এমির কুস্তুরিৎসা : সার্বিয়ান ফিল্মমেকার অথবা বিপ্লবী

568
emir kusturica
এমির কুস্তুরিৎসা
জন্ম : ২৪ নভেম্বর ১৯৫৪ । সারায়েভো, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা

লিখেছেনরুদ্র আরিফ


অনেক বার জন্ম হয়েছে আমার। আমি নিশ্চিত, এর মধ্যে কানেও [কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল] জন্মেছি একবার।
• এমির কুস্তুরিৎসা

মির কুস্তুরিৎসা। সার্বিয়ান ফিল্মমেকার, মিউজিশিয়ান ও প্রডিউসার। ১০টি ফিচার ফিল্ম ও বেশ কিছু টেলিভিশন-ফিল্ম ও শর্টফিল্মের এই নির্মাতা নো স্মোকিং অর্কেস্ট্রা নামের নিজ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রকব্যান্ডের বেজিস্ট । দুইবার কান ফেস্টিভ্যালের সর্বোচ্চ পদক পাম দি’অর বা গোল্ডেন পাম ছাড়াও বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সিলভার বিয়ারসহ [স্পেশাল জুরি প্রাইজ] অসংখ্য পুরস্কারজয়ী এই ফিল্মমেকারের রয়েছে একটি নিজস্ব ধারা, নিজস্ব ফিল্মি-দর্শন।

কুস্তুরিৎসার জন্ম ২৪ নভেম্বর ১৯৫৪; বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনার রাজধানী সারায়েভোয় [তখনকার যুগোস্লাভিয়া]। বসনীয় মুসলমান পরিবারের সন্তান হলেও তার পূর্বপুরুষেরা ছিলেন স্লাভিক অর্থোডক্স। তার বাবা মুরাত অন্যান্য যুগোস্লাভিয়ান কোটিপতির মতোই কমিউনিস্টদের উপর আস্থা হারিয়েছিলেন। তথ্যমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পিতার একমাত্র সন্তান এমিরও ফিল্মমেকার হওয়ার পথে কমিউনিজমকে করেছেন বিষোদ্গার। উঠতি বয়সে নিজের ‘ভালো’ পরিবারের বিরোধিতা করে নয়, বরং এক ধরনের নিষিদ্ধ আগ্রহ থেকেই জন্মশহরের ‘নষ্ট ছেলেদের’ পাল্লায় পড়েন তিনি। ফলে বখে যাওয়ার হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে, বাবা-মা ১৮ বছর বয়সেই পাঠিয়ে দেন বিদেশে। যেহেতু শহরের সিনে-পাড়াতে তার নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল, তাই বাবা-মা তাকে ফিল্মের ওপর পাঠ নিতেই পাঠান। মিলোস ফরমান, ই্যরি মেনৎসেল কিংবা গোরান পাস্কাজেভিকের মতো ফিল্মমেকারেরা যে স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন, চেকোস্লাভিয়ার সেই মর্যাদাপূর্ণ ‘এফঅ্যাএমইউ’তে [ফিল্ম অ্যান্ড টিভি স্কুল অব দ্য একাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস ইন প্রাগ] ভর্তি করা হয় তাকে।

আন্ডারগ্রাউন্ড
আন্ডারগ্রাউন্ড

এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমির বলেন,
     তখন আমি অকর্ষিত জমির মতো। ভীষণ কৌতুহলী ছিলাম; তবে স্কুলটা আমার ভালোলাগেনি। তাছাড়া, সিনেমার সঙ্গে সত্যিকারের কোনো যোগাযোগ ছিল না আমার। সেদিক থেকে, সিনেমায় আমার ক্যারিয়ার হলো একটি ঘটনাচক্র মাত্র। তবে বাবার এক বন্ধু তখন ইনস্টিটিউশনাল ফিল্ম বানাতেন। একবার তিনি আমাকে একটি সেটে নিয়ে যান। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার এমন প্রসারিত বহুমাত্রিকতা আমাকে একেবারে প্রলুব্ধ করে ফেলে এবং সিনেমা থেকে লাভবান হওয়ার পথ দেখায়। ফিল্মস্কুলে ভালো রেজাল্ট করে যখন সারায়েভো ফিরলাম, তখন বুঝতে পারলাম– আমার এলাকা, আমার শৈশবস্মৃতি, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলো কাহিনী রচনার ক্ষেত্রে কতটা সমৃদ্ধ। তখনই প্রথমবারের মতো পুরোপুরি অনুধাবন করলাম– সিনেমা জিনিসটা কী।

স্কুলে প্রথম দিকে বানানো তার শর্টফিল্মগুলো অন্য ছাত্রদের ফিল্মের চেয়ে বানানো আলাদা হয়ে ওঠে; হয় প্রশংসিত। তার প্রফেসর আঁচ করতে পারেন– দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইহুদি-বিরোধী বর্ণবাদকে বিষোদ্গার করে বানানো গুয়ের্নিকা ও বুফে টাইটানিক-এ রয়েছে একজন মাস্টার ফিল্মমেকারের যোগ্য ছাপ। এমিরকে তিনি বলেন : ‘একমাত্র যে জিনিসটিকে তুমি উৎরে যাবে, সেটি হলো তোমার ফিল্ম; সমাপ্তিই বলে দেবে এর মানে।’ কথাটি এমিরের মনে ধরে এবং নিজের প্রথমদিকের ব্যক্তিগত প্রজেক্টগুলো সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এরমধ্যে হোয়েন ফাদার ওয়াজ অ্যাওয়ে অন বিজনেস ছিল ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাজ। কমিউনিস্ট শাসিত যুগোস্লাভিয়ায় রাজনৈতিক নির্বাসনকে ঘিরে এর কাহিনী। একনায়ক মার্শাল টিটোর মৃত্যুর পরপরের সময়টিতে এ ছিল একটি ট্যাবু-সাবজেক্ট। যুগোস্লাভিয়ার বহুমাত্রিকতাকে বড় করে তোলার উদ্দেশ্যে তখন পর্যন্ত নিজ ভাষায়, এমনকি আঞ্চলিক উচ্চারণের অভিনেতাদের নিয়ে শুটিং করতেন এমির। ডু ইউ রিমেম্বার ডলি বেল? হলো বসনিয়ান আঞ্চলিক ভাষা সার্বো-ক্রোয়েশিয়ান-এ [বিবিসি ইংলিশ যেমন] নির্মিত প্রথম যুগোস্লাভ ফিল্ম। বলাবাহুল্য, এটি কোনো রাষ্ট্রভাষা নয়। এরপর অন্য এক উচ্চাকাক্সক্ষী প্রজেক্টে হাত দেন এমির। সারায়েভো মহানগরকে নিয়ে একটি ট্রিলজি তার মাথায় ঘুরে। হোয়েন ফাদার ওয়াজ অ্যাওয়ে অন বিজনেস সেটির দ্বিতীয় এপিসোড হিসেবে বিবেচিত হতে পারত; কিন্তু ফিল্মটির অপ্রত্যাশিত পাম দি’অর জয় এমিরকে আরেকটি দুনিয়ার টেনে নিয়ে যায়। ফলে, ট্রিলজিটি শেষ করা হয়নি।

কান ফেস্টিভ্যালে ব্যাপক সাফল্যের পর এমির কিছুদিন ক্যামেরা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখেন। পাঙ্ক-রক ব্যান্ড নো স্মোকিং অর্কেস্ট্রায় বাজাতে থাকেন বেজ গিটার। ব্যান্ডটি বেশ বিদ্রোহী; গানগুলো সাংঘাতিক আর স্টাইল তাগড়া। সে সময়টাতে ব্যান্ডের লিডার ড. নেলে কারাজিকের সঙ্গে টিম গুছিয়ে সময় কাটে সদ্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়া এই ফিল্মমেকারের।

লাইফ ইজ অ্যা মিরাকেল
লাইফ ইজ অ্যা মিরাকেল

পাম দি’অর তার জন্য সিনেমার সব দরজা খুলে দেয়। বড় বড় বাজেটের প্রস্তাব আসতে থাকে। কিন্তু এমিরের ভাবনা  ছিল অন্যতর। অন্য কোনো বিষয়, অন্য কোনো জায়গা নিয়ে ভাবতে থাকেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সে বেলা নিজের দেশেই নির্মাণ করেন টাইম অব দ্য জিপসিস। জিপসিরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে– এমন আর্টেক্যাল পড়েই ফিল্মটি নির্মাণে আগ্রহী হন তিনি। গবেষণার জন্য একজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি জমান ম্যাকডোনিয়ায়। সেখানে ইউরোপের সবচেয়ে বড় জিপসি ক্যাম্পগুলোর একটিতে কাটান মাসের পর মাস। ফিল্মটির শুটিং শেষ হলে চেক রিপাবলিকান ফিল্মমেকার মিলোস ফরমান তাকে আমন্ত্রণ জানান নিউইয়র্কে; কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে মিলোসের নিজের জায়গায় অভিষিক্ত হতে। ফিল্মটির এডিটিং এমির সেখানেই করেছেন।

এরপর একটি ইংলিশ ফিল্মের কাজ শুরু করেন এমির; নাম অ্যারিজোনা ড্রিম। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে তার এক ছাত্র আমেরিকান ড্রিম নিয়ে তাকে একটি স্ক্রিপ্ট দিয়েছিল। কিন্তু সে সময় বলকানে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এমন অবস্থায় পরিবার থেকে দূরে থেকে কাজ করা সম্ভব হয়নি এমিরের পক্ষে। ফলে শুটিং রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। ফিল্মটি চাপা পড়ে অন্ধকার অতলে

যুদ্ধের আগুনে সারায়েভোতে এমিরদের বাড়ি পুড়ে যাওয়ার পরপরই হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তার বাবা। পরিবারটি উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নেয় মন্টেনিগ্রোতে। এই অভিজ্ঞতার পর এমির উপলব্দি করেন, নিজ দেশের গল্প বিশ্বকে জানানোর প্রয়োজন তার। ফলে নিজের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষি প্রজেক্টটিতে হাত দেন তিনি। নাম, আন্ডারগ্রাউন্ড। যুগোস্লাভ গ্রেট মঞ্চনাট্যকার দুসান কোভাচেভিচের স্ক্রিপ্ট অবলম্বনে এ ফিল্ম। এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে বর্তমান পর্যন্ত নিজ দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রহসনের ঢঙে, গ্রেটেস্ট মাস্টারদের কিছু ট্রিককে অনুসরণ করে বানানো এ ফিল্মটি ভীষণরকম সুদূরপ্রসারী ও প্রাণবন্ত। বিষয়টির সঙ্গে যারা পরিচিত, তাদের কাছে অবশ্য ফিল্মটি হয়ে ওঠেছে দ্ব্যর্থক। ফলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা বর্জন করতে পারেনি তারা। তবে বেশ আলোচিত ও বিতর্কিত এ ফিল্ম দিয়ে নিজের কর্তব্য পালনের দাবিদার এমিরের জন্য অপেক্ষা করছিল আরেকটি চমক। এটিও জিতে নেয় পাম’দি অর; আর তাকে নিয়ে যায় বিশ্ব সিনেমার সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম ফিল্মমেকারদের তালিকায়।

এরপর আবারও নিজের রাস্তা বদলান এমির। বানান ‘মধুর সমাপনি’ ধরনের ফিল্ম। ব্ল্যাক ক্যাট, হোয়াইট ক্যাট ও সুপার এইট স্টোরিজ দর্শকদের এমন সব আশাবাদের খোঁজ দেয়– যার অস্তিত্ব তাদের দৈনন্দিন জীবনে হয়তো নেই। এই আশাবাদের ইঙ্গিত এমিরের ব্যান্ডটির ইংরেজি নামকরণ নো স্মোকিং অর্কেস্ট্রাতেও লক্ষণীয়। এই ফাঁকে আবারও ক্যামেরাকে ছুটি দিয়ে, গিটার কাঁধে ব্যান্ডের সঙ্গে লাতিন আমেরিকা থেকে শুরু করে জাপান পর্যন্ত ট্যুর দেন এমির।

ব্ল্যাক ক্যাট, হোয়াইট ক্যাট
ব্ল্যাক ক্যাট, হোয়াইট ক্যাট

রকস্টার হিসেবে পৃথিবী মাতানোর পর আবারও ক্যামেরার পেছনে এসে দাঁড়ান তিনি। নির্মাণ করেন লাইফ ইজ অ্যা মিরাকল। টানা দেড় বছর ধরে শুটিং করতে করতে সার্বিয়ান পাহাড়ি গ্রাম মোরকা গোরার ল্যান্ডস্কেপের প্রেমে পড়ে যান তিনি। এর প্রকৃতিই তার জমকালো রঙ ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নিয়ে ফিল্মটির প্রধান চরিত্র হয়ে দাঁড়ায়। শুটিং শেষে সেখানে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক-গ্রাম গড়ে তুলেন এমির। নাম, কুস্তেনডর্ফ [ইংরেজিতে, দ্য উডেন ভিলেজ]। এ প্রসঙ্গে তার অভিমত,
যুদ্ধে আমি হারিয়েছি নিজের শহর [সারায়েভো]। এ কারণেই নিজের একটা গ্রাম বানানোর ইচ্ছে হলো। নামটা জার্মান রাখলাম : কুস্তেনডর্ফ। কীভাবে সিনেমা বানায়, কনসার্ট করে, সিরামিক বানায়, পেইন্টিং করে– এসব যারা শিখতে চান, তাদের জন্য সেমিনারের আয়োজন করব আমি। এ হয়ে উঠবে এমনই এক জায়গা– যেখানে আমি থাকব এবং যেখানে লোকজন সময়ে সময়ে আসা-যাওয়া করবে। এখানে অবশ্যই অন্যান্য অধিবাসিরাও কাজ করবেন। বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে নানান সংস্কৃতির মানুষের একটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে এটিকে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি আমি।

সেই স্বপ্নের পথে দৃঢ়তার সঙ্গেই এগিয়েছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন লাইব্রেরি, আর্ট গ্যালারি, সিনেমা হল, বাড়ি, রেস্টুরেন্ট, সুইমিংপুল ইত্যাদি। আর গ্রামের মূলরাস্তাটির নামকরণ করেছেন নোবেলজয়ী যুগোস্লাভ সাহিত্যিক ইভো আন্দ্রিকের নামে। অন্য রাস্তাগুলোর নাম রেখেছেন সার্বিয়ান বিজ্ঞানী নিকোলা তেসলা, আর্হেন্তাইন বিপ্লবী আর্নেস্ত চে গ্যেভারা, আর্হেন্তাইন ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা [ওরফে, ম্যারাডোনা], যুগোস্লাভ [সার্বিয়ান] কমেডিয়ান মিওদ্রাগ পেত্রোভিচ কাজা, ইতালিয়ান ফিল্মমেকার ফেদেরিকো ফেল্লিনি, সুইডিস ফিল্মমেকার ইংমার বারিমন, ব্রিটিশ মিউজিশিয়ান জো স্ট্রুমার, সার্বিয়ান টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জকোভিচ প্রমুখের নামে। কুস্তুরিৎসার পরিবার এখন এখানেই বাস করে। আর ২০০৮ থেকে এখানে তিনি আয়োজন করে আসছেন বার্ষিক কুস্তেনডর্ফ ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল

এর মাধ্যে ২০০৫ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জুরি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে কুস্তেনডর্ফে ফিরে নতুন ফিল্ম প্রমিজ মি দিস-এর শুটিং শুরু করেন এমির। দু’বছর পর ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সম্মানজনক অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এরপর শুরু করেন আরেকটি নতুন ফিল্ম-জার্নি। অল্প বয়সে নিজ এলাকার তুখোড় ফুটবলার হিসেবে খ্যাতি লাভ করা এমির এবার নির্মাণ করেন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনাকে নিয়ে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টারি। নাম, মারাদোনা। এ ফিল্ম নিয়ে তার অভিমত,
 ফিল্মটির শুটিংয়ের সময় যে ‘তিনজন’ মারাদোনাকে আমি আবিষ্কার করেছি, তাদের দেখা মিলবে এখানে। এদের একজন হলেন ফুটবল শিক্ষক, আরেকজন আমেরিকার একপাক্ষিক রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো একজন রাজনৈতিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ নাগরিক এবং শেষজন হলেন একজন পারিবারিক মানুষ।
এরপর ওয়ার্ডস অব গড নামে একটি ফিল্ম বানিয়ে, এখন অন দ্য মিল্কি রোড সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজে ব্যস্ত এই কিংবদন্তি ফিল্মমেকার।


এমির কুস্তুরিসা
এমির কুস্তুরিৎসা

এমির কুস্তুরিৎসার ফিল্মোগ্রাফি

১৯৭৮ । গোয়ের্নিকা [Guernica] শর্টফিল্ম
১৯৭৮ । দ্য ব্রাইডস আর কামিং [Nevjeste dolaze)] টিভি-ফিল্ম
১৯৭৯ । বুফে টাইটানিক [Bife Titanik] টিভি-ফিল্ম
১৯৮১ । ডু ইউ রিমেমবার ডলি বেল? [Sjećaš li se Dolly Bell]
১৯৮৪ । ইট ইজ নট অ্যা ম্যান হু ডাজ নট ডাই [Nije čovjek ko ne umre] টিভি-ফিল্ম
১৯৮৫ । হোয়েন ফাদার ওয়াজ অ্যাওয়ে অন বিজনেস [Otac na službenom putu]
১৯৮৮ । টাইম অব দ্য জিপসিস [Dom za vešanje]
১৯৯৩ । অ্যারিজোনা ড্রিম [Arizona Dream]
১৯৯৫ । আন্ডারগ্রাউন্ড [Podzemlje]
১৯৯৬ । দেয়ার ওয়াজ ওয়ানস অ্যা কান্ট্রি [Bila jednom jedna zemlja] টিভি-সিরিজ
১৯৯৭ । ম্যাজিক বাস [Magic Bus] শর্টফিল্ম
১৯৯৮ । ব্ল্যাক ক্যাট, হোয়াইট ক্যাট [Crna mačka, beli mačor]
২০০১ । সুপার এইট স্টোরিজ [Super 8 Stories] ডকুমেন্টারি
২০০৪ । লাইফ ইজ অ্যা মিরাকেল [Život je čudo]
২০০৭ । প্রমিজ দিস মি [Zavet]
২০০৮ । মারাদোনা [Maradona] ডকুমেন্টারি
২০১৪ । ওয়ার্ডস উইথ গডস [Words with Gods]

সূত্র : এমির কুস্তুরিৎসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

Print Friendly, PDF & Email
সম্পাদক: ফিল্মফ্রি । ঢাকা, বাংলাদেশ।। সিনেমার বই [সম্পাদনা/অনুবাদ]: ফিল্মমেকারের ভাষা [৪ খণ্ড: ইরান, লাতিন, আফ্রিকা, কোরিয়া]; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো: প্রেম ও দেহগ্রস্ত ফিল্মমেকার; তারকোভস্কির ডায়েরি; স্মৃতির তারকোভস্কি; হিচকক-ত্রুফো কথোপকথন; কুরোসাওয়ার আত্মজীবনী; আন্তোনিওনির সিনে-জগত; কিয়ারোস্তামির সিনে-রাস্তা; সিনেঅলা [৪ খণ্ড]; বার্গম্যান/বারিমন; ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক; ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার চান্তাল আকেরমান; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার বেলা তার; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার নুরি বিলগে জিলান; ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; বেলা তার; সের্গেই পারাজানোভ; ভেরা খিতিলোভা; সিনেমা সন্তরণ ।। কবিতার বই: ওপেন এয়ার কনসার্টের কবিতা; র‍্যাম্পমডেলের বাথটাবে অন্ধ কচ্ছপ; হাড়ের গ্যারেজ; মেনিকিনের লাল ইতিহাস ।। মিউজিকের বই [অনুবাদ]: আমার জন লেনন [মূল : সিনথিয়া লেনন]; আমার বব মার্লি [মূল: রিটা মার্লি] ।। সম্পাদিত অনলাইন রক মিউজিক জার্নাল: লালগান

১টি কমেন্ট

Leave a Reply to কুস্তুরিসার ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ : হারিয়ে যাওয়া দেশের জন্য হাহাকার | ফিল্মফ্রি

Please enter your comment!
Please enter your name here