লিখেছেন । বিধান রিবেরু
বাংলাদেশ যেমন বিশ্বের রাজনীতি ও অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, তেমনি চলচ্চিত্রও বাংলাদেশের চালচিত্র থেকে আলাদা কোনো বিষয় নয়। এই বিচারে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির একটি উপসেটও বটে। উপসেট নিয়ে আলাপের আগে তাই সেট নিয়ে নাতিদীর্ঘ কথা বলা অপ্রয়োজনীয় হবে না।
আমরা এই মুহূর্তে এমন এক বিশ্বে বসবাস করছি, যখন মানুষ এক অস্থির রাজনীতি ও অর্থনীতির শিকার। এই অস্থিরতার মধ্যে যে দুটি বিষয় বিশুদ্ধ স্থির আছে; তা হলো– মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য ও আধিপত্য বিস্তার। বিশ্বের যারা বড় বড় পুঁজিপতি, তারা অস্ত্র বেঁচে হোক, যুদ্ধ বাধিয়ে হোক, তেল লুণ্ঠন করে হোক, বা তলে তলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ঘুটি বানিয়ে হোক, সম্পদের পাহাড় গড়তে অবিচল। আর এর উপর ভর করে অথবা এই মুনাফা অর্জনে অবিচল থাকতে প্রয়োজন রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার। সেটার চেহারাও আমাদের সামনে উন্মোচিত– ফিলিস্তিন, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান– আপনি এই তালিকায় অনেক দেশের নামই যোগ করতে পারবেন– অতীত থেকে। তো এই আধিপত্য বিস্তারে– রাজনৈতিকভাবে হোক বা অর্থনৈতিকভাবে– চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।
এই অস্ত্র ব্যবহারের নমুনাও আমাদের বে-নজির নয়। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর, প্রশ্ন করেই দেওয়া যাক। বলুন তো হলিউডের ছবি জেমস বন্ড সিরিজে কেন সবসময় সেসব শত্রুই হাজির হয়, যারা বাস্তবেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র নয়? মানে সেই ডক্টর নো-এর আমলে যখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে, তখন শত্রু রাশিয়া। আর এরপর আমরা দেখি শত্রু তালিকায় যুক্ত হয়েছে উত্তর কোরিয়া, এমনকি আরব বা মধ্যপ্রাচ্য। বলিউডও কি একই অস্ত্র সুচারুভাবে ব্যবহার করে না? বলিউডকেও দেখবেন বহু ছবিতে পাকিস্তানের কোনো নাগরিককে খলনায়ক বানিয়ে দিচ্ছে, এমনকি পাকিস্তানকে প্রতিপক্ষ করে ছবি বানাচ্ছে। শাহরুখ খানের মে হুনা ছবির কথা নিশ্চয় আপনাদের মনে আছে! চলচ্চিত্রিক অস্ত্র ব্যবহারের এটা একটি দিক।
আবার অন্যভাবেও হলিউড, বলিউড এই অস্ত্র ব্যবহার করছে। যেমন, ছবির মাধ্যমে বলিউড প্রচার করছে ‘আমার ভারত মহান’। মানে ভারতের ভেতর যে নানাবিধ ভেদাভেদ আছে– শ্রেণী ও বর্ণ নির্বিশেষে– সেটিকে জাতীয়তাবাদের মোড়কে মুড়ে আপাতদৃষ্টিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য একক ভারতের ছায়াতলে আনার চেষ্টা করা হয় সিনেমার মাধ্যমে। এই চেষ্টার মধ্য দিয়ে ‘ভারতীয় জাতি’ হিসেবে ভারতের ভূখণ্ডের মানুষকে অভিহিত করার চেষ্টা করা হয়। বাস্তবতা হলো, ভারতীয় জাতি বলে আসলে তো কিছু নেই; এটি একটি সোনার পাথর বাটি মাত্র।

ভারতীয় জাতীয়তাবাদের মতো বাঙালি জাতীয়তাবাদ নয়; তারপরও একটা জাত্যাভিমান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও দেখা যায়। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রগুলোতে। সেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী অনুপস্থিত। চলচ্চিত্রে যে বাংলাদেশ আমরা দেখি, সেখানে আমরা বাঙালি জাতির আধিপত্যকেই দেখি। এই জাতীয়তাবাদ প্রদর্শনে শ্রেণীর প্রশ্নটিও লুকিয়ে ফেলা হয় সুকৌশলে। এদেশের ছবিতে ধনী ও গরীবের ভেদাভেদকে দেখানো হয়, কিন্তু ভেদাভেদের কারণকে চিহ্নিত করা হয় না। চিহ্নিত করা হলে সেটি প্রদর্শনের অনুমতি পাবে না। তাই সকলে– নাচ, গান, প্রেম– এই ফর্মুলাতেই পথ চলে। এতে সহজে মুনাফা অর্জিত হয়।
তাছাড়া বাংলাদেশের ছবি বানাচ্ছেন কারা, সেই প্রশ্নও করতে হবে। তারা কোন শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করেন? ভিন্ন শ্রেণীর মানুষ হয়েও সমাজের সর্বহারাদের পক্ষে কেউ দাঁড়াতে পারেন, সেই উদাহরণ ইতিহাসে আছে। তবে বর্তমানে ভিন্ন শ্রেণী থেকে আসা মানুষ, যারা নিজেদের শ্রেণীর আওতামুক্ত করতে পেরেছেন, যারা সর্বহারা, শ্রমিক, কৃষকদের নিয়ে ভাবেন, যারা সমাজে সম্পদ বন্টনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান– তাদের হাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের মতো পুঁজি নেই। তাই ভিন্ন এক আলোচনায় বলেছিলাম, বাংলাদেশে দরকার গেরিলা নির্মাতা। যারা ছোট ছোট ছবি বানিয়ে ছেড়ে দেবেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। এতে একদিকে যেমন খরচ কম হবে, তেমনি গণমানুষের জন্য শিল্পও তৈরি হবে।
উপরের কথাগুলো বলার কারণ, বাংলাদেশে সত্যিকারের অর্থে গণমানুষের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে না। হাতে গোনা দুয়েকটি যা হচ্ছে, সেসব ছবির নির্মাতারা পরে বড় পুঁজির কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন। উদাহরণ দিয়ে আর লেখাটিকে ভারি করব না। তো শেষ পর্যন্ত বড় পুঁজির কাছে বিক্রি হয়ে গেলে যা হয়, ছবিটি আর গণমানুষের থাকে না, সেটি হয়ে ওঠে নিছক, অবলা, নখদন্তবিহীন একটি দুষ্টু-মিষ্টি-বিনোদনমূলক ছবি। বাংলাদেশে গত সাড়ে চার দশক ধরে এগুলোই চলছে। চলচ্চিত্রের বাংলাদেশ বলতে– জহির রায়হান থেকে তারেক মাসুদ পর্যন্ত কয়েকজন নির্মাতার কয়েকটি ছবিকে বাদ দিয়ে– আমাদের গর্ব করার মতো খুব একটা কিছু নেই।
যখন সারা বিশ্বেই মূলধারার চলচ্চিত্র মানেই মুনাফা অর্জন– এই দর্শন নিয়ে চলছে– তখন বাংলাদেশ খুব বিপ্লব করে ফেলবে, সেটা ভাবাটা বোকামি। বিশেষ করে বাংলাদেশে যখন হলিউড কিংবা বলিউডের দাপট জারি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের স্বাধীন চলচ্চিত্র, যেগুলো তথাকথিত বাণিজ্যিক ধারার নয়, বা যেগুলো মানুষের কথা বলে, সেগুলো এদেশের নির্মাতাদের দেখার সুযোগ যেমন কম, তেমনি আবার আগ্রহও নেই। কারণ বাংলাদেশও অন্যান্য বড় দেশগুলোর মতই একটি বুর্জোয়া শ্রেণী শাসিত রাষ্ট্র।

ইউরোপ বা আমেরিকার মতো দেশগুলোতে বুর্জোয়া সরকার থাকলেও সেখানে পুঁজির বিকাশের পাশাপাশি স্বাধীনভাবে চলচ্চিত্রের চর্চা হয়েছে। যা বাংলাদেশে খুব একটা হয়নি। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন যখন এদেশে জোরালো ছিল, তখন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতারা একভাবে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এখন আর সেই সংসদ আন্দোলন অতটা জোরালো নেই। সকলেই যে যারা যার মতো করে চলচ্চিত্র চর্চা করতে চান। ব্যতিক্রম বাদ দিলে এই পরিস্থিতির জন্য ব্যক্তিকে নয়, দায় দিতে হয় প্রযুক্তি ও সময়ের উপর। তাছাড়া সমাজে রাজনীতি বিমুখকতার কারণেও স্বাধীন চলচ্চিত্র খুব বেশি এগুতে পারেনি বাংলাদেশে। রাজনৈতিক সচেতনতা যদি একাত্তর বা নব্বইয়ের মতো থাকতো সাধারণের মধ্যে, তাহলে সেই সচেতনতার তাগিদ থেকেও চলচ্চিত্রকে হাতিয়ার করতেন কেউ কেউ। এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চলচ্চিত্র নিয়ে পড়ালেখার করার উদ্দেশ্য থাকে দুটি– এক, টেলিভিশন বা মিডিয়ায় একটা লোভনীয় চাকরি পাওয়া যাবে। দুই, হলিউড বা বলিউডের কাছাকাছি বা সেটার মতোই একটি চলচ্চিত্র বানানো যাবে। যারা চলচ্চিত্রের শিক্ষার্থী তাদের অধিকাংশের ভেতরেই রাজনৈতিক বোঝাপড়া বা রাজনৈতিক অঙ্গীকার নেই। এ কারণে প্রকৃত অর্থে গণমানুষের বা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র হয়ে উঠছে না। এই ভূখণ্ডের গণমানুষের অপর নামই তো বাংলাদেশ!
ফরাসি ভাবুক ফেলিক্স গাত্তারির [Felix Guattari] নাম অনেকেই হয় তো জানেন, তিনি বিখ্যাত হয়েছেন জিল দল্যুজের [Gilles Deleuze] সঙ্গে প্রতি ঈদিপাস কিতাব লিখে। তো এই গাত্তারি মনে করতেন একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তির মৌলিক বা পৃথক কোনো মনস্তত্ত্ব নেই। ব্যক্তির মনস্তত্ত্ব আসলে গোষ্ঠীর মানসিকতা দিয়েই নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ সমাজই ব্যক্তির চিন্তার পরিকাঠামো তৈরি করে। সমাজে দুই ধরনের মানুষ থাকে বলে মনে করতেন গাত্তারি। একদল মানুষ নিয়ন্ত্রিত হয়, তারা বিদ্যমান ঐতিহ্য, ইতিহাস, প্রতিষ্ঠান, ধর্ম, রাষ্ট্র সবকিছুকে মেনে নেয় একবাক্যে। এদেরকে গাত্তারির ভাষায় বলা হচ্ছে সাবজেক্টেড গ্রুপ। আরেক দল আছে, যাদেরকে বলা হচ্ছে গ্রুপ সাবজেক্ট- এই দলটি প্রথাবিরুদ্ধ হতে চায়, ঘুরিয়ে বললে বিদ্যমান অনেক কিছুকেই অস্বীকার করে তারা নিজের চিন্তাকে ছড়িয়ে দিতে চায়। বিপ্লব সংগঠিত করাই গ্রুপ সাবজেক্টের কাজ– একটি বিপ্লবী দলকে গ্রুপ সাবজেক্ট হয়ে উঠতে হয় বলেই মত দিয়েছিলেন গাত্তারি।

বাংলাদেশে শিল্পের ক্ষেত্রে গাত্তারির প্রথম শ্রেণীর মানুষদেরই দেখা মেলে। চলচ্চিত্র শিল্পে যারা কাজ করেন, তারা বিদ্যমান সকলকিছুকে মেনে, পুঁজিবাদের শর্তকেও, ছবি বানাতে শুরু করেন। কিন্তু দুই নম্বর দলের মানুষ যারা, যারা দ্রোহের মন্ত্র উচ্চারণ করতে চান, তারা আজ ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছেন; কারণ, সমাজে একধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ ও রাজনীতিবিমুখকতা বিরাজ করছে। এই বিরাজ করার পেছনে আমাদের রাষ্ট্রই কাজ করেছে গত কয়েক দশক ধরে– ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করা হয়েছে, রাজনীতির ভেতর ঢোকানো হয়েছে ধর্ম ব্যবসা।
সমাজে চিকিৎসা করার জন্য চিকিৎসক তৈরি হন মেডিকেল কলেজে; ভবন ও সেতু নির্মাণের জন্যও রয়েছে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়; কিন্তু যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, যারা রাজনীতি করবেন, দেশের গণমানুষকে নিয়ে ভাববেন, তাদের গড়ে ওঠার, রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার সকল পথ এখন বন্ধ। সুস্থ ছাত্র রাজনীতি না থাকার কারণেই ভালো নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না। যারা শিল্প তৈরি করবেন, যারা ছবি বানাবেন, তাদের মধ্যেও সৎ নেতৃত্বের গুণাবলী থাকা অত্যাবশ্যকীয়। বলা হয় একজন লেখক হলেন মানুষের মনের প্রকৌশলী। একজন চলচ্চিত্রকারের কাজটিও সেরকমই। তারাও দর্শকের মনন গড়ে তোলেন। শুধু মনোরঞ্জন করা নির্মাতার কাজ নয়। অন্তত গাত্তারির দ্বিতীয় দলে যারা অবস্থান করেন, সাবজেক্ট গ্রুপে, তাদের কাজ গণমানুষের মননকে তৈরি করা। তো সে রকম পরিচালক কোথায় এখন?
তবে ইদানিং পরিচালক তৈরির কারখানা যেহেতু তৈরি হয়েছে, মানে বিভিন্ন ইন্সটিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ, আশা করা যায়– কেউ না কেউ, কোনো না কোনো একদিন গণমানুষের নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন; অবশ্য যতদিন না প্রগতিশীল রাজনৈতিক অঙ্গীকার অধিকাংশ মানুষ ধারণ করবে, ততদিন এই আশার আলো ক্ষীণই থাকবে। আপনি চাইলেই হুট করে যেমন অসাম্প্রদায়িক হতে পারবেন না, অসাম্প্রদায়িক হওয়ার জন্য যেমন নিরন্তর চর্চা ও সংগ্রাম দরকার, তেমিন আপনি চাইলেই গণমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবেন না; এ জন্য আপনার দরকার রাজনৈতিক চর্চা।

ফেলিক্স গাত্তারিতে আবার ফিরি– তিনি মনে করতেন, দুনিয়ায় পুঁজিবাদের জাল এমনভাবে বিস্তৃতি হয়েছে, যা ছিন্ন করা সম্ভব নয়; এমনকি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব দিয়েও নয়। তবে এতটা নৈরাশ্যের দুনিয়ায় আমি থাকতে নারাজ। কয়েক বছর আগে দুনিয়া জুড়ে আমরাই ৯০ ভাগ নামের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেটি কিন্তু আশাব্যাঞ্জকই ছিল। যাহোক, যে পুঁজিবাদ সকল মানুষের মধ্যে যথাযথভাবে সম্পদ বন্টন না করে, হাতে গোনা কয়েকজনকে টাকার কুমির বানিয়ে দেয়, সেই পুঁজিবাদকে আর যাই হোক, অবিরত প্রশ্নবিদ্ধ করাটা শিল্পীর কাজ, নানা স্তরে ঢুকে এই প্রশ্ন জারি রাখা চাই। তবে প্রশ্ন করা সহজ নয়, যদি বিষয়টি অবিরত চেষ্টার মধ্যে না থাকে। সচেতন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে না গেলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, ব্যক্তিজীবন সহ নানা স্তরে প্রশ্ন উত্থাপন করা সম্ভব নয়। আর এসব প্রশ্ন চলচ্চিত্রের ভাষায় রূপান্তর করাটাও কিন্তু যথেষ্ট চর্চা ও পরিশ্রমের কাজ। দুটি বিষয়– রাজনৈতিক ভাবনা ও চলচ্চিত্র শিল্পের উপর দক্ষতা– এক করতে পারলেই গণমানুষের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব। শুধু দক্ষতা দিয়েও ছবি বানানো যায়, তাহলে ওই পরিচালক শুধু ভালো পরিচালক হিসেবেই গণ্য হবেন, গণমানুষের পরিচালক আর হতে পারবেন না।
পোষ্টটি পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম। গণমানুষের জন্য যে যুদ্ধে নেমেছি সেটার জ্বালানী হিসেবে কাজ করবে এই লেখা …. বিধান দা কে স্যালুট …
[…] সেই লিংকে যেতে এখানে ক্লিক করুন: ফিল্মফ্রিতে এই প্রবন্ধটি। […]