কিম কি-দুক: অস্পৃশ্য বাস্তবতার পৌরাণিক দ্রষ্টা

1158
কিম কি-দুক
জন্ম ঃ ২০ ডিসেম্বর ১৯৬০ । দক্ষিণ কোরিয়া

লিখেছেন রুদ্র আরিফ


ন্য যে কোনো কোরিয়ান ফিল্মমেকারের তুলনায় কিম কি-দুকের সিনেমা ও সুনাম এক ধরনের স্বতন্ত্রের বোধ থেকে চিহ্নিত হয়ে আছে। নিজ প্রজন্মের হং স্যাং-সু কিংবা লি চ্যাং-ডংয়ের মতো অন্য কোরিয়ান ফিল্মমেকারদের সঙ্গে তার স্ব-উদ্ভাবিত ফিল্মিভাষা ও ভঙ্গিমার কোনো ধরনের মিল নেই। সাবজেক্ট ম্যাটার হিসেবে কিম ফোকাস করেন মধ্য ও উচ্চবিত্ত কোরিয়ান সমাজের প্রচলিত স্রোতের বিপরীতে বাস করা প্রান্তিক ও বঞ্চিত চরিত্রগুলোর উপর। ফলে, বিদেশের বক্স অফিসে সাফল্য ও ব্যাপক প্রশংসা পেলেও নিজ দেশের সমালোচক কিংবা দর্শকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়া দুর্লভ ফিল্মমেকারদের মধ্যে তিনিও অন্যতম। নিজের অনুপ্রেরণা, নিজস্ব নন্দনবোধ, নিজের দেখানো কাহিনী এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের গ্রহণযোগ্যতা কিম কি-দুককে তার একেবারেই নিজস্ব একটি পৃথিবীর বাসিন্দা করে দিয়েছে

কিম কি-দুকের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তর জিয়ংস্যাং প্রদেশের বংহুয়া অঞ্চলে। ৯ বছর বয়সে, পরিবারের সঙ্গে, গ্রামের খোলা হাওয়া ছেড়ে রাজধানী শহর সিউলের নিন্ম-মধ্যবিত্ত ঘেরাটোপে বাস শুরু করেন তিনি। এখানে একটি কৃষি প্রশিক্ষণ স্কুলে ভর্তি হলেও অর্থোপার্জনের জন্য ১৭ বছর বয়সেই সেটি ছেড়ে, কাজ নিতে হয় কারখানায়। ২০ বছর বয়সে রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে যোগ দিতে হয়েছে সামরিক বিভাগে। তখন থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত নৌবাহিনীর জীবনে বেশ স্বাচ্ছন্দই ছিল; কিন্তু মন টানেনি। ফলে, বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড়া পেতেই গিয়ে ওঠেন একটি গির্জায়; উদ্দেশ্য– ধর্মযাজক হবেন। সেই লক্ষ্যে সেখানে কেটে যায় তার দুটি বছর। এরপর পেইন্টিংয়ের প্রতি ভীষণ অনুরক্ত এই মানুষটি নিজের জমানো সব টাকা দিয়ে কিনে ফেলেন প্লেনের টিকেট। গন্তব্য– শিল্পের নগরী প্যারিস। তখন ১৯৯০ সাল। প্যারিসের রাস্তায় নিজের আঁকা পেইন্টিং বিক্রি করে পেটে-ভাতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন-বাস্তবতা-মাখানো দিন কাটে তার। এ সময়েই একদিন কী ভেবে ঢুকে পড়েন এক সিনেমা-হলে। গ্রহণ করেন জীবনের প্রথমবার সিনেমা-হলে ঢোকার অভিজ্ঞতা। আর দিনে দিনে এ জগতটি টানতে থাকে থাকে। বিশেষ করে, আমেরিকান থ্রিলার ফিল্ম দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস [ফিল্মমেকার : জোনাথন ডেমি; মুক্তি : ১৯৯১] ও ফরাসি ফিল্ম দ্য লাভারস অন দ্য ব্রিজ [লিওস ক্যারাক্স; ১৯৯১] দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়ে যান। পড়ে যান সিনেমার প্রেমে। নতুন স্বপ্ন ডানা ঝাপটাতে থাকে তার মনে ও মননে। সেই স্বপ্নের তাড়নায় মুখ ফেরান স্বদেশের দিকে।

দৃশ্য । পিয়েতা

দুই বছর ফ্রান্সবাসের পর কোরিয়াতে ফিরে নিজের এই নতুন আগ্রহের জায়গাটিতে সম্পৃক্ত হন কিম। সম্পৃক্ততার মাধ্যম– স্ক্রিপ্ট লেখা। লেখা তো হলো; এবার? পাঠাতে থাকেন স্থানীয় স্ক্রিপ্টরাইটিং প্রতিযোগিতাগুলোতে। ১৯৯৩ সালে অ্যা পেইন্টার অ্যান্ড অ্যা ক্রিমিনাল কনডেমনড টু ডেথ শিরোনামের স্ক্রিপ্টটির জন্য জিতে নেন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ক্রিনরাইটিং-এর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। পরের বছর ডাবল এক্সপোজার-এর জন্য জেতেন কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিল-এর [সংক্ষেপে– ‘কেওএফআইসি’; বর্তমানে ‘কোরিয়া মোশন পিকচার প্রমোশন করপোরেশন’] তৃতীয় সেরা পুরস্কার। আর ১৯৯৫ সালে জয়ওয়াকিং-এর জন্য একই প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ওঠে তারই হাতে।

১৯৯৬ সালে প্রোডাকশন কোম্পানি জয়ুং ফিল্মসের ব্যানারে ফিল্মমেকার হিসেবে অভিষেক ঘটে কিমের। সিনেমার নাম– ক্রোকোডাইল। সিউলের হান নদীর তীরে বাস করা এক লোকের কাহিনী এটি। আত্মহত্যা করতে আসা এক নারীকে বাঁচায় লোকটি। এরপর তাদের মধ্যে একটি বেমানান সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগপর্যন্ত সেই নারীটিকে ধর্ষণ ও হয়রানি করে যায় সে। ফিল্মমেকিং ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে আবেগে উত্তেজিত কিম নিজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, যেন তারা ফিল্মটির প্রেস স্ক্রিনিংয়ে আসে ও উৎসাহ দেয়; কিন্তু তার আহবানে খুব কম সাংবাদিকই সাড়া দিয়েছিল তখন। তবে পুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল [দক্ষিণ কোরিয়া] থেকে বেশ ভালো সাড়া পান তিনি। সেখানে কোরিয়া প্যানোরামা বিভাগে ক্রোকোডাইলসহ তার পরবর্তী ফিল্মগুলো বেশ যত্নের সঙ্গে দেখানো হয়। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে এই ফেস্টিভ্যাল। এর নজির, এখানকার ২০০২ সালের আসরের উদ্বোধনী সিনেমা ছিল কিমের দ্য কোস্ট গার্ড

পোস্টার । থ্রি-আয়রন

বছর প্রতি এক থেকে দুটি লো-বাজেটের সিনেমা বানিয়ে অভ্যস্ত কিম কি-দুক শুটিং করেন ঝটপট; এবং একেবারেই বাস্তব লোকেশনে। ১৯৯৬ সালে ওয়াইল্ড এনিমেল বানালেও তেমন সাড়া পাননি। ১৯৯৮ সালে তার তৃতীয় সিনেমা বার্ডকেইজ ইন-এর প্রদর্শনী হয় কারলোভি ভ্যারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে [চেক প্রজাতন্ত্র]। স্থানীয় প্রবল দাপুটে প্রোডাকশন কোম্পানি মিয়াং ফিল্মস প্রযোজিত দ্য আইল সিনেমাটি তাকে ব্রেকথ্রু এনে দেয়– ২০০০ সালের ভেনিস ইন্টারনেশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের [ইতালি] প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিয়ে। ফিল্মটিতে বিশেষ করে, মাছ ধরার বর্শি নিয়ে দেখানো একটি আতঙ্কজনক দৃশ্যকে ঘিরে ইতালিয়ান সাংবাদিকরা বেশ জোর বিতর্কে লিপ্ত হন। যদিও প্রধান জুরির কাছ থেকে কোনো পুরস্কার জেতেনি, তবু এই ফিল্মই ইউরোপে কিমের খ্যাতির গোড়াপত্তন ঘটায়। অবশ্য, নিজ দেশের বেশিরভাগ সিনে-সমালোচককেই তার সিনেমাগুলো টানেনি; উল্টো, নারীবাদী সমালোচকেরা তাকে ‘পিশাচ’, ‘সাইকো’ কিংবা ‘অকাজের ফিল্মমেকার’ ইত্যাদি তকমায় অভিহীত করেছে! এই ফিল্মমেকার ও তার সমালোচকদের মধ্যে জ্বলা এ আগুন তখন এমন বিষম অবস্থায়ই পৌঁছে যে, কিম এক সময় ঘোষণা দিয়ে বসেন– আর কখনোই স্থানীয় কোনো সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেবেন না। [অবশ্য, এই প্রতিশ্রুতি বেশিদিন রাখতে পারেননি তিনি।] এ বছরই বানানো তার আরেকটি ফিল্ম রিয়েল ফিকশন-এ নিদারুণ এক্সপেরিমেন্ট করেন তিনি। লো-কোয়ালিটি ভিডিওতে কোনো রি-টেক ছাড়াই সম্পূর্ণ রিয়েল-টাইমে শুটিং করা এই ফিল্মটি মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে [রাশিয়া] জায়গা করে নিলেও নিজ দেশে নিন্দিত হয় ‘নোংরামি’র দায়ে।

দৃশ্য । ব্যাড গাই

এরপরের কয়েক বছর আরো উচ্চমার্গীয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে আমন্ত্রণ পান তিনি। ২০০১ সালে বানানো দুটি ফিল্মের মধ্যে ভেনিসে দেখানো হয় অ্যাড্রেস আননৌন, আর বার্লিনে [জার্মানি] ব্যাড গাই। এরমধ্যে ব্যাড গাই তাকে প্রথমবারের মতো নিজ দেশের বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয়। এরপর কিম বানান দ্য কোস্ট গার্ড। এই ফিল্মে তার ক্যারিয়ারের একমাত্র স্টার-কাস্টিং জ্যাং দং-গুন উপস্থিত থাকলেও এটি বাণিজ্যের বিচারে যথারীতি ব্যর্থই হয়।

ক্যারিয়ারের নবম সিনেমায় এসে ফিল্মমেকার হিসেবে সত্যিকার অর্থেই বড় ধরনের এক বাঁক নেন কিম। স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার… অ্যান্ড স্প্রিং শিরোনামের, সাম্প্রতিক সিনে-ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হিসেবে বিবেচিত এই সিনেমাটি বৌদ্ধধর্মীয় থিম নিয়ে বানানো। যদিও তিনি সমাজের প্রান্তিক বিষয়আশয়ের উপর দৃষ্টিপাত অব্যাহত রেখেছিলেন, তবু এ বেলা তার কাজ হয়ে ওঠে আরও একটু সতেচনরকম আত্মিক বিষয়ক, কম অহিংস এবং পাপমুক্তি ও ক্ষমার থিমকে সামনে রেখে সৃষ্ট। কিমের এই কোমলতর স্টাইল বিদেশি দর্শকদের বেশ আকৃষ্ট করে। স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার… অ্যান্ড স্প্রিং ও থ্রি-আয়রন ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দর্শক ও ফেস্টিভ্যাল জুরিদের মধ্যে বেশ শক্তিমান সাফল্য অর্জন করে। ২০০৪ সালে দুটি আলাদা ফিল্মের জন্য দুটি আলাদা বিশ্বখ্যাত ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বেস্ট ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড জয় করার দুর্লভ নজির স্থাপন করেন কিম। সামারিতান গার্ল-এর জন্য বার্লিন আর থ্রি-আয়রন-এর জন্য ভেনিস থেকে এই সাফল্য আসে। আজব ব্যাপার হলো, মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফিল্ম দুটির শুটিং করেছিলেন এই কর্মপ্রাণ মানুষটি।

দৃশ্য । স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার… অ্যান্ড স্প্রিং

পরের বছর দ্য বোর মাধ্যমে এতদিন রুদ্ধ থাকা কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের [ফ্রান্স] দরজাও খুলে যায় তার জন্য। ২০০৬ সালে নির্মিত টাইম-এর প্রিমিয়ার হয় কারলোভি ভ্যারি ফেস্টিভ্যালে। আর ২০০৭ সালে নির্মিত ব্রি মনোনীত হয় কান ফেস্টিভ্যালের সর্বোচ্চ পদক পাম দি’অর-এর জন্য। পরের বছরটি ছিল তার জন্য ট্রাজেডির। এ বছর নির্মিত ড্রিম তাকে নিজ দেশে বাণিজ্যিক সাফল্য এনে দিলেও ব্যক্তিজীবনে দাঁড় করিয়ে দেয় অমীমাংসিত প্রশ্নের মুখোমুখি। এর শুটিংয়ের সময় দুর্ঘটনাক্রমে অভিনেত্রীর গলায় ফাঁস লেগে যাওয়ার দায় [পরে তাকে মূমুর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়] থেকে নিজেকে ক্ষমা করতে না পেরে সিনেমার জগত ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিম। প্রস্তুত থাকা দুটি স্ক্রিপ্ট দিয়ে দেন দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে। তবে সে যাত্রায় খানিক বিরতি শেষে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গুণমুগ্ধদের চাপ ও টিম মেম্বারদের অনুরোধে আবারও কাজে হাত দিলেও নতুন ফিল্মের প্রি-প্রোডাকশনের সময় খুব কাছের মানুষদের বিশ্বাসঘাতকতার ভীষণ মর্মাহত হন, এবং সবার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে যান এক প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে। সেখানে একটি তাঁবুতে একেবারেই একা ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের প্রথম পর্যায় পর্যন্ত কাটান তিনি। সঙ্গী ছিল একটি ভিডিও রেকর্ডেবল স্টিল ক্যামেরা আর যৎসামান্য খাবার। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে তার এই দীর্ঘ প্রায় তিন বছরের স্বেচ্ছা-নির্বাসিত জীবনের নেপথ্য কথা, তার নিজস্ব জীবনবোধ ইত্যাদি প্রসঙ্গে নিজের সঙ্গে নিজের কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করতে শুরু করেন নিজেই। আর সেই কথোপকথনই জন্ম নেয় আরিরাং নামের অনবদ্য এক ডকুমেন্টারি ফিল্মের। এই ফিল্মের অভিনেতা, সিনেমাটোগ্রাফার, এডিটর, প্রোডাকশন ডিজাইনার, লাইটম্যান, সাউন্ড রেকর্ডার– সবই এক ও অনন্য কিম কি-দুক। তারপর আরিরাং নিয়ে এই ফিল্মমেকার বেরিয়ে আসেন সেই তাঁবু থেকে, ফিরে আসেন জনপদে, ফিরে আসেন সিনে-জগতে। কান ফেস্টিভ্যালের ডকুমেন্টারি বিভাগে দেখানো হয় এবং এ বিভাগের সর্বোচ্চ পদক জিতে নেয় ফিল্মটি। স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে ফিরে এ বছরই বানানো আমেন দেখানো হয় সান সেবাস্তিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে [স্পেন]। আর ২০১২ সালে বানানো পিয়েতার জন্য তিনি জিতে নেন ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সর্বোচ্চ পদক গোল্ডেন লায়ন

এরপর ২০১৩ সালে নির্মাণ করেন মোবায়াস; ২০১৪ সালে ওয়ান অন ওয়ান; ২০১৫ সালে স্টপ। আর এ বছরের ৬ অক্টোবর মুক্তি পায় দ্য নেট। এখন নতুন সিনেমার ভাবনায় ব্যস্ত এই ধ্যানী ফিল্মমেকারের অবিসংবাদী ক্ষমতা হলো– শিল্পসম্মত চিত্রকল্প সৃষ্টির মাধ্যমে এবং কোনো সংলাপের সাহায্য ছাড়াই কাহিনীকে অনবদ্যভাবে এগিয়ে নেওয়ার দক্ষতা। এই দুটিই তার কাজকে বিদেশী দর্শকদের সামনে সহজবোধ্য হতে সাহায্য করেছে। কোনোদিন সিনেমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পাঠশালায় পাঠ না নেওয়া এই স্বশিক্ষিত ও স্বতন্ত্রধারার ফিল্মমেকার তার ফিল্মগুলোতে ধরে রাখেন সুনিশ্চিত ধার। ফলে, তার কাজ একদিকে উস্কানি দেয় নানা বিতর্কের, অন্যদিকে দর্শককে হাজির করে এমন এক বাস্তবতার সামনে– যে বাস্তবতা তাদের কাছে অভ্যস্ত না হলেও একেবারেই অচেনা লাগে না।


কিম কি-দুকের ফিল্মোগ্রাফি

১৯৯৬ • ক্রোকোডাইল [Ag-o]
১৯৯৭ • ওয়াইল্ড এনিমেল [Yasaeng dongmul bohoguyeog]
১৯৯৮ • বার্ডকেইজ ইন [Paran daemun]
২০০০ • দ্য আইল [Seom]
২০০০ • রিয়েল ফিকশন [Shilje sanghwang]
২০০১ • অ্যাড্রেস আননৌন [Suchwiin bulmyeong]
২০০১ • ব্যাড গাই [Nabbeun namja]
২০০২ • দ্য কোস্ট গার্ড [Hae anseon]
২০০৩ • স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার... অ্যান্ড স্প্রিং [Bom yeoreum gaeul gyeoul geurigo bom]
২০০৪ • সামারিতান গার্ল [Samaria]
২০০৪ • থ্রি-আয়রন [Bin-jip]
২০০৫ • দ্য বো [Hwal]
২০০৬ • টাইম [Shi gan]
২০০৭ • ব্রিথ [Soom]
২০০৮ • ড্রিম [Bi-mong]
২০১১ • আরিরাং [Arirang]*
২০১১ • আমেন [Amen]
২০১২ • পিয়েতা [Pieta]
২০১৩ • মোবায়াস [Moebiuseu]
২০১৪ • ওয়ান অন ওয়ান [Il-dae-il]
২০১৫ • স্টপ [Seu-top]
২০১৬ • দ্য নেট [Geumul]
Print Friendly, PDF & Email
সম্পাদক: ফিল্মফ্রি । ঢাকা, বাংলাদেশ।। সিনেমার বই [সম্পাদনা/অনুবাদ]: ফিল্মমেকারের ভাষা [৪ খণ্ড: ইরান, লাতিন, আফ্রিকা, কোরিয়া]; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো: প্রেম ও দেহগ্রস্ত ফিল্মমেকার; তারকোভস্কির ডায়েরি; স্মৃতির তারকোভস্কি; হিচকক-ত্রুফো কথোপকথন; কুরোসাওয়ার আত্মজীবনী; আন্তোনিওনির সিনে-জগত; কিয়ারোস্তামির সিনে-রাস্তা; সিনেঅলা [৪ খণ্ড]; বার্গম্যান/বারিমন; ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক; ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার চান্তাল আকেরমান; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার বেলা তার; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার নুরি বিলগে জিলান; ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; বেলা তার; সের্গেই পারাজানোভ; ভেরা খিতিলোভা; সিনেমা সন্তরণ ।। কবিতার বই: ওপেন এয়ার কনসার্টের কবিতা; র‍্যাম্পমডেলের বাথটাবে অন্ধ কচ্ছপ; হাড়ের গ্যারেজ; মেনিকিনের লাল ইতিহাস ।। মিউজিকের বই [অনুবাদ]: আমার জন লেনন [মূল : সিনথিয়া লেনন]; আমার বব মার্লি [মূল: রিটা মার্লি] ।। সম্পাদিত অনলাইন রক মিউজিক জার্নাল: লালগান

4 মন্তব্যগুলো

মন্তব্য লিখুন

Please enter your comment!
Please enter your name here