নিস্তোর আলমেন্দ্রোস : মাস্টার সিনেমাটোগ্রাফার

474

নিস্তোর আলমেন্দ্রোস

জন্ম : ৩০ অক্টোবর ১৯৩০; বার্সেলোনা, স্পেন। মৃত্যু : ৪ মার্চ ১৯৯২; নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

 

উরোপিয়ান আর্ট-হাউস ক্রিয়েশন থেকে শুরু করে হলিউডের মেইনস্ট্রিম প্রোডাকশন পর্যন্ত– আধুনিক ড্রামাটিক ফিল্মের যে ন্যাচারালিস্টিক চেহারা– তার সৃষ্টিতে ভূমিকা রয়েছে সিনেমাটোগ্রাফার নিস্তোর আলমেন্দ্রোসের। ন্যাচারাল লাইটিংয়ের ব্যবহার ও কোনো দৃশ্যের ভিজ্যুয়াল কম্পোজিশনের মাধ্যমে ফিল্মটির চরিত্রগুলোর আবেগ-অনুভূতি ও উদ্দেশ্য-বিধেয়কে প্রকাশ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে মাস্টারফুল দক্ষতায় তিনি আধুনিক সিনেমার সবচেয়ে গণ্য-মান্য বেশ কিছু ফিল্মমেকারের জন্য হয়ে উঠেছিলেন সাক্ষাৎ ডানহাত। সিনেমার ক্যামেরায় তিনি যে চরিত্রগুলোকে বন্দি করে গেছেন, সেগুলোর অধিকাংশের চেয়ে তার নিজের জীবনের গল্পটা কম নাটকীয় ছিল না! তার সৃষ্টিকর্ম বিংশ শতকের সবচেয়ে ডাকসাইটে সর্বগ্রাসী সিস্টেমগুলোকে সপাটে বাতিল করে দিয়েছে।

আলমেন্দ্রোসের জন্ম ১৯৩০ সালের ৩০ অক্টোবর; স্পেনের বার্সেলোনায়। স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের দিনগুলোতে বেড়ে ওঠেছেন তিনি। ডানপন্থি একনায়ক ফ্রান্সিস্কো ফ্রাঙ্কোর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের তীব্র বিরোধী ছিল তার পরিবার। ফলে সহসাই পরিবারটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ১৯৪০ সালে নিজের বাবা কিউবায় পাড়ি জমালেও, নিজ দেশেই থেকে যান কিশোর আলমেন্দ্রোস। এ সময়কালে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবিরত ক্লিশে ও নিরানন্দ হয়ে ওঠলে, দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমিতা কাটাতে সিনেমাপ্রেমী হয়ে ওঠেন তিনি। নির্বাক সিনেমা ও সেগুলোর পরিপূর্ণ ভিজ্যুয়াল ল্যাঙ্গুয়েজের প্রতি এক ধরনের গভীর ধ্যান গড়ে ওঠতে থাকে তার

দ্য লাস্ট মেট্রো
দ্য লাস্ট মেট্রো

১৯৪৮ সালে অনেকটা বাধ্য হয়েই, বাবার কাছে, কিউবায় পাড়ি জমান আলমেন্দ্রোস। এসেই ভর্তি হন হাভানা ইউনিভার্সিটিতে। কিন্তু ১৯৫৬ সালের আগপর্যন্ত গ্রাজুয়েশন শেষ করেননি তিনি। কেননা, পড়াশোনার বদলে বরং তরুণ ফিল্মমেকারদের সঙ্গে আড্ডাবাজি ও সিনেমা ক্ষেত্র নিয়ে বোঝাপড়া করেই দিন কাটতে থাকে তার। কিউবান তরুণ ও পরবর্তীকালে কিংবদন্তি ফিল্মমেকার হয়ে ওঠা তমাস গুতিয়ারেজ আলিয়ার বানানো একটি শর্টফিল্মে এইট-মিলিটিমার ক্যামেরা চালানোর মাধ্যমে সিনে-জগতে প্রথম পা রাখেন তিনি। সেটি ১৯৫০ সালের কথা। এরপর আরও বেশি পাঠ নিতে, ১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন আলমেন্দ্রোস; ভর্তি হন সিটি কলেজ অব নিউইয়র্ক-এ [বর্তমানে, সিটি ইউনিভার্সিটি]। খরচ যোগানোর জন্য এ সময়ে নিউইয়র্কের পাকিপ্সি শহরের ভাসার কলেজে স্প্যানিশ ভাষা পড়াতে শুরু করেন। পড়ান দুই বছর। ইতালির রোমের কিংবদন্তিতুল্য ফিল্মস্কুল ‘এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম সেন্টার’ বা ‘ইতালিয়ান ন্যাশনাল ফিল্ম স্কুল’-এ [Centro Sperimentale di Cinematografia] সিনেমাটোগ্রাফি কোর্সে ভর্তিও হয়েছিলেন তিনি; কিন্তু সেখানকার নিষ্প্রাণ ভিজ্যুয়াল স্টাইল তাকে রাগিয়ে তোলে।

কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রো যখন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন, ঠিক সেই তুমুল রোমাঞ্চ ও উত্তেজনাপূর্ণ দিনগুলোতেই কিউবায় ফিরে আসেন আলমেন্দ্রোস। এরপর বেশ কয়েক বছর ধরে এই কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের একজন ফিল্মি সৈনিক হিসেবে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময়ে যে সমাজতান্ত্রিক-বাস্তবধর্মী ফিল্মগুলোতে আলমেন্দ্রোস কাজ করেছিলেন, সেই অভিজ্ঞতা বস্তুতপক্ষে তার পরবর্তীকালের ফিল্ম-স্টাইলে প্রেরণা জুগিয়েছে : টাইট বাজেটে কাজ করতে গিয়ে, ন্যাচারাল লাইট ব্যাবহারের মাধ্যমে সেট লাইটিংয়ের ইমপ্রোভাইজ করার ক্ষমতা তিনি একটা উদ্ভাবনী পন্থায় আত্মস্থ করে ফেলেন। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি কিউবাতেই ছিলেন। এ সময়ে, আগের বছরের সেরা ফিল্ম হিসেবে, একটি সমালোচক জরিপে তিনি ফ্রাঁসোয়া ত্রুফোর ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ ক্ল্যাসিক ফিল্ম ‘দ্য ফোর হান্ড্রেড ব্লোজকে ভোট দিয়েছিলেন, কাস্ত্রো-অনুমোদিত রাশিয়ান তালিকাভুক্তি করতে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এতে বিরাগভাজন হলে, কিউবা ছেড়ে ফ্রান্সে চলে আসেন আলমেন্দ্রোস।

ডেজ অব হেভেন
ডেজ অব হেভেন

ফ্রান্সে কারও সঙ্গেই পরিচয় ছিল না তার; এমনকি ছিল না ওয়ার্ক পারমিট। ফলে ১৯৬০ দশকের শুরুর কয়েকটি বছর বেশ কঠিন সময় কাটাতে হয় তাকে। ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ ফিল্মে নিমগ্ন হয়ে, এ সময়ে, এ ধারার ফিল্মগুলোর ন্যাচারাল স্টাইল ও প্রাত্যহিক জীবনের অনুষঙ্গের ব্যবহারের সঙ্গে নিজে নিজেই বোঝাপড়া করে, নিজেকে আরও ঝালিয়ে নেন তিনি। ১৯৬৪ সালে নিউ ওয়েভ ফিল্মমেকারদের অন্যতম প্রধান পুরোধা– এরিক রোমারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি; ঘটনাটি যখন ঘটে, রোমার তখন প্যারিস সিন বাই… ফিল্মের শুটিংয়ের সেটে। বিতর্কে জড়িয়ে, ফিল্মটির চুক্তিবদ্ধ সিনেমাটোগ্রাফার সেট থেকে চলে গেলে, যে কাণ্ড ঘটে, সেটি লন্ডনের ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় দেওয়া আলমেন্দ্রোসের বয়ান থেকেই জানা যায় : তিনি বলে ওঠেন, ‘আমি একজন ক্যামেরাম্যান!’ সেদিনের জন্য নিযুক্ত করা হয় তাকে। এরপর যোগ্যতার যথাযথ প্রমাণ দিয়ে, ফিল্মটির বাকি শুটিংয়েও নিজেকে অনিবার্য করে রাখেন আলমেন্দ্রোস। অবশ্য, ওয়ার্ক পারমিট ছিল না বলে, ফিল্মটির ক্রেডিট লাইনে নাম ব্যবহার করা হয়নি তার।

এরপর সহসাই, রোমার ও ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো– দুজনেরই পছন্দের সিনেমাটোগ্রাফারে পরিণত হন তিনি। অরণ্যে খোঁজে পাওয়া এক শিশুকে ঘিরে বানানো ত্রুফোর দ্য ওয়াইল্ড চাইল্ড ফিল্মে ব্ল্যাক-অ্যান্ড-হোয়াইট ইমেজের যে মহিমা ছড়িয়েছেন আলমেন্দ্রোস, সেটি নির্বাক সিনেমার প্রবল ক্ষমতার কথাই যেন মনে করিয়ে দেয়। ১৯৭০ দশকের বেশির ভাগ সময়কালই ফ্রান্সে কাজ করে কেটেছে ততদিনে মাস্টার হয়ে ওঠা এই সিনেমাটোগ্রাফারের। এ সময়ে রোমারের ক্লেয়ার’স নী ও ত্রুফোর দ্য স্টোরি অব আদেলে এইচ.-এর মতো আর্ট-হাউজ ঘরানার ক্ল্যাসিক ফিল্মগুলোর স্টাইলে আলো ছড়িয়েছে তার ক্যামেরার জাদু। ফলে, নিজেদের ছাত্রাবস্থায় এই ফরাসি ক্ল্যাসিক ফিল্মগুলোর গুণমুগ্ধ হয়ে ওঠা আমেরিকান তরুণ প্রজন্মের ফিল্মমেকারদের কাছে নিস্তোর আলমেন্দ্রোস হয়ে ওঠে একটি পরিচিত নাম।

কিন্তু ফ্রান্সের মতোই, আমেরিকাতেও, তার ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েকটি বছর নানাবিধ আমলাতান্ত্রিক নিয়ম-নীতির জালে, বিপর্যস্ত হয়ে কেটেছে। ইউনিয়ন সংক্রান্ত নীতিমালা তাকে একটা কাজও করতে দেয়নি। তবে ১৯৭৯ সালে টেরেন্স মালিকের বানানো, অভিবাসী সাগা– ডেজ অব হেভেন-এর জন্য বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে তিনি অস্কার পেলে, পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। আলমেন্দ্রোসের ইউরোপিয়ান কাজগুলোর গুণমুগ্ধ ফিল্মমেকারদের অন্যতম ছিলেন রবার্ট বেনটন। তিনি তাকে ক্যামেরা সামলানোর দায়িত্ব দেন ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার ফিল্মে। এবারও অস্কারে নমিনেশন পান আলমেন্দ্রোস। আর অ্যালান জে. পাকুলা নির্মিত সোফি’স চয়েস [১৯৮১] ফিল্মের জন্য নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে নেন এই সিনেমাটোগ্রাফার।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আলমেন্দ্রোসের নাম ছড়িয়ে পড়ে ন্যাচারাল লাইট সোর্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে শৈল্পিক দক্ষতার কল্যাণে; অ্যাভেলেভল লাইটিং কন্ডিশনের বহুমাত্রিক নিরীক্ষা চালিয়ে কালার ফিল্মের একটা নতুন ধারা তৈরি করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন–

[সিনেমাটোগ্রাফি] যখন শুরু করেছিলাম, তখন দেখেছিলাম, আমার কাজটা মূলত আলোকোজ্জ্বল সেটের ওপর নির্ভরশীল; লাইটিং টেকনিশিয়ানদের ঠিক করে দেওয়া এই গতানুগতিক মুভি লাইটিংয়ের সবকিছু মেকি লাগত আমার কাছে।… তারা বিশ্বাস করত, ভীষণ রকম গ্লোসি ধরনের ফটোগ্রাফিতে মুখগুলোতে কোনো ছায়া পড়া চলবে না।

অন্যদিকে, আত্মজীবনী অ্যা ম্যান উইথ অ্যা ক্যামেরায় [১৯৮৪] তিনি লিখেছেন,

একজন ডিরেক্টর-অব-ফটোগ্রাফির আসল গুণ হলো- প্লাস্টিক সেস্টিবিটি ও একটি সলিড কালচারাল ব্যাকগ্রাউন্ড। তথাকথিত সিনেমাটোগ্রাফিক টেকনিককে গুরুত্বের বিচারে কেবল দ্বিতীয় সারিতেই রাখা যায়।

বস্তুতপক্ষে, চরিত্র ও আবেগাত্মক অবস্থানের প্রতি আলমেন্দ্রোসের অন্তর্দৃষ্টিই তার সেরা কাজগুলো সৃষ্টির নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে।

আলমেন্দ্রোস নিজেও অল্প কয়েকটি ফিল্ম নির্মাণ করেছেন; তবে এর মধ্যে কিউবায় কাস্ত্রো রাজত্বের দমন-পীড়নকে ফুটিয়ে তোলা দুটি ডকুমেন্টারি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য : কাস্ত্রোর শাসনামলে কিউবান সমকামীদের ওপর নিপীড়নের বিশদ বিশ্লেষণধর্মী ইমপ্রোপার কনডাক্ট [Mauvaise conduite; ১৯৮৫] ও কিউবান মানবাধিকার সংক্রান্ত সহিংসতার আরেকটি অভিযোগনামা– নোবডি লিসেনড [Nadie escuchaba; ১৯৮৮]। ১৯৮০ দশকজুড়ে অবিরাম কাজ করে গেছেন এই সিনেমাটোগ্রাফার; মৃত্যুকালে দেখা গেছে, চল্লিশটিরও বেশি সিনেমার ক্রেডিটলাইনে থিতু হয়ে আছে তার নাম। এরমধ্যে তার নিজের প্রিয় ছিল– নৈরাশ্যে নিমজ্জিত কৃষকের ওপর, বেনটনের বানানো প্লেসেস ইন দ্য হার্ট ফিল্মটি। তার করা শেষ কাজটিও এই ফিল্মমেকারের, বিলি বাথগেট। ১৯৯২ সালের ৪ মার্চ, লিমফোমায় ভুগে, নিউইয়র্ক সিটিকে মৃত্যুবরণ করেন এই কিংবদন্তি সিনেমাটোগ্রাফার।

প্লেসেস ইন দ্য হার্ট
প্লেসেস ইন দ্য হার্ট

নিস্তোর আলমেন্দ্রোসের সিনেমাটোগ্রাফি [ফিচার ফিল্ম]
১৯৬৭   দ্য কালেক্টর [La Collectionneuse; এরিক রোমার]
১৯৬৯  মোর [বারবেট শ্রোয়েডার]
      মাই নাইট অ্যাট মাদ’স [Ma nuit chez Maud; এরিক রোমার]
      দ্য ওয়াইল্ড চাইল্ড [L'Enfant sauvage; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো]
১৯৭০  বেড অ্যান্ড বোর্ড [Domicile conjugal; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো]
      ক্লেয়ার’স নী [Le Genou de Claire; এরিক রোমার]
১৯৭১  টু ইংলিশ গার্লস [ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো]
১৯৭২  দ্য ভ্যালি [La Vallée; বারবেট শ্রোয়েডার]
      শোলে ইন দ্য আফটারনুন [L'Amour l'après-midi; এরিক রোমার]
১৯৭৪  ফেম অ্য সোলেই [Femmes au soleil; লিলিয়ান ড্রেফুস]
      দ্য মাউথ অ্যাগ্যাপ [La Gueule ouverte; মরিস পিয়ালা]
      জেনারেল ইদি আমিন : অ্যা সেল্ফ পোর্ট্রেট 
      [Général Idi Amin Dada: Autoportrait; বারবেট শ্রোয়েডার]
      মাই লিটল লাভস [Mes petites amoureuses; জ্যঁ ইস্তাস]
      ককফাইটার [মন্টে হেলম্যান]
১৯৭৫  দ্য স্টোরি অব আদেলে এইচ. [L'Histoire d'Adèle H.; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো]
      দ্য মিস্ট্রেস [Maîtresse; বারবেট শ্রোয়েডার]
১৯৭৬  দ্য জেন্টলম্যান ট্র্যাম্প [রিচার্ড পিটারসন]
      দ্য মার্কুইজ অব ও... [Die Marquise von O...; এরিক রোমার]
      এন্টায়ার ডেজ ইন দ্য ট্রিজ [Des journées entières dans les arbres; মার্গুয়েরিতে দুরা]
      চেঞ্জ অব সেক্স [Cambio de sexo; ভিসেন্তে আরান্দা]
১৯৭৭  দ্য ম্যান হু লাভড উইমেন [L'Homme qui aimait les femmes; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো]
      ম্যাডাম রোসা [La Vie devant soi; মোশে মিজরাহি]
      ব্যুবোর্গ [Beaubourg; রোবের্তো রোসেল্লিনি]
      কোকো [বারবেট শ্রোয়েডার]
১৯৭৮  গোয়িন’ সাউথ [জ্যাক নিকোলসন]
      দ্য গ্রিন রুম [La Chambre verte; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো]
      ডেজ অব হেভেন [টেরেন্স মালিক]
      পারসেভাল লা গুলিও [Perceval le Gaullois; এরিক রোমার]
১৯৭৯  লাভ অন দ্য রান [L'Amour en fuite; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো] 
      ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার [রবার্ট বেনটন]
১৯৮০  দ্য ব্লু লেগুন [র‌্যান্ডাল ক্লেইজার]
      দ্য লাস্ট মেট্রো [Le Dernier Métro; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো]
১৯৮২  স্টিল অব দ্য নাইট [রবার্ট বেনটন]
       সোফি’স চয়েস [অ্যালান জে. পাকুলা]
১৯৮৩  পলিন অ্যাট দ্য বীচ [Pauline à la plage; এরিক রোমার]
       কনফিডেনশিয়ালি ইউরস [Vivement dimanche!; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো]
১৯৮৪   প্লেসেস ইন দ্য হার্ট [রবার্ট বেনটন]
১৯৮৬   হার্টবার্ন [মাইক নিকোলস]
১৯৮৭   নাদিন [রবার্ট বেনটন]
১৯৮৯   লাইফ লেসনস [মার্টিন স্করসেজি]
১৯৯০   বিলি বাথগেট [রবার্ট বেনটন]

সূত্র : অনলাইন

Print Friendly, PDF & Email
সম্পাদক: ফিল্মফ্রি । ঢাকা, বাংলাদেশ।। সিনেমার বই [সম্পাদনা/অনুবাদ]: ফিল্মমেকারের ভাষা [৪ খণ্ড: ইরান, লাতিন, আফ্রিকা, কোরিয়া]; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো: প্রেম ও দেহগ্রস্ত ফিল্মমেকার; তারকোভস্কির ডায়েরি; স্মৃতির তারকোভস্কি; হিচকক-ত্রুফো কথোপকথন; কুরোসাওয়ার আত্মজীবনী; আন্তোনিওনির সিনে-জগত; কিয়ারোস্তামির সিনে-রাস্তা; সিনেঅলা [৪ খণ্ড]; বার্গম্যান/বারিমন; ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক; ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার চান্তাল আকেরমান; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার বেলা তার; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার নুরি বিলগে জিলান; ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; বেলা তার; সের্গেই পারাজানোভ; ভেরা খিতিলোভা; সিনেমা সন্তরণ ।। কবিতার বই: ওপেন এয়ার কনসার্টের কবিতা; র‍্যাম্পমডেলের বাথটাবে অন্ধ কচ্ছপ; হাড়ের গ্যারেজ; মেনিকিনের লাল ইতিহাস ।। মিউজিকের বই [অনুবাদ]: আমার জন লেনন [মূল : সিনথিয়া লেনন]; আমার বব মার্লি [মূল: রিটা মার্লি] ।। সম্পাদিত অনলাইন রক মিউজিক জার্নাল: লালগান

3 মন্তব্যগুলো

  1. সিনেমা বানানোর পিছনের কৃতি মানুষের লেখা আরো চাই।

  2. […] নিস্তোর আলমেন্দ্রোস এর বেশ কিছু ফিল্মোগ্রাফি রয়েছে: বেশিরভাগই এরিক রোমার’র ফিল্ম; তাছাড়া ফ্রাঁসোয়া ত্রুফোর কয়েকটি ফিল্ম, আর ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার, সোফি’স চয়েস ও ডেজ অব হেভেন [যাকে তার সিনেমাটোগ্রাফিতে তৈরি সবচেয়ে সুন্দর ফিল্ম হিসেবে গণ্য করা হয়] তো রয়েছেই। তার ফিল্মোগ্রাফি হয়তো অনেক বড় নয়। তবে তিনি গণ্য হন কারিগরিভাবে দক্ষ এবং কাজের পদ্ধতিতে অসম্ভব খুঁতখুঁতে এক মাস্টার সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে। এটা বললে ভুল হবে না– তার সিনেমাটোগ্রাফি কৌশলে তিনি ছিলেন অবিশ্বাস্যরকমের অন্তর্জ্ঞানী। বিশেষ করে স্বল্প বাজেট ও টাইট শিডিউলে কাজ করার সময়, এখনো, একইসাথে পরিচালক ও সিনেমাটোগ্রাফাররা আলমেন্দ্রোসের কর্মপদ্ধতি থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন… […]

Leave a Reply to নিস্তোর আলমেন্দ্রোসের সিনেমাটোগ্রাফিক পাঠ । প্রযুক্তি ভালো, তবে সারল্য আরও ভালো | ফিল্মফ্রি

Please enter your comment!
Please enter your name here