ফিল্মমেকার আর নারী ফিল্মমেকারের সংখ্যা আসলে প্রায় সমান সমান; আর বিষয়টিতে তারা অভ্যস্থ। দেশটি এ দিক থেকে ব্যতিক্রম।
»» তাহলে সেখানেই থাকতে চাই আমি!
রাজা আমারি : [হাসি] তবে সেখানে অন্যান্য সমস্যা ঠিকই রয়েছে। যাহোক, সেখানে শুটিং করা আমার জন্য কঠিন ছিল না। যথেষ্ট স্বাভাবিক ছিল। আমি মনে করি, সম্ভবত অন্যান্য দেশের মতোই তিউনিসিয়ায়ও লোকজন একদিক থেকে এক ধরনের প্রসন্ন ও পৃষ্ঠপোষক; তবে আমি নারী কিংবা তরুণ বলে আমার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে কিনা– তা বলতে পারব না। তারা প্রসন্ন ঠিকই, তবে তাদের কাছ থেকে আমি যা চাই, তা যদি পাই, তাহলে তারা পৃষ্ঠপোষক কিনা– সে ব্যাপারে মাথা ঘামানোর কী আছে? নারী ফিল্মমেকার হওয়া এবং সাবজেক্ট হিসেবে নারীকে বেছে নেওয়ার একমাত্র সমস্যা যেটি, তা হলো– নারীকে প্রায়শই ভিকটিম ও মৃদু-কণ্ঠী হিসেবে দেখানো হয়ে থাকে। তাদের কোনো ভীষণ শক্তিমান ঘটনা থাকে না। তারা দৃঢ়চেতা নয়, তারা যথেষ্ট দূরে যায় না। অথচ আমি সত্যিকার অর্থেই এসব ধারণাকে খামবন্দি করতে এবং তা থেকে বেরিয়ে গিয়ে কঠিন কঠিন সাবজেক্ট নিয়ে কাজ করতে চাই। এতে [নারীদের মধ্যে] অতি মিষ্টতা ও মৃদু-কণ্ঠ দিতে চাই না আমি। আমার মতে, নারীদের নিয়ে নারী ফিল্মমেকারের ফিল্মমেকিংয়ের প্রবণতা এটিই।
»» সিনে-জগতে জায়গা করে নেওয়াটা কি কঠিন ছিল?
রাজা আমারি : এ জগতে ঢুকা নিশ্চিতভাবেই ভীষণ কঠিন। তবে যখন শর্টফিল্ম বানাতাম, [আমার সেই ফিল্মমেকিং ক্যারিয়ারের] একেবারে শুরু থেকেই আমি সেইসব প্রডিউসারের সঙ্গে আলাপ করতাম– যারা আমার স্ক্রিপ্টের ব্যাপারে ভীষণ আগ্রহী। এই ফিল্মের তিউনিসিয়ান কো-প্রডিউসার নোম্যাডিস ইমেজেসের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করি; আর তা আমাকে এ জগতের সঙ্গে পরিচিত হতে সাহায্য করে। বেশ কিছু অর্গানাইজেশন ও কমিশনের কাছেও স্ক্রিপ্টটি জমা দিয়েছিলাম। তারা যদি অর্থলগ্নি করে, তাহলে তা আপনার পক্ষে সিনেমায় প্রচুর পরিমাণ কাজের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। রেড সাটিন-এর স্ক্রিপ্টের জন্য একটি পুরস্কার জিতেছিলাম আমি। এটি ভীষণ কাজে লেগেছে। কেননা, এ পুরস্কারটি আমার জন্য অনেক দরজা খুলে দিয়েছে। পুরস্কারটি না পেলে কাজটা কঠিন হয়ে যেত।
»» কোন ফিল্মমেকারেরা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে?
রাজা আমারি : স্কুলজীবনে [পিয়ের পাওলো] পাসোলিনির ফিল্ম আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করত। নারীদের তিনি যেভাবে ব্যবহার করতেন এবং নারীদের যে ক্যারিশমাটিক, মিথিক্যাল ও ভীষণ শক্তিমান ইমেজ তৈরি করতেন– তা খুব ভালো লাগত। সবমিলিয়ে, ইতালিয়ান সিনেমা আমার প্রিয়। ফরাসি সিনেমাও। কেননা, এটিতে নিমগ্ন আমি; বিশেষ করে নিউ ওয়েভ আর [ফ্রাঁসোয়া] ত্রুফোর সিনেমায়। এই মুহূর্তে নিউ ফ্রেঞ্চ সিনেমা, ইয়ং ফ্রেঞ্চ সিনেমা, যেমন ফ্রাঁসোয়া ওজোঁ ও আহনুদ দিপলিশনের কাজ খুব আপন মনে হয়। তারা আর আমি একই স্কুল থেকে এসেছি বলে কিন্তু নয়; বরং তারা তাদের [ফিল্মের] চরিত্রগুলোকে যেভাবে ব্যবহার করেন– তা আমার ভালোলাগে।

»» ফিল্ম কিংবা আপনার নিজের সম্পর্কে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি আমি আপনাকে করিনি, বলুন তো?
রাজা আমারি : একটি সুনির্দিষ্ট প্রসঙ্গ ধরে সিনেমা বানিয়েছি আমি। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বরের [টুইন টাওয়ার হামলা] পর; ফলে প্রডিউসার খানিকটা উদ্বিগ্ন ছিলেন; ভেবেছিলেন, ‘হায় ঈশ্বর! এ রকম প্রসঙ্গ নিয়ে বানানো আরব সিনেমাটির ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?’ ফিল্মটি একেবারেই প্রত্যাখ্যাত হতে যাচ্ছে– এমন আশংকা ছিল তার। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, রেড সাটিন এই পৃথিবীকে ভিন্ন কিছু এনে দিয়েছে। মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছি আমরা; এবং তারা আরব জগতের একটি সুনির্দিষ্ট ইমেজ দেখিয়েছি। পৃথিবীর আরও খানিকটা অতিসূক্ষ, আরও খানিকটা রঞ্জিত দৃষ্টি জাহির করতে এবং অন্যতর ইমেজগুলো মানুষের সামনে উন্মুক্ত করতে চাই আমি।
রাজা আমারির ফিল্মোগ্রাফি
শর্টফিল্ম »» দ্য ব্যুকেট [Le Bouquet; ১৯৯৫]। এপ্রিল [Avril; ১৯৯৮]। ওয়ান ইভেনিং অ্যাট জুলাই [Un soir de juillet; ২০০১]
ফিচার ফিল্ম »» রেড সাটিন [Satin rouge; ২০০২]। বুরিয়েড সিক্রেটস [Dowaha; ২০০৯]। তিউনিসিয়ান স্প্রিং [Printemps tunisien; ২০১৪]
ডকুমেন্টারি »» সিকারস অব অব্লিভিয়ন [ডকু; ২০০৪] ।
সূত্র : ইন্ডিওয়্যার ওয়েব সাইট । ২০ আগস্ট ২০০২