রাজকাহিনী

1998
Rajkahiniরাজকাহিনী
[Tale of Kings]
স্ক্রিপ্টরাইটার, ফিল্মমেকার ও এডিটর  সৃজিত মুখার্জী
প্রডিউসার ও ডিস্ট্রিবিউটর  শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
মিউজিক  ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত
সিনেমাটোগ্রাফি  অভীক মুখোপাধ্যায়
কাস্ট [ক্যারেক্টার]  ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত [বেগম জান]; যিশু সেনগুপ্ত [কবির]; শ্বাশত চট্টোপাধ্যায় [প্রফুল্ল সেন]; কৌশিক সেন [ইলিয়াস]; আবীর চ্যাটার্জি [মাস্টার]; জয়া আহসান [রুবিনা]; সুদীপ্তা চক্রবর্তী [যুথিকা]
রানিংটাইম  ১৬০ মিনিট
ভাষা বাংলা
দেশ  ভারত
মুক্তি  ১৬ অক্টোবর ২০১৫

 

লিখেছেন ফাতিমা আমিন


 

রাজকাহিনী রিলিজের পর এর পরিচালক সৃজিত মুখার্জী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে এক বক্তৃতায় বলেন : সুবর্ণরেখার স্তন্য পান করেই রাজকাহিনীর জন্ম হতে পারে, সাদাত হোসেন মান্টোর লেখার স্তন্য পান করে রাজকাহিনীর জন্ম কিন্তু তা এত অর্গানিক জায়গায় যা আমাদের চেতনাকে ঘিরে থাকে।”

রাজকাহিনী দেখবার পর প্রচণ্ড ব্যক্তিগত বয়ান দীর্ঘশ্বাসের ডালপালা মেলেছে। পূর্বে দেশভাগ দেখেছি সিনেমায়, উপন্যাসে, স্মৃতিকথায়– তা ছিল ব্যক্তির ট্রাজেডি আর বাস্তুচ্যুত হবার গল্পে এবং ছিন্নমূলের অস্তিত্বে। সেই স্থানে রাজকাহিনী হৃদয়ের মানচিত্রে প্রচণ্ডভাবে অসীমান্তিক চেতনার জন্ম দেবে। যে ট্রাজেডির গল্প শুনে এসেছি তিন পুরুষ ধরে। রাজকাহিনী ইতিহাসের ‘দেশে’র বিপরীতে ‘দ্বেষ’।

Rajkahini
রাজকাহিনী

সৃজিত হলেন একজন ‘থট থ্রু ডিরেক্টর’। প্রচণ্ড এনার্জেটিক, ডায়নামিক। অন্তত রাজকাহিনী তা-ই প্রমাণ করে। প্রতিটা চরিত্রের মধ্যেকার স্পেসটাকে আগাগোড়া নিয়ন্ত্রণ করে যাওয়া শুধু নয়, চরিত্রগুলোর গতি যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে– সেটাও তিনি মাথায় রেখেছেন অত্যন্ত সচেতনভাবে।

সৃজিত মুখার্জী ছবির শুরুতে কৃতজ্ঞতায় ‘সাদাত হোসেন মান্টো’র [পাকিস্তানি কথাকার] খোলা দো গল্পের কথা বলেছেন, সাদাত হোসেন মান্টোকে দাঙ্গা ও দেশভাগের শ্রেষ্ঠ কথাকার বললে নিশ্চয় কেউ আপত্তি করবে না। মান্টোর অস্ত্র হলো তীক্ষ্ণ, শাণিত ব্যঙ্গ, যা কখনো কখনো তীব্র কটু বিদ্রূপে প্রকাশ পায়। আর অন্যদিকে রাজকাহিনী দেশভাগ নিয়ে ঋত্বিক ঘটকের ‘মেলোড্রামা’ এবং তীব্র আবেগের মহাকাব্যিক অভিঘাত– এ দুয়ের সাথে যুক্ত হয়েছে অবন ঠাকুরের রাজকাহিনী’র শেষাংশ।  তার  পাশাপাশি  তিনি গোভিন্দ নিলাহানির টেলিভিশন সিরিয়াল তামাস-এর [১৯৮৮] দ্বারাও অনুপ্রাণিত। একটা গল্পকে কী করে বলতে হয়– তা জানেন; ফলে ছবিতে এ প্রতিটি বিষয়ের মেটাফোরিকেল উপস্থাপন স্পষ্ট। স্মৃতি ও নতুন অভিজ্ঞতার পুনর্গঠনই দুটি মাত্রায় দেশভাগের এ চলচ্চিত্রে বিকশিত। আর তার সাথে সৃজিত যুক্ত করেছেন ব্যক্তিক কথকতার সূত্র। ফলে দেশভাগ নিয়ে চলচিত্রে ‘দেশ’ ধারণাটির বিনির্মাণ ঘটেছে রাজকাহিনীতে।

Rajkahini
রাজকাহিনী
…১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ,
১৯১৩ সালে হিন্দু মহাসভা,
১৯২৩ সালে বেঙ্গলফ্যাক্ট,
১৯৩৭ সালে কৃষকপ্রজা পার্টির গঠনপর্ব
পেরিয়ে ১৯৪৬-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
এবং
পরের বছর ১৯৪৭-এর দেশভাগ
দুটি সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করতে
গিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে বিভক্ত
করে দিয়েছে– যার ক্ষত
কোনোদিন শুকোবে না…

মানুষের জন্মভূমি আর স্বদেশ সবসময় এক থাকে না। ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমার জন্মভূমি বিদেশ হয়ে গেছে। সময়ে সময়ে মানুষ নিজের মতো করে নির্মাণ করতে চায় সবকিছু; আর তাই বারংবার ভুলের ফাঁদে পা দেয়। ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ, ১৯১৩ সালে হিন্দু মহাসভা, ১৯২৩ সালে বেঙ্গলফ্যাক্ট, ১৯৩৭ সালে কৃষকপ্রজা পার্টির গঠনপর্ব পেরিয়ে ১৯৪৬-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং পরের বছর ১৯৪৭-এর দেশভাগ দুটি সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে বিভক্ত করে দিয়েছে– যার ক্ষত কোনোদিন শুকোবে না। দেশভাগের কারিগররা মনে করেছিলেন, ভাগ করে দুটো সম্প্রদায়কে দুদিকে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে সংঘর্ষ-রক্তপাত এড়ানো যাবে। কিন্তু বাস্তবে হলো তার উলটো।

Rajkahini
রাজকাহিনী

বেগমজান তার পতিতালয়ের প্রধান। র‍্যাডক্লিফের মানচিত্রের সূত্র ধরে বেগমজানের কোঠা হলদিবাড়ি দেবীগঞ্জের ঠিক মাঝে অবস্থিত। যুথিকা, রুবিনা, লতা, গোলাপ, দুলি, শবনব, বুচকি, আর ঠাম্মাকে নিয়ে বেগমজানের সংসার। বেগমজানের কোঠাবাড়ি মন্দ মেয়ের উপাখ্যান [বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত; ২০০২] বা মান্ডির [শ্যাম বেনেগাল; ১৯৮৩] মতো দেহপসারিণীর আড্ডা নয়; সেখানকার মেয়েরা দিনে-রাতে খদ্দের বসায়, জাত-পাতের বাছ-বিচার নেই। গ্রামের বাইরে ওই কোঠা ছোট আরেকটি ভারতবর্ষের রূপক বলা চলে। সেখানে যেই আশ্রয়প্রার্থী, তার জাত-ধর্ম-জন্মসূত্র কোনোকিছুই বিচার্য নয়। সবাইকে আপন করে নেয় তার চৌহদ্দি। হঠাৎ একদিন ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর যখন ভারতবর্ষ স্বাধীন হবার খবরে কোঠায় আনন্দ উৎসব চলছিল, তার কদিন বাদে ভারত-পাকিস্তান সরকারের দুজন প্রতিনিধি হাজির হয় বেগমজানের আশিয়ানায়। এক মাসের মধ্যে খালি করে দিতে হবে এ জায়গা। রংপুরের শেষ প্রান্ত হলদিবাড়ি-দেবীগঞ্জ; এই কোঠা মানে ‘দেশ’, এখানে জিসম তাদের মর্জি ও তাদের সাথে সাথে নিয়ম পর্যন্ত। দেশ, হিন্দুস্থান-পাকিস্তান, করাচি, দিল্লী, পার্টিশন, নেহেরু– সবই শব্দ মাত্র, তার বেশি কিছু নয়; ওদের কাছে এই আশিয়ানাই ওদের দেশ। দেশভাগে’র আস্ফালনের কাছে কিছুতেই মাথা নত করে না বেগমজান, দুলি, রুবিনা, গোলাপরা। ওরা প্রতিবাদ করে আত্মাহুতি দেয় দেশের তরে। রাজকাহিনীতে এই র‍্যাডক্লিফ-লাইনটি আসলে রূপক– শোষণ, শাসন আর বৈরিতার।

Rajkahini
রাজকাহিনী

রাজকাহিনীর সবচেয়ে বড় শক্তি একঝাঁক তারকা– প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গাটা দারুণভাবে পারফর্ম করেছেন। বিশেষ করে বেগমজান চরিত্রে ঋতুপূর্ণা সেনগুপ্ত অসাধারণ তার ফ্যাসফ্যাসে কণ্ঠস্বরের জন্যে; সমালোচকগণ কটুক্তি করলেও শুনতে অনভ্যস্ত ঐ হাস্কি ভয়েসের জন্যেই ঋতুপর্ণাকে আলাদা করা গেছে। তবে খটকা লেগেছে তার উর্দু-বাংলা মিশ্রিত সংলাপে। তার সংলাপে বলে,
“আমি যেখানে পয়দা হয়েছি, যাহাসে পালকি করে বউ হয়ে বেরিয়েছি, তাহাপে বাঙ্গজি হয়ে ফিরেছি– সে এখন দু-দেশে ভাগ হবে।”

…সংলাপের সাথে সাথে
বেগমজান
সাধারণ মৃক্তিকাবিচ্যুত মানুষের
প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে, যে
ছিন্নমূল মানুষগুলোর কাছে
দেশভাগ মানে দিল্লী-করাচির
চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত…

বেগমজানের কোটা হিন্দুস্থান-পাকিস্তানের [পূর্ববঙ্গ, রংপুর] হলদিবাড়ি-দেবীগঞ্জ বর্ডারে হলে তার সংলাপ কেন বাংলা নয়; কেননা, ঐ ঐলাকার লোকের ভাষা বাংলা। যদি বেগমজান এ এলাকার মানুষই হয়ে থাকে, তবে তার সংলাপ কেন এমন– তা বুঝতে গিয়ে হোচট খেয়েছি। এ ছবির পূর্বে প্রায় এ রকম একটি চরিত্রে ঋতুপর্ণাকে অভিনয় করতে দেখেছি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মন্দ মেয়ের উপাখ্যান চলচ্চিত্র। যেখানে তার চরিত্রের নাম ছিল রজনী। বেগমজানকে দেখতে কখনও মনে হয়েছে, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান-এর রজনী রাজকাহিনীর বেগমজান হয়ে উঠেছে। বেগমজানের সবচেয়ে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো, সংলাপ নিয়ে খেলা করবার সুযোগ। সংলাপের সাথে সাথে বেগমজান সাধারণ মৃক্তিকাবিচ্যুত মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে, যে ছিন্নমূল মানুষগুলোর কাছে দেশভাগ মানে দিল্লী-করাচির চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত। যখন পাকিস্তান-হিন্দুস্থানের দুই সরকারি প্রতিনিধি সরকারি ফরমান নিয়ে হাজির হয়, তখন বেগমজানের উচ্চারণ [অট্টহাসি]:
“আরে বড় সাহেব, আপনাদের র‍্যাডক্লিফ সাহেব তো বড় আজিব নিকলা। কসাইয়ের মতো যখন দেশটাকে কাটলই, তখন একটু ভালো করে কাটতে পারল না? আরে এ রুবিনা, আমাদের রহিম চাচা এর থেকে ভালো বাখরা কাটেরে, হাঁ– রান বললে রান দেয়, গুর্দা বললে গুর্দা, কালেজা বললে কালেজা।”

Rajkahini
রাজকাহিনী

সেই আট্টহাসি যেন রূপকের মতো করে নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে স্যাটায়ার করেছে ভীষণ অভিনবভাবে। তারচেয়েও বেশি ভালো লেগেছে অভীক মুখার্জীর ক্যামেরা : ক্যামেরা যখন সংলাপের সাথে সাথে বেগমজানকে মিড-ক্লোজআপ থেকে এক্সট্রিম ক্লোজআপে নিবদ্ধ করছে, সেখানেই সৃজিতের মুন্সিয়ানা। বেগমজান বলতে থাকে,
“জনাব, আপনি মুখে যেটা কোঠা বলছেন, আর মনে মনে রাড়খানা বলছেন– সেটা আমার দেশ। এ বতন হে মেরে লিয়ে। এখানে কোনো হিন্দু-মুসলমান নেই, কোনো উচিজাত-নিচিজাত নেই। এখানে জিসম আমাদের, তাই মর্জিও আমাদের, অর নিয়ম ভি। আপনারা কোন হিন্দুস্থান-পাকিস্তানের কথা বলছেন– আমি জানি না।”

Rajkahini
রাজকাহিনী

ছবির গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্র প্রফুল্ল ও ইলিয়াস দুটো দেশ, দুটো ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। এ দুটো চরিত্র যখন নিজেদের সাথে কথা বলে, তখন ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রকাশ পায়। ক্যামেরা প্রফুল্ল ও ইলিয়াসের মুখের অর্ধেকটা ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ক্লোজআপে থাকে, যেন দুজন মিলে অখণ্ড কোনো সত্তা কিংবা ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করলে, একটি মুদ্রার দুই পিঠ। এই যে বিনির্মাণ– তা যুগল মনস্তত্ত্বকেই তুলে আনে। সংলাপে বলতে শুনি :

ইলিয়াস : মাসিমা কেমন আছে?
প্রফুল্ল : ভালো, দুজনেই রেপড হয়নি একটুর জন্য। সরি ইলি, আছিস কেমন? নাজিয়া বৌদি?
ইলিয়াস : ভালো নেই, মারা গেছে। প্রথমে বলৎকার, তারপর আগুন দিয়ে।

নিজেদের স্মৃতি আর ঘৃণা মিশিয়ে অসাধারণ সংলাপের সাথে সাথে পোশাকেও তা স্পষ্ট– একজন কালো, অন্যজন অফ-হোয়াইট বা সাদা বললেও চলে। এ হলো অনুসন্ধান, ঐতিহ্য ও চেনাজগতের সাহায্যে তাকে ব্যাখ্যা করা।

সিনেমার একটি দৃশ্যের কথা না বললেই নয়– যুথিকা, শবনব আর বুচকি পালাতে গিয়ে ধরা খায় পুলিশের হাতে। বুচকির শাড়ি খুলে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে যে প্রতিবাদ জানায়, তা ২০০৪ সালে মনিপুরে থানজাম মনোরমা হত্যায় ত্র্রিশজন মধ্যবয়স্ক নারীর উলঙ্গ হয়ে প্রতিবাদ জানানো কথা মনে করিয়ে দেয়।

Rajkahini
রাজকাহিনী

১৯৪৭-এর দেশভাগের প্রেক্ষাপটে রাজকাহিনী কিছু অপাংক্তেয় নারীর গল্প। রাজকাহিনী নারীশক্তি উন্থানের গল্প। যে নারীরা দুটো সরকারের বিপরীতে উঠে দাঁড়ায় প্রচণ্ড মনোবলে। দেশভাগ ও দেশত্যাগ– শব্দ দুটিই একসঙ্গে উচ্চারিত হতে পারে, অন্তত রাজকাহিনীর প্রেক্ষাপটে তা-ই মনে হয়েছে। আসা-যাওয়ার পথে যে সব ভাঙাদিনের ঢেলা, তাকে বাড়িয়ে অনেকেই শিল্পে এনেছেন কবিতা রূপে, গল্পে, উপন্যাসে কিংবা সিনেমায়। কিন্তু সৃজিত এই প্রথম দেশভাগ নিয়ে এমন এক আখ্যান রচনা করেছেন, তা কেবল দেশভাগের স্মৃতি নয়, দেশভাগের পূর্ণপঠন। বলপূর্বক স্থানান্তরিত হবার উদ্বাস্তু সত্তা, যারা পরিচয়ে পতিতা– রাজকাহিনী সেই সামাজিক প্রেক্ষাপটে দাঁড় করিয়েছে এক রাজনৈতিক এজেন্ডা। নিজেদের স্বাধীন ভূখণ্ড যেন অখণ্ড ভারতমাতা– এ এক নতুন আত্মপরিচয়ের সন্ধান গভীর-গভীরতর অসুখের মতো। কোথাও একবার পড়েছিলাম,
“It doesn’t matter whether you are a queen or a whore, it is still a men’s world.”

পুঁথিগত ইতিহাসের বাইরেও ইতিহাসের স্থান থাকে– যেমন সাহিত্য, সিনেমা, কবিতা, গল্প, উপন্যাস কিংবা নাটকে। যদিও দেশভাগের স্তব্ধতার ইতিহাস বাংলাদেশ তথা দু’বাংলাতেই খুব কম ও বিক্ষিপ্ত। দেশভাগ মানেই কেবল বিতাড়ণ বা উচ্ছেদের গল্প। ক্ষমতার বলে উচ্ছেদ অভিযান। কোনটা আমার দেশ– যেখানে যাচ্ছি সেটা, নাকি যা ফেলে এসেছি সেটা? জন্মভূমি নাকি আশ্রয়ভূমি আমার দেশ? কেবলমাত্র ধর্মের পরিচয় দিয়ে তাকে নির্ণয় করা যাবে কি? প্রশ্নগুলো থেকে যায় মনে। একে কি বলব– অ্যাক্ট অব সাক্রিলেজ [অধর্মাচরণ], নাকি মূল্যবোধ বিষয়ে ডিসকোর্স? প্রশ্নগুলো তোলা রইল। ভেবে দেখবেন।

Print Friendly, PDF & Email

2 মন্তব্যগুলো

  1. Sadat Hossain Manto is an extraordinary short story writher in this subcontinent. And if we read his works we will find that he dont want to get himself divided to this India Pakistan Identity. Moreover, it is one of the reason of his instability and content of his writings. He is an eternal soul of mankind. A representative of refugees from all over the world. A strong spokesman for peoples who are suffering in the name of COUNTRY or State or Religion.

Leave a Reply to জয়া আহসান : অন্ধকার পর্দার আলো/ নূরুল আলম আতিক | ফিল্মফ্রি

Please enter your comment!
Please enter your name here