‘কাঁটা’: নির্মাণাধীন স্বপ্ন, স্মৃতি-অভিজ্ঞানের ছবি

1004

লিখেছেন । তাহুয়া তুরা

কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাচ, গান, চিত্রকলাসহ আর্টের নানান ফর্ম আছে। ভালো গান বারবার শুনতে ইচ্ছে হয়, ভালো কবিতা পড়লে মনের মধ্যে কোনো এক বোধ জন্ম নেয়, ভালো কো্নো পেইন্টিং দেখলে হয়তো ছবির বিষয়বস্তুটি কিংবা রঙ কিংবা ছবিটাই আমাদের কল্পনায় গেঁথে যায়। একইভাবে প্রত্যেকটি ভালো আর্টই আমাদের আনন্দ দেয়, আমাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করে।

সিনেমা মোটামুটি নতুন আর্টফর্ম। কিন্তু এগিয়ে চলেছে দুর্দান্ত গতিতে। মঞ্চনাটকের ইতিহাস হাজার বছরের; কিন্তু সিনেমা দেড়শো বছরও পেরোয়নি– এরইমধ্যে সবচেয়ে বেশি কমিউনিকেটিভ আর্টফর্ম হলো সিনেমা। গল্প বা উপন্যাসের জন্য অনেক সময় প্রয়োজন হয়, একটা ম্যাচুর্য়্যড সিনেমা মাত্র দু-তিন ঘণ্টায় আমাদেরকে জীবনের গভীর কোনো উপলব্ধিতে পৌঁছে দিতে পারে। তাই সিনেমার কদর পৃথিবীজুড়ে। যদিও বাংলাদেশি সিনেমা এখনও ঠিকভাবে ডানা মেলে উড়তে শেখেননি। নিশ্চয়ই একদিন উড়বে।

কাঁটা
‘কাটা’র ক্যাম্পে, ফিল্মমেকার এবং তাঁর কাস্ট-ক্রু

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁটা সিনেমার অডিশনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। কাঁটা, মনোজগতের কাঁটা, মূলগল্প শহীদুল জহির, নির্মাতা টোকন ঠাকুর। শহীদুল জহিরের সে রাতে পূর্ণিমা ছিল পড়েছি আগেই, মোহগ্রস্ততা নিয়ে। টোকন ঠাকুরের কবিতা পড়েছি, তাঁর কবিতা আমার কল্পনার জগতে নতুন বলয় তৈরি করে। কবিতা, আমার খুব কাছের প্রিয় বন্ধুর মতোন। তো, বিজ্ঞাপন দেখার পর আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে সিভি জমা দেই, অভিনয়ের জন্য। দূর্ভাগ্যবশত আমার ভর্তি পরীক্ষার দিন অডিশনের ডেট পড়ে। খুব মন খারাপ হয়। কিন্তু প্রচণ্ড উৎসাহের কারণেই, সকালবেলা অডিশন দিয়ে, বিকেল বেলা পরীক্ষা দেই। চান্স পেয়ে যাই দুটোতেই।


আমিও
জড়িয়ে আছি একটা
যুদ্ধে, যুদ্ধের নাম,
কাঁটা

২৫ অক্টোবর ডাক পড়ে প্রথম গ্রুমিংয়ের। ভালো লেগে যায় পরিচালকের স্বপ্নকে। কিন্তু অ্যাক্টিংয়ের চেয়েও ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করারই উৎসাহ পাচ্ছিলাম ভেতর থেকে। এবং অনুমতিও পেয়ে যাই শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার। পরের দিনগুলোতে আসলে প্রতিটা দিন যুদ্ধ করতে হয়েছে আমাদের। সত্যি সত্যিই ছবি বানানো এদেশে একটা যুদ্ধ। আমিও জড়িয়ে আছি একটা যুদ্ধে, যুদ্ধের নাম, কাঁটা। পুরোনো ঢাকার ভূতের গলির মানুষের অসহায়ত্ব, আত্মগ্লানি ও তাদের বিভ্রান্তির চক্র কাঁটা। 

‘কাঁটা’

কাঁটা চক্রাকারে ঘটতে থাকা কিছু ঘটনার কিংবা গল্পের ছবি৷  শহীদুল জহিরের কাঁটা নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ছোটগল্প। অসাধারণ ভঙ্গিমায় তিনি গল্প লেখেন। তাঁর  ছোটগল্প কিংবা উপন্যাস পড়ার পর ঘোরের মধ্যে থাকতে হয়। তাঁর লেখা একবার পড়ে ধরাটা কঠিন কিন্তু একবার বুঝে উঠতে পারলে সেটা অনেকদিন ধরে বহন করতে হয়। কাঁটা গল্পে তিনি খুব সচেতনভাবে আমাদের সমাজের স্বভাব-সংকট-বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। কিন্তু কোনো মীমাংসা দেননি। যে কারণেই এই গল্পটি বিশেষ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। গল্পটি পিরিয়ডিক্যাল ও পলিটিক্যাল।

তাহুয়া লাভিব তুরা : ‘কাঁটা’র দিনগুলোতে একজন ক্রু

কাঁটা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ও ফোরগ্রাউন্ডে একদল নতুন মুখ নিয়ে পরিচালক ছবিটি নির্মাণ করছেন। এর গ্রুমিং পিরিয়ডে পরিচালকের নির্দেশে আমাদেরকে দেখতে হয়েছে নানান দেশের সিনেমা। অসংখ্য সিনেমা। দেখতে হয়েছে টেস্ট অব চেরি, অ্যান অ্যাপেল ফ্রম গড, ওসামা, সেপারেশন, রেভেরান্ট, সিনেমা ডি প্যারাডিসো, দ্য বো… দেখতে হয়েছে ঋত্বিক ঘটকের সব সিনেমা। এছাড়াও ফেল্লিনি, ইনারিতু, কিম কি দুকের অনেক সিনেমা দেখেছি মগবাজার কাঁটা ক্যাম্পে।


বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান
এই ছবির নেপথ্য ভূগোল
হলেও কাঁটার বাস্তবতা
বিশ্বময় একই,
সেকালেও,
একালেও

এরপর সুযোগ হয় কাঁটার স্ক্রিপ্ট পড়বার। তিন সময়ের ছবি হওয়ায় তিন ভাগে ছবিটার কাহিনি এগিয়ে যায়। ২২ পৃষ্ঠার গল্পের ১১২ পৃষ্ঠার স্ক্রিপ্ট। এবং এরপর সেটা এডিট করে দাঁড়িয়েছে ১৬৪ পৃষ্ঠা। দিনব্যাপী স্ক্রিপ্ট পড়ার পর মাথা ভারি হয়ে গিয়েছিল। মনে হলো, কি পড়লাম! এত সুন্দর গাঁথুনি, এত সুন্দর বর্ণনা, দারুণ সব উপাদান,  গল্প ঠিক রেখেও খুব বেশি স্বতন্ত্র্য, স্ক্রিপ্ট। আজিজ ব্যাপারির বাড়ির তিন জোড়া দম্পতির মৃত্যুকে ঘিরে পুরান ঢাকার ভূতের গলিতে একদল মহল্লাবাসীর গল্প। পাত্র-পাত্রীর আধিক্য থাকলেও স্ক্রিপ্টে শুধুমাত্র গল্পই প্রাধান্য পেয়েছে এবং ভিস্যুয়ালিও সেটাই থাকবে। উল্লেখ করতে পারি, এই ছবি নির্মাণের ইতিহাসও খুব স্বতন্ত্র, বাজার দখলি ভঙ্গিতে নয় মোটেও। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান এই ছবির নেপথ্য ভূগোল হলেও কাঁটার বাস্তবতা বিশ্বময় একই, সেকালেও, একালেও।

ক্যামেরার পেছনের ব্যস্ততা বা বোঝাপড়া

ইতিহাসের তিনটি সময় ১৯৬৪, ১৯৭১ ও ১৯৮৯-৯০ সালের গল্প নির্মাণের সময় মুখোমুখি হতে হয়েছে নানান প্রতিকূলতার। যথার্থ প্রপস্ ম্যানেজ করা ছিল সবচেয়ে কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এছাড়া নানান বয়সের আড়াইশো পাত্র-পাত্রী যোগাড় করাও ছিল খুবই ঝামেলার। যদিও ভালো কিছু নির্মাণের সঙ্গী হতে চাইলে অনেক ধৈর্য ধারণ করতে হয়, ঝামেলা পোহাতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়।

সব আয়োজন চলতে থাকে, শুরু হয় শ্যুটিং। শ্যুটিং মানেই যুদ্ধ। অনভিজ্ঞ টিম হলে নির্মাতার উপর দিয়ে অনেক প্রেসার যায়, তিনি হয়তো পুরো মনোযোগটা তখন দিতে পারেন না তাঁর কাজে। তবুও শেষ অবদি তাকেই হাল ধরে রাখতে হয়। অনেক মানুষ থাকায় মাঝেমধ্যে বোঝাপড়ার সংকট হয়। নির্মাতাকেই সেইটা মীমাংসা করে সবাইকে কাজে সচল রাখতে হয়। আবার ডিরেকশনও দিতে হয়। অর্থাৎ সেই মুহূর্তে তাকে ভার্সেটাইল রোল প্লে করতে হয়। যদিও ডিরেক্টর হচ্ছেন ‘গড অব প্রডাকশন’। তিনি থাকবেন ম্যানেজম্যান্টের ভাবনার বাইরে। কিন্তু ইন্ডি-ফিল্মের ক্ষেত্রে ডিরেক্টর যখন একইসাথে প্রযোজক থাকেন, তখন আর নিশ্চিন্তে শুধু শট-স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভাবার সুযোগ হয় না৷

‘কাটা’

শ্যুটিংয়ের দিনগুলোতে ছোট ছোট অনেক স্মৃতি দাঁড়িয়ে যায়। নানান মানসিকতার অনেক মানুষ একটা কাজ একসাথে করে। কেউ ভালোবাসায়, কেউ প্রফেশনের জন্যেই শুধু।


একশো
বছরের পুরোনো
একটা বাড়িতে নয় মাস
থাকার পর আর্থিক সংকট,
শ্যুটিংয়ের দিনে বৃষ্টি, চরিত্রের
বিড়াল প্রেগন্যান্ট, আর্টিস্টের
কথা-কাজে গড়মিল, টিমের
মধ্যে গড়মিল এমন
হাজারো বাঁধা-বিঘ্ন
কাটিয়ে দুয়েক
দিনের
প্যাচওয়ার্ক
বাদে কাঁটা
শ্যুটিং শেষ হয়েছে

একটা লো বাজেটের ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিনেমার ধকল অনেক বেশি। মগবাজার ক্যাম্পে ছয় মাস এবং পুরান ঢাকায় নারিন্দার প্রায় একশো বছরের পুরোনো একটা বাড়িতে নয় মাস থাকার পর আর্থিক সংকট, শ্যুটিংয়ের দিনে বৃষ্টি, চরিত্রের বিড়াল প্রেগন্যান্ট, আর্টিস্টের কথা-কাজে গড়মিল, টিমের মধ্যে গড়মিল এমন হাজারো বাঁধা-বিঘ্ন কাটিয়ে দুয়েক দিনের প্যাচওয়ার্ক বাদে কাঁটার শ্যুটিং শেষ হয়েছে। এবার শুরু হবে পোস্ট-প্রডাকশনের পালা। নানান দূর্যোগের পরে, অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কাঁটাতে সেইসব উপাদান আছে যা দর্শককে নতুন অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

‘কাঁটা’

সিনেমাতে কাজ করে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সব ধরণের শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কাজ করতে হয়েছে। কাজের জন্য যেমন মন্ত্রণালয়-থানা-পৌরসভায় যেতে হয়েছে, আবার যেতে হয়েছে ছাত্র-চাকুরিজীবী-বেকার-রাজনৈতিক নেতা ও ভিক্ষুকের কাছে। 

আমাদের সমাজে মেয়েদের কাজের উপযোগী পরিবেশ নেই, সিনেমায় তো সারভাইভ করা আরও বেশি কঠিন। সাধারণ পরিবারের একটা মেয়ে সিনেমায় কাজ করবে, এটা প্রথমত পরিবারের সদস্যরা কখনোই পছন্দ করেন না, সাপোর্ট করেন না বরং বাধার সৃষ্টি করেন। শুধু পরিবার নয়, কাজের ক্ষেত্রেও সহ্য করতে হয় নানান গঞ্জনা। বাংলাদেশি সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড টিমে লক্ষ্য করলে দেখা যায় পুরো টিমে হাতে গোনা দু-তিন জন মেয়ে। কোনো সিনেমাটোগ্রাফার মেয়ে এখনও দাঁড়ায়নি এদেশে। পারিবারিকভাবেই সিনেমাকে ঘিরে ভালো ধারণার সৃষ্টি হয়নি। সেজন্য মেয়ে হিসেবে প্রতি পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েই কাজ করে যেতে হয়।

ক্যাম্পে অগ্রজ [সদ্যপ্রয়াত] ফিল্মমেকার আমজাদ হোসেন, ‘কাঁটা’র ফিল্মমেকার টোকন ঠাকুর ও ক্রু তাহুয়া লাভিব তুরা

স্বপ্ন দেখা, আর তাকে ছুঁতে চেয়ে পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে সেটাতে সফল হওয়া সহজ নয়। আমাদের এই এত স্ট্রাগলের উদ্দেশ্য একটাই– কাঁটা ছবিটিকে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ছবিটির পেছনের জার্নি হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া কেউ জানবে না। কিন্তু সিনেমাটা দেখবে। আর সিনেমা দেখার পর দর্শকের প্রতিক্রিয়াই জানান দেবে– আমরা সফল হয়েছি নাকি ব্যর্থ। আর কিছুদিনের অপেক্ষা। আপাতত পোস্ট-প্রোডাকশন নিয়ে ব্যস্ত । হবু দর্শকের ভালোবাসা আর আগ্রহেই আমরা ছবিটি দ্রুত শেষ করতে কাজ করছি।

ওকে, কিপ ইন টাচ্ উইদ কাঁটা.. গুডবাই!

১১ জুলাই, ২০১৯

ছবি । হোসেইন আতাহার

Print Friendly, PDF & Email
থিয়েটার ও ফিল্ম অ্যাকটিভিস্ট; বাংলাদেশ। স্ক্রিপ্ট সুপারভাইজার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর : কাঁটা । অ্যাকট্রেস: গাঙকুমারী। প্রতিষ্ঠাতা, স্ট্রিট চিলড্রেনস্ থিয়েটার । ইয়ুথ ভেঞ্চার, অশোকা [ইউএস] । সাবেক চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার, এনসিটিএফ, সেভ দ্য চিলড্রেন । শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

9 মন্তব্যগুলো

  1. আমিও জড়িয়ে আছি একটা যুদ্ধে,
    যুদ্ধের নাম কাঁটা?

    বীর কখনো ডরায় না যুদ্ধে??
    শুভকামনা তুরা❤

  2. কিশোর মাহমুদ, সিনেমাটোগ্রাফার ও স্বাধীন চলচ্চিত্রনির্মাতা

    বাঙলাদেশে সিনেমা নির্মাণ একটা ভয়াবহ যুদ্ধ। আমরা যারা এর সাথে জড়িত তাঁরা এটা হাড়ে হাড়ে টের টা পাই।আপনার লেখায় এ যুদ্ধ যেন আরও স্পষ্ট আর দৃশ্যমান। কাঁটার সুটিং সেটে উপস্থিত না থাকলেও আপনার লেখাটা পড়ে মনে হলো কাঁটার সুটিং থেকে ঘুরে আসলাম। আপনার সাবলিল লেখায় কাঁটার প্রতি প্রেম আর মুগ্ধতা আরও বাড়লো। বেঁচে থাকুক কাঁটা।জয় হোক কাঁটার♥ জয় হোক আপনাদের কষ্টের♥♥

  3. তুমি যে এতোটা চেলেঞ্জিং পার্সন, Still now I can’t believe.
    যাইহোক, কারো সামনে তার প্রশংসা করার অভ্যাস টা আমার নাই।

    আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তোমার Struggle তোমাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

    ট্রেমেন্ডাস লাভ ফ্রম ভাইয়া।

    কিপ ইট আপ আপু❤

  4. Nice reading. Waiting to watch the creative art work. I am sure that hard work will be paid off.

  5. অত্যন্ত ভালো হয়েছে লেখাটা, বাস্তবানুগ বর্ণনা। কাঁটা’র জন্য শুভকামনা।

  6. কাঁটা টিমের জন্যেও অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা৷ সিনেমা নির্মাণ আসলেই যুদ্ধ৷ এতসব বাঁধা বিপত্তিকে সামলে যারা নির্মাণ করে দেখাতে পারেন তারাই তো প্রকৃত জয়ী৷ দর্শক অনেক সময় ভালো ভালো সিনেমাও নিতে পারেনা। আশা করি খুব শীগ্রই পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ সেরে এই জয়ের উপসংহার টানবেন৷ আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। শুভকামনা৷

  7. অনেকদিন পর কাঁটা সিনেমার খবর শুনে ভালো লাগলো। Good luck Kaanta. Thank,s tura.

মন্তব্য লিখুন

Please enter your comment!
Please enter your name here